নেতা বনাম কাক

নেতা বনাম কাক : দেশ ভরিয়া গিয়াছে নেতায়। কাকের সংখ্যা পেছনে ফিলিয়া নেতার সংখ্যা আগাইয়া গিয়াছে। এখন কাক গনণা করা যায়, কিন্তু নেতা গননা করা যায়না।

নেতা হইবার কারন কি জানেন ? নেতা হইলে সগলতে সমীহ করে। বানিজ্য করিবার পথ ঘাট খুলিয়া যায়। বস্তায় বস্তায় টাকার চালান চইলে আসে। নেতা হইলে একদা দেশের এমপি, মন্ত্রী হওয়া খুবি সহজতর হইয়া উঠে। খুব বেশী কষ্ট করিবার লাগে না।

শওকতবিডি ই-ডকস্ - অফিস এখন আপনার হাতেইShowkatbd eDocs is a full-featured online documents organized application site. Which is going to prepare document from just a form. It will save your time ! Bengali, English and Arabic letter generator is available here.




ফ্যাকাশে কবিতা

কবিতার রং আজ ফ্যাকাশে
হারিয়ে যাচ্ছে আমাদের কবিতা
তাই মানুষের মন আজ পাথরের চেয়েও শক্ত
মানুষের চোখ আজ জুজুর মতো ভয়ংকর
আর ব্যবহার সেতো নিষ্ঠুর নির্মম
কোমলতা অভিধানে আজ অস্পষ্ট
মনুষ্যত্ব আজ মরিচিকা

অভিনয় আর অসত্য দখল করেছে কবিতার পংক্তিমালা




এসি ক্যালকুলেটর

এসি ক্যালকুলেটর : রুমের সাইজ অনুযায়ী কত টনের এসি বা এয়ার কন্ডিশনার এর প্রয়োজন ? তা নির্বাচনে অনেক সময় আমরা কিছুটা কনফিউশানে পরে যাই। এই কিনফিউশান কাটাতে আপনারা আমার আর্টিকেলের আলোচিত এই প্রোগ্রামটির শরনাপন্ন হতে পারেন। মাত্র সাতটি ষ্টেপেই আপনি পেয়ে যাবেন আপনার রুমে কত টন এর এয়ার কন্ডিশনার প্রয়োজন – সেই হিসেব। একে এসি ক্যালকুলেটরও (শওকত বিডির ভাষায়) বলতে পারেন। আসুন শুরু করি। নিচের প্রতিটি স্ট্রেপ আপনার মতো করে মার্ক  করে এগিয়ে যানঃ

এসি ক্যালকুলেটর ওয়েব সাইট:

  • ভিজিট করুন : https://waltonbd.com/btu-calculator
  • Room Size (রুমের সাইজ স্কয়ার ফিটে) নির্বাচন করুন। নিচের চিত্র : (ষ্টেপ-১) এখান থেকে আপনার রুমের সাইজ বের করার জন্য স্কয়ার ফীট নির্ধারন করুন।

এসি ক্যালকুলেটর -ষ্টেপ-১
ষ্টেপ-১

  • Next বাটনে ক্লিক করে ষ্টেপ-২ অপশনে যান। নিচের স্ক্রীনটি শো করবে । 
  • ষ্টেপ-২ তে Number of Wall Exposed to Sunlight (সূর্যের আলোর সংস্পর্শে দেয়ালের সংখ্যা) সিলেক্ট করুন।

এসি ক্যালকুলেটর -ষ্টেপ-২
ষ্টেপ-২

  • Next বাটনে ক্লিক করে পরের অপশনে যান । নিচের ইমেজটি ভিজিবল হবে এবং 
  • ষ্টেপ-৩ থেকে Wall Type (দেয়ালের ধরন) বাছাই করুন, যে কোনো একটি। আপনার রুমে যে দেয়াল দেয়া হয়েছে এখানে তা উল্লেখ করতে হবে। 

ষ্টেপ-৩

  • Next এ ক্লিক করে পরের স্ক্রিন এ প্রবেশ করুন।
  • Room Position (রুমের অবস্থান) অর্থাৎ কোন ফ্লোর বা কয় তলায় আপনার রুমের অবস্থান সেটি উল্লেখ করুন। ষ্টেপ-৪ এর স্ত্রীনের ন্যায়।

ষ্টেপ-৪

  • Next এ যান ।
  • Number of Window (জানালার সংখ্যা) আপনার নির্বাচিত রুমে কয়টি জানালা আছে তা উল্লেখ করুন।

ষ্টেপ-৫

  • Next বাট চাপুন।
  • Number of Door (দরজার সংখ্যা) আপনার রুমে কয়টি দরজা আছে তা বাছাই করুন। স্টেপ-৬ থেকে।

ষ্টেপ-৬
ষ্টেপ-৬

  • Next  যান।
  • ষ্টেপ-৭ থেকে Number of People (রুমে মানুষের সংখ্যা) উল্লেখ করুন। রুমটিতে আপনার কতজন সদস্য অবস্থান করেন থাকে তা নির্বাচন করুন।

-ষ্টেপ-৭
ষ্টেপ-৭

  • এবার Next বাটন এ ক্লিক করলেই ষ্টেপ-৮ এর ন্যায় পেয়ে যাবেন আপনার ফলাফল:

-ষ্টেপ-৮
ষ্টেপ-৮

  • Recommended Air Conditioner Capacity : 1 Ton
  • প্রস্তাবিত এয়ার কন্ডিশনার ক্ষমতা : টন

আশা করি এখন থেকে আর এসি ক্রয়ে আপনাদের বেগ পেতে হবে না। ওয়াল্টনের প্রোগ্রামটি অনেক উপকার করবে আপনাকে

ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন, গরমে প্রচুর পরিমানে পানি পান করুন। শিশুদের এই গরমের মধ্যে ঘর থেকে বের করবেন না।

সাবধানতা: এসি ব্যবহারে সর্তক থাকুন। ঠিক মতো ঠান্ডা হচ্ছে কিনা খেয়াল রাখুন। ঠান্ডা কম হলে বুঝতে হবে আপনার এসিতে এই মুহুর্তে গ্যাস এর সংকট হয়েছে। গ্যাস রিফিল না করে আর এসি চালাবেন না। এতে বড় ধরনের বিপদের সম্ভাবনা হতে পারে।




আমি স্বপ্ন দেখিতে ভালোবাসি

আমি স্বপ্ন দেখিতে ভালোবাসি! স্বপ্ন দেখি সুখি সমৃদ্ধ বসবাস করিবার একখানা সুখের নীড়, শান্তির সুবিশাল ছায়াতলে বাবা মা ভাই বোনের হাসি উপচে পড়া একখানা পরিবারের, হৃদয়ের সহিত হৃদয়ের বন্ধন, গর্ভধারিনি মায়ের শান্তির হস্ত সন্তানের মাথে, ভাইয়ে ভাইয়ে আলিঙ্গন, বোনের অকৃত্রিম ভালোবাসা, বাবার রক্ত চাইনীর অপর প্রান্তে সিমাহিন ভালোবাসার বয়ে যাওয়া সুবিশাল একখানা নদি..

নীড় ছাড়িয়া মুক্ত বিহংগের মতোন উড়িয়া যাইতে চাহি আমার সমাজ পানে, যেইখানে থাকিবে মন উজার করিয়া কথা কহিবার মতোন কিছু বন্ধু বান্ধব.. দুঃখ সুখের কিঞ্চিত ভাগাভাগি, গরম চায়ের কাপে ঠোট স্পর্শ করিয়া দেশ, জাতি, ধর্ম লইয়া একটু আধটু বাক বিতিন্ডা, একটুসখানি খুন সুটি..

আমি গমন করিতে চাহি দেশ মাতৃকার নিকট.. যেই ধরার মাটিতে আছাড় খাইতে খাইতে দাঁড়াইয়াছি, যেই ধরা আমাকে একখানা পরিচিতি দিয়াছে, যেই ধরার আলো বায়ু আমাকে জড়াইয়া ধরিয়া আগলাইয়া রাখিয়াছে, যেইখানে নাই রক্তের গঙ্গা, নাই হানাহানি, কাটাকাটি, নাই ক্ষমতার জন্য উন্মাদনা, অর্থ বিত্ত বৈভবের জন্য নাই চরম পর্যায়ের হাহাকার,

নীল স্বচ্ছ সুবিশাল গগন পানে চাহিয়া কহিতে চাহি, আমি সুখি.. আমি সুখি.. আমি শান্তিতে সমৃদ্ধ..

আমার মা, মাটি, দেশ; আমার ভালোবাসা..

আমার ধরনী.. ভালোবাসায় টই-টুম্বুর..

আমি স্বপ্ন দেখিতে ভালোবাসি ! শেষের পরে অবশেষে আমি স্বপ্ন দেখিতেই থাকিবো..




আসুন প্রতিদিন অন্তত একটি ভালো কাজ করি

আসুন প্রতিদিন অন্তত একটি ভালো কাজ করি। আপনি আমি উভয়েই চলে যাবো। আমাদের একটি ভালো কাজই অবিনশ্বর ঐ পৃথিবীতে আমাদের ভালো থাকার পথ বের করে দিবে.. মোহাম্মদ শওকত আকবার




টিআইএন বা ই-টিআইএন রেজিষ্ট্রেশন

কিভাবে করবেন টিন সার্টিফিকেট রেজিস্ট্রেশন, সে বিষয়েই আজকের এই আলোকপাত। টিন রেজিষ্ট্রেশন করতে প্রথমেই নিচের ডকুমেন্ট্গুলো আপনার হাতের কাছে রাখুন –

  •  জাতীয় পরিচয় পত্র (National Identity Card NID)
  • মোবাইল নাম্বার
  • কোম্পানীর ক্ষেত্রে RJSC নাম্বার ইত্যাদি।

রেজিষ্ট্রেশন কার্যক্রম শূরু :

  • টিআইএন করার জন্য ভিজিট করুন- secure.incometax.gov.bd (এটি এনবিআর এর ই টিন রেজিস্ট্রেশন ওয়েবসাইট।)
  • মেন্যু থেকে Register লিংকে ক্লিক করুন।

ছবিতে দেখানো, নিচের রেজিস্ট্রেশন ফর্মটি পূরণ করুন

মোবাইল ভেরিফিকেশনের জন্য, আপনার মোবাইলে একটি Activation Code পাঠানো হবে। একাউন্ট সচল (Activate) করার জন্য এটি প্রয়োজন হবে। তাই আপনার ব্যবহৃত এবং চালু আছে এমন একটি নম্বর এখানে ব্যবহার করবেন।

ধাপ ২- এক্টিভেশন কোড ভেরিফিকেশন

এরপর আপনার দেয়া মোবাইল নম্বরে একটি ৬ ডিজিটের Activation Code পাঠানো হবে। কোডটি দিয়ে আপনার একাউন্ট সচল (Activate) করুন।

ধাপ ৩- টিন সার্টিফিকেট আবেদন ফর্ম পূরণ | টিন সার্টিফিকেট তৈরী

একাউন্ট চালু হওয়ার পর, পুনরায় লগ ইন করুন।লগইন করার পর নিচের মত একটি পেইজ দেখবেন। এখানে বাম পাশের উপর থেকে, Tin Application অপশনে ক্লিক করুন।

  • এরপর Register বাটনে ক্লিক করলেই টিন আবেদন করার ফরম দেখতে পাবেন এবং পর্দায় ‘Welcome To Taxpayer’s Identification Number (TIN) Registration/Re-registration’ এই মেসেজ দেখা যাবে।

অর্থাৎ আয়কর সাইটে আপনার একাউন্ট তৈরি হয়ে গেছে। এখন লগইন অবস্থায় টিন সার্টিফিকেট আবেদন করে তাৎক্ষণিকভাবে আয়কর সনদ (TIN) ডাউনলোড করতে পারবেন।

একজন ব্যক্তি মাত্র একবারই টিন সার্টিফিকেট করতে পারবেন। কোনভাবেই ডুপ্লিকেট আয়কর নিবন্ধন বা ই-টিন করা যাবে না। 

মনে রাখবেন, ডাউনলোড করা টিন সার্টিফিকেটটি হারিয়ে গেলে কিংবা নষ্ট হয়ে গেলে আয়কর নিবন্ধন ওয়েবসাইট থেকে লগইন করে আবার টিন সার্টিফিকেট ডাউনলোড করতে পারবেন। লগিন এর জন্য ইউজার আইডি ও পাসওয়ার্ড মনে রাখতে হবে। তাই ইউজার আইডি ও পাসওয়ার্ড যত্নসহকারে সংরক্ষণ করুন।




শবে কদরের বিশেষ দোয়া

হজরত মা আয়েশা রাদিয়াল্লাহু তায়ালা আনহা পেয়ারা নবী রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর কাছে জানতে চাইলেন, যদি আমি শবে কদর পেয়ে যাই, তাহলে কী দোয়া করব? রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উত্তরে বললেন –

اللَّهُمَّ إِنَّكَ عُفُوٌّ تُحِبُّ الْعَفْوَ فَاعْفُ عَنِّي

উচ্চারন : আল্লাহুম্মা ইন্নাকা আফুউন, তুহিব্বুল আফওয়া, ফাফু আন্নি।

অর্থ : হে আল্লাহ, আপনি তো ক্ষমাশীল, ক্ষমা পছন্দ করেন, তাই আমাকে ক্ষমা করে দিন।

আসুন জানি, শব্দে শব্দে উচ্চারন ও অর্থ –

আরবী –    উচ্চারন –      অর্থ

اللَّهُمَّ – আল্লাহুম্মা –  হে আল্লাহ

إِنَّكَ – ইন্নাকা – নিশ্চয় আপনি

عُفُوٌّ – আফুউন – ক্ষমাশীল, ক্ষমার আধার

تُحِبُّ – তুহিব্বুল – আপনি পছন্দ করেন

الْعَفْوَ – আফওয়া – ক্ষমা করতে

فَاعْفُ – ফাফু – অত:পর ক্ষমা করুন

عَنِّي – আন্নি –  আমাকে।

আল্লাহ্ সুবহানাহু তায়ালা মর্তবা সম্পন্ন এই দোয়াটি আমাদের সকলের জীবনে লাইলাতুল ক্বদরের রাত্রিতেই শুধু নয়, সদা সর্বদা আমল করার তৌফিক দান করুন। আমীন।




টিন সার্টিফিকেট থাকলেই কি আয়কর দিতে হবে?

টিআইএন TIN বা ই-টিআইএন e-TIN সার্টিফিকেট থাকলেই কি আয়কর দিতে হয়?

বিভিন্ন প্রয়োজনে TIN টিআইএন বা টিন সাটিফিকেট তৈরীর পরে আমাদের অনেকের ভেতরেই একটি ভয় কাজ করে থাকে যে, এই বুঝি পড়ে গেলাম ইনকাম ট্রেক্সের গ্যারাকলে। ইনকাম হোক আর নাই হোক হয়তো আমকে বুঝি প্রতিবছরই ইনকাম ট্যাক্স প্রদান করে যেতে হবে।

হ্যা, TIN টিআইএন বা টিন সার্টিফিকেট থাকলেই আপনাকে আয়কর দিতে হবে তবে অবশ্যই আপনার করযোগ্য আয় থাকতে হবে। (পূর্বের আলোচনায় বলেছি)

এনবিআর কর্তৃক নির্ধারিত গেজেট অনুসারে যদি করযোগ্য আয় থেকে থাকে তবেই আপনাকে Income Tax বা আয়কর পরিশোধ করতে হবে। অন্যথায় নয়। ( উক্ত আর্টিকেল টি ২০২২-২০২৩ এর জন্যও প্রযোজ্য )  আপনাকে শুধুই জিরো বা শুন্য বিবরনীতে আয়কর রিটার্ন দাখিল করতে হবে।

মনে রাখবেন, NBR প্রতি বছরই আয়করের সীমা নির্ধারন করে গেজেট প্রকাশ করে থাকে। আর সে গেজেট দেখেই প্রতিটা করদাতা কর পরিশোধ করে থাকেন।  (আয়কর নির্দেশিকা 2022-2023)

যদি আপনার বাৎসরিক আয় ৩ লক্ষ টাকা এবং মহিলা ৩ লক্ষ ৫০ হাজার টাকার বেশী আয় থাকে এবং আয়ের উপর কর প্রযোজ্য হলেই আপনাকে আয়কর পরিশোধ করতে হবে।

নিচের উদাহরন থেকে স্পষ্ট ধারনা গ্রহন করতে পারেন,

ধরুন, আপনি একজন পুরুষ এবং আপনার বাৎসরিক আয় ৫ লক্ষ টাকা। অর্থ আইন, ২০২১ অনুসারে আপনার প্রথম ৩ লক্ষ টাকা করমুক্ত যার উপর কোন কর দিতে হবে না। অবশিষ্ঠ ২ লক্ষ টাকার প্রথম ১ লক্ষ টাকার উপর ৫% এবং পরবর্তী ১ লক্ষ টাকার উপর ১০% হারে আয়কর ধার্য করা হবে। সুতরাং আয়করের পরিমাণ নিম্নরূপ:

আয় কর হার করের পরিমাণ
প্রথম ৩,০০,০০০ টাকা (করমুক্ত) ০% ০/-
পরবর্তী ১,০০,০০০ টাকা পর্যন্ত ৫% ৫,০০০/-
পরবর্তী ১,০০,০০০ টাকা পর্যন্ত ১০% ১০,০০০/-
মোট ১৫,০০০/-

উল্লেখ্য, করমুক্ত আয়ের সীমা অতিক্রম করলেই একটি নুন্যতম আয়কর পরিশোধ করতে হয়।

নুন্যতম আয়করের তালিকা

ঢাকা ও চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন এলাকার করদাতা ৫,০০০/-
অন্যান্য সিটি কর্পোরেশনের করদাতা ৪,০০০/-
সিটি কর্পোরেশন ব্যতীত অন্যান্য এলাকার করদাতা ৩,০০০/-

অর্থাৎ আয় অনুসারে ধার্যকৃত করের পরিমাণ নুন্যতম আয়করের কম হলে, আপনাকে নুন্যতম কর পরিশোধ করতে হবে।

তাছাড়া, তৃতীয় লিঙ্গের করদাতা এবং ৬৫ বছর বা তার বেশি বয়সের পুরুষ ও মহিলার ক্ষেত্রে বছরে ৩,৫০,০০০ টাকার বেশি, যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা এবং প্রতিবন্ধীদের ক্ষেত্রে ৪,৭৫,০০০ টাকার বেশি আয় হলে কর দিতে হবে।

তবে কর অব্যাহতি প্রাপ্ত আয় থাকলেও কিছু কিছু উতসে আয়ের উপর ক্সেত্রে সরকার সম্পূর্ন কখনোবা আংশিক কর অব্যাহতি বা ছাড় দিয়ে থেকে। অর্থ্যাৎ তাদের কোনো কর পরিশো করতে হয় না। যেমন :

  • বৈদেশিক রেমিটেন্স, সরকারি ভাতা ও পেনশনের টাকা সম্পূর্ণ করের অব্যাহতি প্রাপ্ত।
  • আবার হাঁস-মুরগির খামার থেকে অর্জিত আয়ের ক্ষেত্রে প্রথম ২০ লাখ টাকা পর্যন্ত কোন কর দিতে হবে না।

২০২২-২০২৩ সালের আয়কর নির্দেশিকা অনুযায়ী টিন সার্টিফিকেট থাকলেই আপনাকে আয়কর রিটার্ন দিতে হবে না। আপনার করযোগ্য আয় থাকলে অথবা বাধ্যতামূলকভাবে আয়কর রিটার্ন দাখিল করতে হবে এমন ব্যক্তির তালিকায় থাকলেই আয়কর রিটার্ন দাখিল করতে হবে।

কখন বাধ্যতামূলক আয়কর রিটার্ন দাখিল করতে হবে

বাধ্যতামূলক আয়কর রিটার্নের ক্ষেত্রে আপনার আয় শুন্য হলেও আপনাকে আয়কর রিটার্ন জমা দিতে হবে। তবে আপনি নির্ভয়ে থাকুন আপনাকে আয়কর দিতে হবে না

নিম্মোক্ত ক্ষেত্রে আপনার আয় শুন্য হলেও আপনাকে টিন সার্টিফিকেট ডাউনলোড করতে হবে এবং বাধ্যতামূলক আয়কর রিটার্ন দাখিল করতে হবে। (আয়কর নির্দেশিকা 2022-2023)

  • করদাতার মােট আয় করমুক্ত সীমা অতিক্রম করলে
  • আয়বর্ষের পূর্ববর্তী তিন বছরের যে কোন বছর করদাতার কর নির্ধারণ হয়ে থাকে বা তার আয় করযােগ্য হয়ে থাকে
  • ফার্মের অংশীদার হলে
  • কোম্পানির শেয়ারহােল্ডার পরিচালক বা শেয়ারহােল্ডার কর্মচারী হলে
  • সরকার অথবা সরকারের কোন কর্তৃপক্ষ, কর্পোরেশন, সত্ত্বা বা ইউনিটের বা প্রচলিত কোন আইন, আদেশ বা দলিলের মাধ্যমে গঠিত কোন কর্তৃপক্ষ, কর্পোরেশন, সত্ত্বা বা ইউনিটের কর্মচারী হয়ে ১৬,০০০ টাকা বা তদূর্ধ্ব পরিমাণ মূল বেতন আহরণ করলে
  • কোন ব্যবসায় বা পেশায় যেকোন নির্বাহী বা ব্যবস্থাপনা পদে বেতনভােগী কর্মী হলে
  • কর অব্যাহতি প্রাপ্ত বা হ্রাসকৃত হারে করযােগ্য আয় থাকলে
  • মােটর গাড়ির মালিক হলে
  • সিটি কর্পোরেশন, পৌরসভা বা ইউনিয়ন পরিষদ হতে ট্রেড লাইসেন্স গ্রহণ করে কোন ব্যবসা বা পেশা পরিচালনা করলে
  • মূল্য সংযােজন কর আইনের অধীন নিবন্ধিত কোন ক্লাবের সদস্যপদ থাকলে
  • চিকিৎসক, দন্ত চিকিৎসক, আইনজীবী, চার্টার্ড একাউন্টেন্ট, কস্ট এন্ড ম্যানেজমেন্ট একাউন্টেন্ট, প্রকৌশলী, স্থপতি অথবা সার্ভেয়ার হিসেবে বা সমজাতীয় পেশাজীবী হিসেবে কোন স্বীকৃত পেশাজীবী সংস্থার নিবন্ধিত হলে
  • আয়কর পেশাজীবী হিসেবে জাতীয় রাজস্ব বাের্ডে নিবন্ধিত হলে
  • কোন বণিক বা শিল্প বিষয়ক চেম্বার বা ব্যবসায়িক সংঘ বা সংস্থার সদস্য হলে
  • কোন পৌরসভা বা সিটি করপােরেশনের কোন পদে বা সংসদ সদস্য পদে প্রার্থী হলে
  • সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্বশাসিত সংস্থা বা কোন স্থানীয় সরকারের কোন টেন্ডারে অংশগ্রহণ করলে
  • . কোন কোম্পানির বা কোন গ্রুপ অব কোম্পানিজের পরিচালনা পর্ষদে থাকলে
  • মটরযান, স্পেস/স্থান, বাসস্থান অথবা অন্যান্য সম্পদ সরবরাহের মাধ্যমে শেয়ারড ইকোনমিক এক্টিভিটিজে অংশগ্রহণ করলে
  • লাইসেন্সধারী অস্ত্রের মালিক হলে।

আশা করি আয়কর প্রদানের বিষয়ে কিছুটা হলেও উপকৃত হয়ে থাকবেন।




টিআইএন (TIN) বা ই-টিআইএন (e-TIN) সার্টিফিকেট এর প্রয়োজনীয়তা, সুবিধা ও অসুবিধা..

টিআইএন (TIN) বা ই-টিআইএন (e-TIN)  সার্টিফিকেট এর প্রয়োজনীয়তা, সুবিধা, অসুবিধা নিয়েই আমার আজকের সংক্ষিপ্ত আলোচনা। আপনাদের কিঞ্চিত উপকার হলেই আমার কষ্ট সার্থক। তো আসুন, শুরু করি।

আমাদের দৈনন্দিন জিবনে অর্থনৈতিক প্রতিটি দাপ্তরিক কর্মকান্ডের সাথে জড়িত এই টিআইএন (TIN) বা ই-টিআইএন (e-TIN)। বিরাট এক ভোগান্তির বিষয় মনে হয় – তাই না ? আসলে টিআইএন (TIN) বা ই-টিআইএন (e-TIN) কে আমরা যতখানি ভোগান্তির বিষয় বলে মনে করি, আসলে কিন্তু সেরকমটি নয়। তাহলে এই টিআইএন (TIN) বা ই-টিআইএন (e-TIN) কি ? কি জন্য এর প্রয়োজন, কিই-বা এর সুবিধা আর অসুবিধা তাই জানবো আজ।

টিআইএন (TIN) সার্টিফিকেট কি ?

টিআইএন (TIN) হচ্ছে (Taxpayer’s Identification Number) এর সর্ট ফর্ম। আপনি দেশের একজন সন্মানিত করদাতা তা প্রমানের নাম্বারযুক্ত একটি সনদ। দেশের একজন করদাতা এবং আপনার একটি ট্যাক্স আইডেন্টিফিকেশন নম্বর (Taxpayer’s Identification Number) আছে এরকম একটি সনদকেই টিআইএন (TIN) (TIN Certificate) বলা হয়।

টিআইএন (TIN) থাকলেই যে আপনাকে আয়কর পরিশোধ করতে হবে এমনটি কিন্তু নয়। আপনার আয় যদি NBR (National Board of Revenue) বা জাতীয় রাজস্ব বোর্ড কর্তৃক নির্ধারিত করসীমার মধ্যে থাকে তাহলেই কেবল আপনাকে আয়কর পরিশোধ করতে হবে। আর যদি বাৎসরিক আয় করসীমার নীচে থাকে, তবে আপনাকে আর আয়কর বা ইনকাম ট্যাক্স পরিশোধ করতে হবেনা। তবে আপনাকে শুধুই জিরো বা শুন্য বিবরনীতে আয়কর রিটার্ন দাখিল করতে হবে।

মনে রাখবেন, NBR (National Board of Revenue) বা জাতীয় রাজস্ব বোর্ড কর্তৃক প্রতি বছরই আয়করের সীমা নির্ধারনসহ আয়করের এ টু জেড সম্বলিত একটি গেজেট প্রকাশ করে থাকে। আর সে গেজেট  অনুযায়ীই প্রতিটা ট্যাক্সপেয়ার বা করদাতা আয়কর পরিশোধ করে থাকেন।

টিআইএন (TIN) বা ই-টিআইএন (e-TIN) নাম্বার কি ?

টিআইএন (TIN) নাম্বার মূলত: ১০ ডিজিটের একটি পরিচিতি নাম্বার। যে নাম্বারে আপনাকে সনাক্ত করা যাবে যে, আপনি দেশের একজন করদাতা। এই নাম্বারের মাধ্যমে করদাতার কর অঞ্চল, কর দাতার পদমর্যাদা আর কর দাতার পরিচিতি বহন করে। এছাড়া বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্টান এই টিআইএন (TIN) Number  দিয়ে টিআইএন (TIN) সার্টিফিকেট যাচাই করতে পারে।

টিআইএন (TIN) নাম্বার পরিবর্তন হয়ে এখন ই- টিআইএন (e-TIN) এ রুপান্তরিত হয়েছে। ই-টিআইএন হলো আয়কর নিবন্ধনের আধুনিক সংস্করণ। (Electronic Taxpayer’s Identification Number-eTIN ) ইলেকট্রনিক কর শনাক্তকরণ নম্বর (ই-টিআইএন) ।

টিআইএন (TIN) হচ্ছে সনাতন পদ্ধতি আর ই-টিআইএন হচ্ছে চলমান আধুনিক পদ্বতি ।  টিআইএন (TIN) হচ্ছে ১০ ডিজিট সম্বলিত আর ই-টিআইএন হচ্ছে ১২ ডিজিট সম্বলিত।

টিআইএন (TIN) বা ই-টিআইএন (e-TIN) সার্টিফিকেট কেনো প্রয়োজন ?

নিম্নে উল্লেখিত ক্ষেত্র সমুহে আপনার আয় করসীমার মধ্যে না আসলেও, আপনার বাধ্যতামূলকভাবে টিআইএন (TIN) বা ই-টিআইএন (e-TIN) সার্টিফিকেট প্রয়োজন হবে। যেমন:

  • ব্যবসা বা চাকরির ক্ষেত্রে।
  • ব্যাংকিং ট্রান্সেকশান করতে।
  • পন্য আমদানি / রপ্তানি করতে।
  • কোম্পানির শেয়ার ক্রয়ে।
  • রাইড শেয়ারিং কোম্পানিতে গাড়ি দিতে ।
  • গাড়ি , ফ্ল্যাট বা প্লট ক্রয়ে।
  • নির্বাচনী প্রার্থী হতে।
  • সরকারি, আধা সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত সংস্থার টেন্ডারে অংশ নিতে।
  • মুক্ত পেশাজীবী যেমন হিসাবরক্ষক, আইনজীবী, চিকিৎসক, প্রকৌশলীদের পেশার চর্চায়।
  • ব্যবসায়িক সমিতি বা কোনো নিবন্ধিত সংগঠনের সদস্য হতে ।

টিআইএন (TIN) বা ই-টিআইএন (e-TIN) সার্টিফিকেটের সুবিধাসমূহ

টিআইএন (TIN) সার্টিফিকেটের মাধ্যমে আপনি যে দেশের একজন গর্বিত করদাতা হিসেবে নিবন্ধিত হলেন – সে ই পরিচিতি বহন করার পাশাপটাশি কিছু ব্যক্তিগত সুবিধাও রয়েছে যেমন,

  • সঞ্চয়পত্র এবং ব্যাংকে আপনার জমাকৃত অর্থের আয় থেকে ১০% কর কর্তন করা হবে। যদি টিআইএন (TIN) না থাকে ১৫% কর্তন করা হবে।
  • সরকার বিভিন্ন সময় বিভিন্ন পেশাজীবি বা ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের প্রণোদনা দেয়। এসব সুবিধা নিতেও প্রয়োজন হয় টিআইএন (TIN)।

টিআইএন (TIN) বা ই-টিআইএন (e-TIN) সার্টিফিকেট এর অসুবিধা

টিআইএন (TIN) সার্টিফিকেটের শুধুমাত্র একটিই অসুবিধা, আর তা হচ্ছে করযোগ্য আয় থাকুক বা নাই থাকুক প্রতি বছর আপনাকে ট্যাক্স রিটার্ন সাবমিট করতেই হবে। তবে পর পর ৩ বছর যদি আপনার করযোগ্য আয় জিরো হয় অর্থাৎ আপনার বার্ষিক আয় করসীমার নিচে থাকে, তাহলে চতুর্থ বার আপনাকে রিটার্ন দাখিল না করলেও চলবে এবং আপনি আপনার আয়কর নিবন্ধন বাতিলের জন্য আবেদন করতে পারবেন। তবে মনে রাখবেন, রিটার্ন জমা না করলে আপনার আয় কালো টাকা হিসেবে গন্য হবে।




যানজট নিরসনে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহনের অনুরোধ

বরাবর,
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী,
রাষ্ট্রনায়ক বঙ্গকন্যা শেখ হাসিনা,
গনপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার।

বিষয় : ”ঢাকার যানজট নিরসনে কিছু একটা করেন “ প্রসঙ্গে।

জনাবা,

আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহে ওয়া বারাকাতুহু।

আমি মূর্খ গলাবাজ, মুর্খের গলাবাজি থেকে আপনার সমীপে প্রানপ্রিয় শহর ঢাকার যানজট নিরশনকল্পে ওষ্ঠাগত জীবন নিয়ে একখানা কষ্টের কাব্য পেশ করিতেছি। ইহা আপনার দৃষ্টিগোচর হইবে কিনা তাহা সর্ব শক্তীমান আল্লাহ পাকই ভালো জানেন।

প্রানপ্রিয় বুবুজান, ইহাকে যদি টিকটক দিয়া একখানা ভিডিও তৈরী করিয়া ফেসবুকের মাধ্যমে কিঞ্চিত ডলার খরচ করিয়া একটু বুষ্ট করিয়া দিতে পারিতাম, তাহা হইলে হয়তো ইহা আপনার দষ্টিগোচর হইতো। আপনার স্নেহাস্পদ হেভিওয়েট পদলেহনকারী নেতা কর্মীরা মুহুর্তের মধ্যেই আপনার সমীপে পেশ করিয়া দিতো, বিলম্ব করিতো না এক মুহুর্তও। ইহার হেতু এই যে, আপনার নামে একটুসখানি তেতো কথা কহিলেই তাহা আপনার সমীপে উপস্থাপন করিতে ঐসব পদলেহনকারী নেতারা অতন্দ্র প্রহরীরর ন্যায় সদা সর্বদা নিয়োজিত থাকেন। কিভাবে কাহাকে ডিজিটাল আইনে ১৪ শিকের মধ্যে ভরিয়া রাখা যায় তাহার সন্ধান করিতে থাকেন।

যাহা হউক বুজান, আসল কথা ফিরিয়া আসি। আপনি তো জানেন না, ঢাকাবাসীকে প্রতিদিন কিরকম অসহনীয় যানজট মোবাবেলা করিয়া চলিতে হয়। আধা ঘন্টার পথ কয় ঘন্টায় পাড়ি দিতে হয়। অবশ্য আপনি ইহাই বা জানিবেন কিরুপে? আপনি তো আর পাবলিক বাস বা প্রাইভেট কারে করিয়া অফিসমুখী গমন করেন না। আপনার জন্য তো সর্বসময় সর্বখানে উন্মুক্ত একখানা রাস্তা রিজার্ভ করিয়া রাখিয়া দিতে হয়। আপনার সামনে পেছনে বাহারী রংয়ে সজ্জিত বংশীবাদকের দল ফুরুত ফুরুত করিয়া ঘন্টা বাজাইতে বাজাইতে রাস্ত ফাকা করিয়া দিয়া, আপনার বিশাল বহর সানন্দে এয়ার কন্ডিশনযুক্ত দামী গাড়িতে চড়িয়া আপনাকে গন্তব্যে পৌছাইয়া দেয়। আমরা সকলে রাস্তার এক পার্শ্বে  সরিয়া গিয়া আপনার পথকে সুগম করিয়া দেই।

বুজান, আমরা তো আর আপনার মতোন অতো বড়ো মাপের মানুষ নই। আমরা আম-জনতা। আমাদের সর্বাঙ্গে নির্যাতনের মোহর । আমরা শুধুই একখান ভোটের মালিক। যাহা হউক, আপনি হয়তো ইতোমধ্যে গনমাধ্যমের বদৌলতে জানিতে পারিয়াছেন, আসন্ন ঈদ উৎসবকে কেন্দ্র করিয়া ঢাকা শহরে মনুষ্য জাতির বেড়েছে কর্মতৎপরতা। তীব্র থেকে তীব্রতর হয়েছে যানজটের ভোগান্তি। এইরুপ যানজটের হেতুই বা কি ?

দিনের পর দিন উহা যে কেনো এমন প্রকট আকার ধারন করিতেছে তাহা যানজট নিরশনকল্পে নিয়োজিত বিশেষজ্ঞরাই ভালো কহিতে পারেন। তাহাদের মতে, ভুল পরিকল্পনার সঙ্গে আছে অব্যবস্থাপনা, অনিয়ম ও দুর্নীতির। তৈরী হইয়াছে ওভারপাস, ইউলুপ, চলমান আরো বেশ কিছু মেগা প্রকল্পও।  আর ইত্যাদি কারনেই এত্তো এত্তো অর্থ খরচের  পরেও প্রকল্পগুলো যানজট নিরশনকল্পে কোনোরুপ কাজেই আসিতেছে না ।

তাহাদের বর্তমান অভিমত এমন যে, দীর্ঘ মেয়াদী পরিকল্পনার পাশাপাশি কিছু স্বল্প মেয়াদী পরিকল্পনাও গ্রহন করা যাইতে পারে,  যেমনঃ খানাখন্দে ভরা রাস্তা মেরামত করা, রাস্তা ও ফুটপাত দখলমুক্ত করা, যত্রতত্র গাড়ি পার্কিং না করা, সড়কের নির্দিষ্ট স্থানে যাত্রী উঠা নামা করানো, ট্রাফিক আইন মানিয়া চলার মতো কাজ অতিব জরুরী। তবে এইসব কর্মকান্ডে যতটা না আর্থিক জোগানের প্রয়োজন তাহার চাইতে বেশি দরকার আন্তরিকতা। বিদ্যমান অবকাঠানো এবং জনবল দিয়েই যানজট কমানো সম্ভব।

বুবুজান, ইহা তো গেলা বুদ্ধিজীবিদের কথা, আর আমার মতো মুর্খের কথা স্পষ্ট যে, কিরুপে ইহার সমাধান করিবেন তাহা আপনাকেই করিতে হইবে। ইহারও হেতু, সকল জবাবদিহিতা আপনারই। কেনোনা আপনি ক্ষমতাশীন সরকার। জনগনের কাছে প্রতিজ্ঞা করিয়া একখানা একখানা ভোটের বিনিময়ে আপনি নির্বাচিত হ্ইয়াছেন। ইহা আমি সেই প্রথম কিস্ততে ক্ষমতায় আসার কথা বলিলাম। বাকিগুলো সবই ই ইতিহাস..

তবে হেতু যাহাই হোক; যানজট নিরশনকল্পে ভুমিকা কিন্তু আপনার সরকারকেই গ্রহন করিতে হইবে। দিন যত অতিবাহিত হইতেছে আম জনতা ততোই আপনার উপর আর আপনার সরকারের উপর ফোস ফোস করিয়া ক্ষিপ্ত হইয়া উঠিতেছে। কখন যে গনেশ পাল্টে যায় ইহা কেহই আর কহিতে পারে না। কেনোনা কেহই তো আর ভবিষ্যত গননা করিয়া বলিয়া দিতে পারেনা। আন্তাজার্তিক রাজনৈতিক বাজারে এহেন উদাহরন অজস্র অজস্র। দুইশত, চারশত বছর ক্ষমতায় টিকিয়া থাকার পরেও আকস্মিকই যে গনেশ উল্টাইয়া গিয়াছে, তাহা ক্ষমতাশীনরা ঠাহর করিয়াই উঠিতে পারে নাই। পশ্চাদ দেশের কাপড় খুলিয়া দৌড়াইয়া দৌড়াইয়াও জনতার রোষানল হইতে রক্ষা পায় নাই।

বুজান, এই ঈদে ঘরমুখী মানুষের জন্য একটু আন্তরিক হোন। তাহারা যেনো আত্নীয় পরিজনের কাছে নির্দিষ্ট সময়ে, নির্বিঘ্নে পৌছাইতে পারে, তাহার জন্য আপনি নিজেই একটু তদারকি করিবেন।

পদ্মা সেতু উদ্বোধনে যেরুপ ড্রোন ইউজ করিয়া মানুষের উপস্থিতি গনান করিয়াছিলেন আপনাকে সেইরুপ কিছু একটা পদেক্ষেপ নিয়া বর্তমান যানজট স্বীয় দৃষ্টিতে পর্যালোচনা করার অনুরোধ করিতেছি। আপনার পদলেহনকারী নেকা কর্মী, মন্ত্রী-সচিরবদের উপর নির্ভর করিয়া নয়, আপনি মাত্র একটি দিন একজন আম জনতা হইয়া রাস্তায় নামিয়া দেখূন। এইভাবে জীবন যাপন করা যায় কি?

বুজান, বিশেষ কিছুই আজ আর কহিতে চাহি না। সম্মুখে ইদ। এই ঈদে আল্লাহ রাহমানীর রাহিম আপনাকে আপনার আশে পাশের পদলেহনকারীদের থেকে মুক্তি দান করুন। তাহা না হইলে একদা আপনিও রক্ষা পাইবেন না। আজ না হয় কাল, কাল নাহয় পরশু.. ১ বছর, ১০০ বছর পরে হইলেও আপনাকে এই নিমর্ম সত্যের স্বাদ আচ্ছাদন করিতে হইবে।

আপনার মঙ্গল কামনায়,

ইতি,
১৬ কোটি বাংগালীর মধ্য হইতে আপনারই দেশীয় কনিষ্ট এক ভ্রাতা-
”মূর্খ গলাবাজ”।