ধৈর্য্য ধারনের দোয়া

ধৈর্য্য ধারনের দোয়া : رَبَّنَآ أَفۡرِغۡ عَلَيۡنَا صَبۡرًا وَتَوَفَّنَا مُسۡلِمِينَ

উচ্চারন : রাব্বানা আফরিগ আলাইনা সাবরাও ওয়াতা ওয়াফফানা মুসলিমীন।

বাংলা অর্থ : হে আমার রব, কঠিন পরীক্ষায় আপনি আমাদের ধৈর্য্য ধারন করার শক্তি দান করুন, এবং আপনার অনুগত বান্দা হিসেবে আমাদের মৃত্যু দান করুন।
(সুরা আরাফ – আয়াত – ১২৬)

বিপদে পতিত হলে আমরা অধৈর্য্য হয়ে যাই। হিতাহিত জ্ঞান হারিয়ে আমরা ভ্রান্ত পথ অবলম্বন করি। ইসলাম ধর্মে যেটা সম্পূর্ন নিষেধ। অধৈর্য্য না হয়ে মহান রাব্বুল আলামীনের কাছে সাহায্য প্রার্থনা করাই একজন মুমিনের কাজ। আর আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা এটাই পছন্দ করে থাকেন।

বিপদ, দুঃখ, দুর্দশা সেতো আল্লাহ পাকের পক্ষ থেকেই নির্ধারিত। আর সেখান থেকেই তো এর আগমন। যেহেতু মহান আল্লাহ পাক বিপদ দিয়ে থাকেন তিনিই তা সমাধানকারী। বিপদ দিয়ে তিনি তার বান্দার ঈমানী পরীক্ষা নিয়ে থোকেন। অধৈর্য্য হয়ে যাওয়া মানেই বিপদথগামী হয়ে যাওয়া এবং আল্লার উপর থেকে ভরসা হারিয়ে ফেলা। যা একজন মুমিনের কাজ হতে পারেনা।

মুমিনের কাজ হচ্ছে বিপদে ধৈর্য্য ধারন করা। আল্লাহ্ তায়ালার কাছে সাহায্য প্রার্থনা করা। তিনিই যে সমাধান কারী তা মেনে সকল কিছু তার উপরে ছেড়ে দেয়াই একজন মুমিনের কাজ।

আসুন আমরা বিপদে, কষ্টে বেশী বেশী উপরোক্ত আমলটি করি আর আল্লাহ জাল্লা শানুহু’র কাছে সাহায্য প্রার্থনা করি।

Showkatbd.com is a full-featured online documents organized application site. Which is going to prepare document from just a form.   It will save your time ! Bengali, English and Arabic letter generator is available here. Do not heisted to try this! 

  FORM2Dox

  DOCUMENTCreation Tools




মিথ্যের ধারক..

যাদের সর্বাঙ্গ-ই অসত্যে মোড়া, তারা অন্যের সত্যকেও মিথ্যে মনে করে.. মো: শওকত আকবার




দুরুদ শরীফ / দুরুদে ইব্রাহিম

দুরুদ হচ্ছে ফার্সি শব্দ। অর্থ – সম্ভাষন। নবীকূলের শিরোমনি, জান্নাতের সর্দার হযরত মোহাম্মদ মোস্তফা (সা:) এর শান্তি প্রার্থনার উদ্দেশ্যে এই দুরুদ পাঠ করা হয়ে থাকে। নবির প্রতি, তার পরিবার-পরিজন, সন্তান-সন্ততি, সহচরদের প্রতি আল্লাহ তায়ালার দয়া ও শান্তি বর্ষনের জন্য প্রার্থনা করাই দুরুদ। সন্মানের সাথে এই দুরুদকে ‍দুরুদ শরীফ ও বলা হয়ে থাকে।

দুরুদে ইব্রাহিম

সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ন দুরুদ এই দুরুদে ইব্রাহিম। বা বড় দরুদ । এই দুরুদ আমাদের জাতির পিতা হযরত ইব্রাহিম (আ:) এর প্রশংসা করা হয় বলে একে  দুরুদে ইব্রাহিম বলা হয়। আমাদের প্রিয় নবি মুহাম্মাদ (সা.) এই দুরুদ পাঠ করতে বলেছেন।

اَللَّهُمَّ صَلِّ عَلَى مُحَمَّدٍ وَّعَلَى آلِ مُحَمَّدٍ كَمَا صَلَّيْتَ عَلَى إِبْرَاهِيْمَ وَعَلَى آلِ إِبْرَاهِيْمَ إِنَّكَ حَمِيْدٌ مَجِيْدٌ, وبَارِكْ عَلَى مُحَمَّدٍ وَعَلَى آلِ مُحَمَّدٍ كَمَا بَارَكْتَ عَلَى إِبْرَاهِيْمَ وَعَلَى آلِ إِبْرَاهِيمَ إِنَّكَ حَمِْيدٌ مَجِيْدٌ . –

বাংলা উচ্চারনঃ আল্লাহুম্মা সাললিআলা মুহাম্মাদিঁ ওয়া আলা আলি মুহাম্মাদিন, কামা সাললাইতা আলা ইব্রাহীম, ওয়া আলা আলি ইব্রাহীম, ইন্নাকা হামিদুম মাজীদ। আল্লাহুম্মা বারিক আলা মুহাম্মাদিঁ ওয়া আলা আলি মুহাম্মাদিন, কামা বারাকতা আলা ইব্রাহীম, ওয়া আলা আলি ইব্রাহীম, ইন্নাকা হামীদুম মাজীদ।

বাংলা অনুবাদঃ হে আল্লাহ্! মুহাম্মদ (সাললাললাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এবং তাঁহার বংশধরগণের উপর ঐরূপ আশীর্বাদ অবতীর্ণ করুন, যেইরূপ আর্শীবাদ হযরত ইব্রাহিম (আঃ) এবং তাঁহার বংশধরগণের উপর অবতীর্ণ করিয়াছেন। নিশ্চয়ই আপনি প্রশংসা ভাজন এবং মহামহিম। হে আল্লাহ্! মুহাম্মদ (সাললাললাহু আলাইহি ওয়া সাললাম) এবং তাঁহার বংশধরগণের উপর সেইরূপ অনুগ্রহ করুন যেরূপ অনুগ্রহ ইব্রাহীম (আঃ) এবং তাঁহার বংশরগণের উপর করিয়াছেন। নিশ্চয়ই আপনি প্রশংসা ভাজন এবং মহামহিম।

নবির উপর দুরুদ পাঠ

প্রিয় নবির নাম শুনার সাথে সাথে দুরুদ পাঠ করার তাগিদ রয়েছে। আমরা তাঁর নাম শুনা মাত্রই – সাললাললাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম – বলে থাকি। যার অর্থ – তাঁর উপর আল্লাহর শান্তি বর্ষিত হোক। এটাও একটি দুরুদ। অর্থ এরকম: “হে আল্লাহ, মুহাম্মাদের প্রতি আপনি দয়া পরবশ হোন। তার আলোচনা ও নামকে আপনি এই পৃথিবীর সকল আলোচনা ও নামের মাঝে সর্বোচ্চ স্থানে রাখুন।”

দুরুদ পাঠের ফজিলত

মহানবী সাঃ বলেন, যে ব্যক্তি আমার উপর একবার দুরুদ পাঠ করবে, মহান আল্লাহ তার উপর ১০ বার রহমত নাযিল করবেন।

অন্য এক বর্ণনায় আছে, যে ব্যক্তি আমার উপর একবার দুরুদ পাঠ করবে, আল্লাহ তার ১০টি পাপ মোচন করবেন এবং সে ১০টি মর্যাদায় উন্নীত হবে।

নবিজী  ও তার পরিবারের প্রতি দুরুদ পাঠ করা জাহান্নামের আগুন থেকে মুক্তি দেয়।

প্রতিনিয়ত দুরুদ পাঠ ব্যক্তির পার্থিব ও স্বর্গীয় ইচ্ছা (প্রার্থনা) পূরণ করে।

আল্লাহ আমাদের সদা সর্বদা নবীর উপর দুরুদ পড়ার তৌফিক দান করুন। আমিন।




ব্যর্থতা..

ব্যর্থ হতে হতে মানুষ অভিজ্ঞ হয়, আর অভিজ্ঞতার ফসলই হয় দক্ষতা.. মোহাম্মদ শওকত আকবার




মিথ্যা..

একটি মিথ্যাকে প্রতিষ্ঠিত করতে আরো দশটি মিথ্যার আশ্রয় নিতে হয়.. মোহাম্মদ শওকত আকবার




আপনা কথন

ফ্যামিলির ম্যাম্বারদের সুখি ও সর্বদা হাসিখুশি রাখার জন্য আমরা তাদের সাথে যে সময় অতিবাহিত করি, তার চেয়ে বেশী সময় অতিবাহিত করি কর্মস্থলে। সেক্ষেত্রে কর্মস্থলই আমাদের সেকেন্ড ফ্যামিলি। সুতরাং সেখানকার মানুষ বা কলিগদের খুশি বা সুখি রাখার দায়িত্বও আমাদেরই। আসুন কর্মস্থলে সকলকে সুখী বা খুশি রাখার জন্য সকলেই চেষ্টা করি। ভালোবাসায় যেন ভরে থাকে আমাদের সেকেন্ড ফ্যামিলি.. মোহাম্মদ শওকত আকবার




ঠকে যাওয়া

আমাকে আপনাকে যারা ঠকিয়েছে বা এখনো ঠকাচ্ছে, তাদের জন্য আফশোশ! অবিনশ্বর ঐ পৃথিবীতে মহান সৃষ্টিকর্তার কাছে তারা কি জবাব দিবে সেদিন, যেদিন আমার আপনার মুখ বন্ধ থাকবে.. মোহাম্মদ শওকত আকবার




জন্ম সনদ চেকিং সিষ্টেম

আসসালামু আলাইকুম। ShowkatBD.com এ স্বাগতম। আশাকরি সবাই ভালো আছেন। আজ আপনাদের সাথে বার্থ সার্টিফিকেট বা জন্ম সনদ কিভাবে অনলাইনে যাচাই করবেন বা অনলাইন কপি প্রিন্ট করবেন, সে বিষয়ে আলোচনা করবো। বাংলাদেশ সরকার প্রতিটি নাগরিকের জন্ম তথ্য অনলাইনে সংরক্ষন করার সিষ্টেম চালু করেছে। যেন সকলেই সহজে প্রয়োজন মতো অনলাইন কপি প্রিন্ট বা উত্তোলন করতে পারে।

বার্থ বা জন্ম সনদ চেকার

আপনি হয়তো ইতিমধ্যে আপনার নিজের বা আপনার সন্তান বা অন্য কারো জন্ম সনদ হাতে পেয়েছেন। সেটি ডিজিটাল কিনা – তা যাচাই করতে চাচ্ছেন? আসুন সহজেই তা যাচাই করি। এর জন্য আপনার প্রথমেই প্রয়োজন হবে ১৭ ডিজিটের জন্ম সনদ নাম্বার এবং প্রকৃত জন্ম তারিখ। ১৭ ডিজিটের কম হলে আপনাকে তা ১৭ ডিজিটে রুপান্তর করে নিতে হবে। আমরা তাও ধারাবাহিকভাবে আলোচনা করবো।

জন্ম সনদ যাচাইয়ের জন্য নিচের ধাপগুলো অনুস্বরন করুন :

  1. প্রথমেই https://everify.bdris.gov.bd এই সাইটে প্রবেশ করুন, নিচের স্ক্রীন শো করবে :

  1. প্রথম ঘরে আপনার ১৭ ডিজিটের জন্ম নিবন্ধন নাম্বার লিখুন । ডিজিট কম হলে Not Found শো করবে। অবশ্যই আপনাকে ১৭ ডিজিটে তা রুপান্তর করে নিতে হবে। (নিচে ১৭ ডিজিট করার বর্ণনা দেয়া আছে)।
  2. দ্বিতীয় ঘরে জন্ম তারিখ লিখুন। অবশ্যই YYYY-MM-DD এই ফরমেটটি অনুস্বরন করুন। যেমন : 2019-11-31
  3. যথাযথ সঠিক ক্যাপটা প্রশ্নের উত্তর লিখুন,
  4. সার্চ অপশন ক্লিক করুন।

জন্ম সনদের সকল তথ্য সম্বলিত নিচের স্ক্রীনটি শো করবে :

  1. বা পাশের সেভ অপশন থেকে পিডিএফ মুডে সেভকরে নিতে পারেন ।

বার্থ বা জন্ম সনদ চেকার

হয়ে গেলো আপনার জন্ম সনদ যাচাই আর সাথে অনলাইন প্রিন্ট কপি।

কিভাবে ১৬ ডিজিট থেকে ১৭ ডিজিটে রুপান্তর করবেন ?

কিভাবে ১৬ ডিজিটের জন্ম নিবন্ধন নাম্বার ১৭ ডিজিটে রুপান্তর করবেন তা জানিয়ে দিচ্ছি.. এক সময় হাতে লিখা জন্ম সনদগুলো ১৬ ডিজিটের হতো। পরবর্তিতে যখন তা অনলাইন করা হয় জনসংখ্যা বৃদ্ধির কথা মাথায় রেখে সরকার তা ১৭ ডিজিটে রুপান্তর করে।

অনেকেই অনলাইনে তা যাচাই করতে যেয়ে Not Found দেখে ভরকে যায়। এখানে ভরকে যাওয়ার কিছু নেই। যেহেতু হাতে তৈরি জন্ম সনদের শেষ ৫ ডিজিট ব্যক্তগত পরিচিতি নাম্বার ছিলো, আপনি শেষ ৫ ডিজিটের পুর্বে একটা ০ শুন্য বসিয়ে ৬ ডিজিট করে নিলেই হলো। মনে রাখতে হবে, ১৭ ডিজিটের মধ্যে প্রথম ৪ ডিজিট ব্যক্তির জন্ম সাল এবং শেষ ৬ ডিজিট ব্যক্তিগত পরিচিতি নম্বর বহন করে।

আশা করি আমার এই সংকলনটি আপনার উপকারে আসবে। আপনার একটি রিভিউ, শেয়ার, কমেন্ট আমাকে এভাবে আপনাদের পাশে প্রয়োজনীয় আর্টিকেল লিখতে উৎসাহ যোগাবে।

আপনার প্রয়োজনীয় সময় আমার সাথে নষ্ট করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন, সুন্দর থাকুন।

Keep Learning

* Character Certificate

* Marriage Certificate

* Notarial Certificate

আমরা ফ্যামিলির ম্যাম্বারদের সুখি ও সর্বদা হাসিখুশি রাখার জন্য তাদের সাথে যে সময় অতিবাহিত করি, তার চেয়ে বেশী সময় অতিবাহিত করি কর্মস্থলে। সেক্ষেত্রে কর্মস্থলই আমাদের সেকেন্ড ফ্যামিলি। সুতরাং সেখানকার মানুষ বা কলিগদের খুশি বা সুখি রাখার দায়িত্বও আমাদেরই। আসুন কর্মস্থলে সকলকে সুখী বা খুশি রাখার জন্য সকলেই চেষ্টা করি। ভালোবাসায় যেন ভরে থাকে আমাদের সেকেন্ড ফ্যামিলি।




বদলে যাওয়া

সত্যিকার অর্থে সময় বদলায় না, বদলে যায় মানুষ.. মোহাম্মদ শওকত আকবার




ঢাকা ‘র নাম করনের একটুসখানি ইতিহাস

ঢাকার ইতিহাস : ঢাকা – আমাদের প্রিয় শহর। আমাদের প্রানের শহর। ঘন্টার পর ঘন্টা অস্বস্থিকর জ্যামে আটকে থাকা শহর। খোড়া-খুড়ির শহর, মসজিদের শহর, লোকাল বাসের নরক যন্ত্রনার শহর, বসবাসের অযোগ্য শহর (অনলাইন সার্ভে করা এক টিমের ভাষ্য মতে), যানজট আর উন্নয়নের শহর; এতো কিছুর পরেও আমদের মনের স্বস্তির শহর। আমদের আশা আকাংখার শহর, আমাদের স্বপ্নের শহর, রাজনীতির শহর, সাহিত্য জলসার শহর, বুদ্ধিজীবীদের বসবাসের শহর, প্রাচীন অক্সফোর্ডের শহর, হৃদয় উজার করা ভালোবাসার শহর।

এতোসব বিশেষনে যাকে ভূষিত  করা হয়, কখনো কি জানার চেষ্টা করেছি এই বিশেষনের ঢাকা শহরের নামটি কখন বা কোথা থেকে এসেছে।  আজ সে বিষয়েই ছোটটো একটু ইতিহাস তুলে ধরবার চেষ্টা করবো।

ঢাকা শহরের নাম করন : (ধারনা-১)

এই শহরের নামের উৎপত্তি সম্পর্কে বেশ কয়েকটি মত প্রচলন রয়েছে। কেউ মনে করেন,  বল্লাল সেন (সেন রাজবংশের দ্বিতীয় রাজা, সেন বংশের প্রতিষ্টাতা বিজয় সেনের পুত্র। পাল বংশ থেকে প্রতিদ্বন্ধীতা করতে করতে সেনরাজত্ব প্রতিষ্টা হয়েছিলো। সেন বংশের গোড়া পত্তন হয়েছিলো ৯০০ শতকেরও পুর্বে আর বল্লাল সেন রাজত্ব করেছিলেন ১০৮৩ থেকে ১১৭৯ পর্যন্ত) কর্তৃক নির্মিত ঢাকেশ্বরী মন্দির থেকেই এই নামের উৎপত্তি। নির্মিত ঢাকেশ্বরী এর নামকরনে ঢাকা রাখা হয়। তবে অনেক ইতিহাসবিদ এটা মানতে নারাজ। ঢাকেশ্বরী অর্থ যদি ঢাকার ইশ্বরী হয়ে থাকে, তাহলে এই নামটি তারও পূর্বের।

ঢাকা শহরের নাম করন : (ধারনা-২)

কেউ মনে করেন, এই অঞ্চলে প্রচুর পরিমানে ঢাক নামের এক প্রকার গাছ ছিলো। সেখান থেকেই এর উৎপত্তি।

ঢাকা শহরের নাম করন : (ধারনা-৩)

আরো জানা যায়, মোঘল সম্রাট জাহাঙ্গীর (মোঘলিয়া সালতানাত এর সম্রাট আকবরের ছেলে এবং প্রথম সম্রাট বাবরের নাতি। এই সাম্রাজ্য 1600 থেকে 1720 সাল অবধি রাজত্ব করে। এখানে বলে রাখা ভালো যে, মোঘল সাম্রাজ্য শুরু হয়েছিলো পানি পথের প্রথম যুদ্ধ ইব্রাহিম লোদির বিরুদ্ধে বাবরের জয়ের মাধ্যমে। আর এই মোঘলরা ছিলেন তৈমুর লং এর বংশধর) 1610 সালে রাজধানী রাজমহল থেকে স্থানান্তর করে ঢাকা কে বাংলার রাজধানী ঘোষনা করেন। তখন সুবেদার ইসলাম খান আনন্দের বহিঃপ্রকাশ স্বরুপ শহরে ঢাক বাজানোর নিদের্শ প্রদান করেন এবং বুড়িগঙ্গার কাছে ঢাক বাজিয়ে যতদুর পর্যন্ত সেই ঢাকের শব্দ শোনা যায় ততদুর পর্যন্ত সীমানা নির্ধারন করেন। আর এই ঢাকের শব্দের ভিত্তিতে সীমানা নির্ধারন হয়েছে বলেই নতুন রাজধানীর নামকরন হয় ঢাকা।

ঢাকা শহরের নাম করন : (ধারনা-৪)

আরো জানা যায় যে, তৎকালীন সময়ে “ঢাকাইয়া ভাষা” নামে একটি ভাষার প্রচন ছিলো, সেই অনুসারে এর নাম হয় ঢাকা।

ঢাকা শহরের নাম করন : (ধারনা-৫)

প্রাচীনকালে ঢাকা শহর ছিলো অন্যান্য শহর থেকে উঁচু। পার্শ্ববর্তী শহর সোনারগাঁ এবং বিক্রমপুরের সংযোগস্থল হিসেবে এখানে একটি পর্যবেক্ষন ফাঁড়ি স্থাপন করা হয়। প্রাকৃত উপভাষায় ফাঁড়িকে বলা হতো ঢাক্কা। ঢাক্কা থেকে কালক্রমে এই ঢাকা নামের উৎপিত্তি।

শেষকথা,

কিংবদন্তীল চরিত্রদোষ এর আপেক্ষিকতা। স্থান, কাল ভেদে বেড়ে যায় এর বহুরুপতা । সংশ্লিষ্ট লোকজ বিশ্বাস এবং ধ্যান ধারনার তারতম্যের কারনেও দেখা যায় হেরফের। যার করনে ঢাকার নামকরনের ইতিহাস ঐতিহাসিকদের ফেলে দিয়েছে দোলাচলে। কোন কারনে বা কোন ঘটনার প্রেক্ষাপটে যে সৃষ্ট হয়েছে প্রানের নগরী এই ঢাকা – তা আজ বহুরপ ঘটনা বা ইতিহাসেই রয়েছে আবৃত।

যেভাবেই হোক ঢাকা আজো স্বগর্ভে দাড়িয়ে আছে তার নিজস্ব স্বকীয়তায়। ইতিহাসের ধারাবাহিকতায় ১৯৫২সালের ভাষা আন্দোলনের মধ্য দিয়ে শুরু হয়ে ১৯৭১ সালের স্বাধীনতা সংগ্রামের ফসল হিসেবে ১৬ই ডিসেম্বর স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে আত্নপ্রকাশ করে বাংলাদেশ। আর তখন সেই সুদীর্ঘ ঐতিহ্যের মোড়কে আবৃত ঢাকা-ই হয় বাংলাদেশের রাজধানী।

স্বপ্ন দেখো, কিন্তু এমন স্বপ্ন নয়, যে স্বপ্ন তোমাকে শুধু ঘুমের মধ্যেই রেখে দিবে.. মোহাম্মদ শওকত আকবার