আওয়ামী সরকারের বন্দনা নামা, 2024

আওয়ামী সরকারের বন্দনা নামা, 2024 সালের 5 আগষ্ট,  দুর্ধর্ষ খুনী, নব্য সীমার, ফ্যাসিবাদি শেখ হাসিনা ও তার সাঙ্গ পাঙ্গদের ক্ষমতার অবসান, সাড়া বাংলাদেশ থেকে আওয়ামীলীগের দূর্নীতিবাজ মন্ত্রি, এমপি, আমলারা জীবন বাঁচানোর জন্য খোলশ পরিবর্তন এবং দেশ ত্যাগের পরের চিত্র নিয়ে রচিত একটি গণ-সঙ্গীত। ধিক সেই সব জুলুমবাজদের। যারা নিজের মাকে অন্ধকার গলিতে বেঁচে দিতেও দ্বিধাবোধ করেনা।

আওয়ামী সরকারের বন্দনা নামা, 2024
– মোহাম্মদ শওকত আকবার

দেখো জনগনের ঠেলায়
দেশ ছাইড়া পালায়,
দুর্নিতীবাজ মন্ত্রি, এমপি
আমলারা সবায়,
হাসিনাও ঠাই নিলো
মোদির হেরেম খানায়,
দেখো জনগনের ঠেলায়
দেশ ছাইড়া পালায়।

অস্ত্রবাজি, খুন, গুম আর ভোটের প্রহসন,
ষোল বছর এম্নি করছে দেশের উন্নয়ন।
লুইট্যা পুইট্যা খাইছেরে দেশ বইসা ক্ষমতায়।
কাউয়া, ফেউয়া, দরবেশ, অলি, ভন্ডরা সবায়,
দেখো, প্রান বাঁচানোর আশায় গর্তে যে লুকায়।

মাথা মোটা, আবাল চোদা মন্ত্রি মিনিষ্টার,
নর্তকি আর বাইজি দিয়া দেশ করছে ছারখার।
দেশটা নাকি  বাপেরি তার
চিল্লায়া যে কয়,
বাপের ভিটা ছাইড়া শেষে
পালায় ইন্ডিয়ায়।
দেখো, প্রান বাঁচানোর আশায়
দেশ ছাইড়া পালায়।

বুদ্ধিজীবি দিছে ফাশি বইলা রাজাকার,
বীর সেনাদের বধের নাটক পিলখানা ঘটনার।

বাপের খুনের বদলা নিলো
নিজের কাঠগড়ায়।
নতুন রুপে বইসা সে
সিমারের জায়গায়।
দেখো, প্রান বাঁচানোর আশায়
দেশ ছাইড়া পালায়।

আওয়ামী সরকারের বন্দনানামাপাপের বোঝা করছে ভারি
ষোল বছর ধরে,
হাজার মানুষ করছে্রে খুন
রাইখা আয়না ঘরে,
অপকর্মের করছে পাহাড়
জয় বাংলার দোয়ায়।
পাতি নেতা, ছাতি নেতা গর্তে যে লুকায়।
দেখো, প্রান বাঁচানোর আশায়
দেশ ছাইড়া পালায়।

গল্প বলার রাক্ষুসিরে
দেখলো কচি কাচা,
যার হাতেই বাংগালির
ছিলো মরা বাঁচা।
ইবলিশও যে মানছে হার
শেখ হাসিনার কাছে,
ইবলিশে কয় আমার গুরু
বাংলাদেশেই আছে।
হাসিনারে রাইখা ইবলিশ
শান্তি মনে পায়,
তার দায়িত্ব হাসিনারে
অর্পন কইরা যায়।
দেখো জনগনের ঠেলায়,
দেশ ছাইড়া পালায়।

জুলুমবাজি কইরা কেউ
পায় নাতো পাড়,
আল্লাহ পাক করেন একদিন
জুলুমের বিচার।
জুলুমকারির মান সন্মান
আল্লায় কাইড়া নেয়,
নাস্তা নাবুদ কইরা ছাড়ে
এই দুনিয়ায়।
আখিরাতের বোনাস বিচার
থাকে বাকির খাতায়।
দেখো, জনগনের ঠেলায় দেশ ছাইড়া পালায়।

পরিশেষে, আঠারো কোটি নিষ্পেষিত বাঙ্গালী আজ একটি সুখী, সমৃদ্ধ, মত প্রকাশের স্বাধীন দেশের স্বপ্ন দেখি। অতীতের শিক্ষা নিয়ে নতুন রাজনীতিবিদরা সাদা মন নিয়ে, দেশ গঠনের অঙ্গিকার নিয়ে এগিয়ে যাবেন, তা-ই আমাদের প্রত্যাশা। বাংলাদেশ দীর্ঘজীবি হোক।