যদি সত্যিই হয়

যদি সত্যিই হয়; কবিতাটি আগষ্ট, ২০২৪ সালের ভয়াবহ বন্যা নিয়ে রচিত। বাংলাদেশ বলেছে আগাম সতর্কতা ও প্রস্তুতি নেয়ার সুযোগ না দিয়ে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যে ডাম্বুর বাঁধ খুলে দেয়ার কারণে এই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে আর ড্যাম খুলে দেয়ার অভিযোগটি নাকচ করে দিয়েছেন ত্রিপুরার বিদ্যুৎমন্ত্রী রতন লাল নাথ।

যদি সত্যিই হয়
– মোহাম্মদ শওকত আকবার

স্বেচ্ছায় তুমি খুলে দিলে বাধ
ভাই ত্রিপুরা,
শত শত মানুষ করিলে নিধন
লাখো গৃহহারা।

ঘর বাড়ি, ফসলি জমি
সবি কাড়িয়া নিলে,
গোয়ালের গরু, পুকুরের মাছ
বানে ভাসাইয়া দিলে।

কি অন্যায় ছিলো আমাদের
আমরা তোমার পর?
ক্যামনে করিলে এমন বর্বরতা
হলে বর্বর।

এ যে নিষ্ঠুরতা , এ যে অন্যায়,
একবারই কি উঁকি দেয় নাই
বোধের আংগিনায়।

মানব হয়ে মানব নিধন
আমাদের কি শোভা পায়?
কে আছে আসাম, উড়িষ্যা, মেজোরাম,
কেবা ত্রিপুরা, বাংলায়।

মানবের কি কোনো দেশ হয়?
হয় কি জাত পাত?
সাড়া পৃথিবিই মানব আবাস
সবাই রহিম, রতন লাল নাথ।

ত্রিপুরা আর পুর্ব বাংলা
দুই পারে দুই ভিটি,
আমরাতো মানুষ একই পরিবার
একই আমাদের মাটি।

দুইদিকে দুইখান হতে পারে ভিটি
মানুষের আকার দুই নয়,
হিন্দু মুস্লিমের রক্ত তো লাল,
কারো কৃষ্ণকায় নয়।

স্বার্থের টানে যদি হয় এই
ঘটনার সুত্রপাত,
মোদি কিংবা মানিক সাহা
বলবো “নিপাত যাক”।

শত্রুতার ফল হয় কি ভালো
মনে রেখো মানিক আর মোদি,
তোমাদের জনতাই কাড়িয়া নিবে
তোমাদের ঐ গদি।

জাত পাত ভুলে জনতা
ধরবে চেপে  টুটি,
“রাম, রাম” যপোনা যতোই
হবেনা মুক্তি।
ভাংবে সেদিন জনতা মিলিয়া
সকল অসংগতি?

তারা তো কভু নিবেনা মানিয়া
জুলুম এই অন্যায়,
মানব খুনের দায়ে
হতে হবে দাঁড়
জনতার কাঠগড়ায়।

সৃষ্টি করেছো বিভেদ তোমরাই
হিন্দু মুসলমানে,
তোমরাই রাঙাও সবুজ মাটি
মানবের লাল খুনে।

মজলুমের কি তাগত দেখো,
উদাহরন বাংলাদেশ,
“হরি বল”, বলে তোমার জনতাই
করবে দিনের শেষ।

সেদিন আর বেশি দুরে নয়
মানিক সাহা আর মোদি,
তোমাদের দিকেই বাক নিবে দেখো
মানব খুনের নদী।

ভয়াবহ বন্যা নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্বশীল কোনো কোনো উপদেষ্টাকে বন্যার ভয়াবহতা নিয়ে কথা বলতে দেখা গেছে। তারা অভিযোগ করেছেন, “বাংলাদেশকে আগাম সতর্কতা ও প্রস্তুতি নেয়ার সুযোগ না দিয়ে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যে ডাম্বুর বাঁধ খুলে দেয়ার কারণে এই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।”
আগাম সতর্কতা ছাড়াই ড্যাম খুলে দেয়ার অভিযোগ নাকচ করে দিয়েছেন ত্রিপুরার বিদ্যুৎমন্ত্রী রতন লাল নাথ।

সম্পাদকীয়, দৈনিক সংবাদ
রোববার, ২৫ আগস্ট ২০২৪




বানভাসির আহাজারি

বানভাসির আহাজারি; এ আহাজারি আমার মায়ের, আমার বোনের, আমার প্রিয় কণ্যার। সে জাত পাতহীন একজন মানুষ। বানের তান্ডব তার সিঁদুর কেড়ে নিয়েছে।  তার আব্রু খুলে নিয়েছে। তার কোলের বাছারে গ্রাস করেছে। তার মাথা গোঁজার ঠাই ভাসিয়ে নিয়েছে। সকল হারিয়ে আজ নি:স্ব, সহায় সম্বলহীন এক গ্রামের রমনী। আমার মা, আমার বোন, সে আমারি কণ্যা।

বানভাসির আহাজারি
– মোহাম্মদ শওকত আকবার

বানের স্রোতে ভাসলো মানুষ
ডুবলো ঘর বাড়ি,
দুধের বাছা, জোয়ান, বৃদ্ধ,
ফসল সারি সারি।

ঘর গেলো চুলো গেলো
গেলো গোয়ালের গরু,
মাথার ছাদও ভেসে গেলো হায়
আরো গেলো আব্রু।

মৃতের সতকারে কিঞ্চিত মাটি নাই
জলে জলে ভরপুর,
সলিল সমাধি হইলো অযুত
মুসলিম আর হিন্দুর।

ভাসাইয়া দিয়া মৃতের সৎকার
করিতে হইলো আজি,
বান আসিলো, বান আসিলো
রাক্ষুসি সাজি।

গলাগলি করে বসবাস করি
সাপ বিচ্ছুর সাথে,
নৃশংস জানোয়ার কেঁদে ভাসায় বুক
মানবের বেদনাতে।

বানভাসির আহজারি

চারিদিকে অথৈ পানি
যতখানি চোখ যায়,
নীল আসমানও কষ্টের জল
অহর্নিশ ঝড়ায়।

সব হারিয়ে বিলাপ করি,
দানা পানি নাই পেটে,
সহিতে পারিনা ক্ষুদার যাতনা
বক্ষ যায় ফেটে।

ক্ষুধার তাড়নায় এসেছিলো যেজন
ফিরাই নাই তো কভু,
সেই আমি আজ ভিখেরি হলাম
দুখ নেই তো তবু..

আমারি মতোন লাখো মানুষের
নেই কোনো আজ ঠাই,
বানের স্রোতে ভেসে থাকি খানিক
খানিকটা সাতরাই।

সিঁথির সিঁদির মুছে গেলো হায়
শুন্য হইলো বুক,
বানবাসি হইলাম আজিকে,
হারাইলাম সব সুখ।

বানভাসির আহাজারি

হয়তো এক সময় কেটে যাবে এই দুর্যোগ। কিন্তু বানভাসীর এই মনের ক্ষত কি সহজে মুছবে? আমরা ফিরিয়ে দিতে পারবো তাদের উজ্জল অতীত। পারবোন। যে মা সন্তান হারিয়েছে, যে বোন তার সিঁদুর হারিয়েছে, যে ভাই তার মাথার ছাদ হারিয়েছে, যে বাবা তার ফসল হারিয়েছে। আমরা এসব কিছুই আর ফিরিয়ে দিতে পারবোনা। মুখ ভরে হয়তো আমরা আফশোশ করতে পারবো। যা তাদের কোনো উপকারেই আসবেনা।

তাদের বিন্দুমাত্র উপকারের জন্য আসুন বানভাসিদের পাশে দাঁড়াই। আপনার আমার যার যা আছে তা নিয়েই তাদের পাশে দাঁড়াই। মহান আল্লাহ তাদের সহায় হোক।

বানভাসির আহাজারি শুধু কি তাদের? এ আহাজারি আজ সমগ্র বাংলার আঠারো কোটি জনতার।




কষ্টের জারিজুরি

কষ্টের জারিজুরি – এই পোষ্টটি এক সময় একটি সোশ্যাল মিডিয়া গ্রুপে প্রচার হয়েছিলো। বেশ কয়েকটি ভালো কমেন্টস্ এর পাশাপাশি বিশ্রী রকমের কমেন্টস্ এরও আবির্ভাব হয়েছিলো। প্রচারের পরের দিন দেখি, এডমিন লিখাটি সরিয়ে ফেলেছে। খারাপ লাগেনি। উৎসাহ পেয়েছিলাম এই ভেবে যে, আমার মতো একজন মুর্খ মানুষের দু’একটি কথা হয়তো বিচক্ষন এডমিন পড়েছেন। ভেবেছেন, হয়তো এই লিখাটির জন্য যদি তিনি বিতর্কিত হবেন ।

নিজের পোষ্ট নিয়ে আশা পেয়েছিলাম যে, হয়তো কিছু একটা হচ্ছে। আর তা ভালো বা খারাপ। আর আজ নিজের সাইটেই তা পাবলিশ করে দিলাম।

কষ্টের জারিজুরি
– মোহাম্মদ শওকত আকবার

মরি হায়রে হায়
দুখ্যে পরান যায়,
সোনার বাংলা লুইট্যা খাইলো
শেখ হাসিনায়,
মরি হায়রে হায়।

উন্নয়নের নামে করছে
রাস্তা, ঘাট, রেল, সেতু,
জাতীরে বানাইছে যেনো
আহাম্মক আর চদু।
হাজার টাকার বানাইছে বিল
লক্ষ টাকায়,
বাকী টাকা বস্তায় ভইরা
বিদেশে পাঠায়।
মরি হায়রে হায়
দুখ্যে পরান যায়,
সোনার বাংলা লুইট্যা খাইলো
শেখ হাসিনায়,
মরি হায়রে হায়।

খাদ্য পণ্যের বাড়াইছে দাম
কইরা সিন্ডিকেট,
জুলুমবাজী করছে কায়েম
জয় বাংলা ইজ গ্রেট।
ফ্ল্যাট, প্লট কিন্যা লইছে
বেগম পাড়ায়,
টাকার পাহাড় করছে আরো
খাটেরও তলায়।
মরি হায়িরে হায়
দুখ্যে পরান যায়,
সোনার বাংলা নষ্ট করলো
শেখ হাসিনায়,
মরি হায়িরে হায়।

জন্ম দিছে ঘরে ঘরে
নেতা, পাতি নেতা,
হাজার কোটির মালিক হইছে
ছিলোনা যার খ্যাতা।
খ্যাতা ছাইড়া এখন তারা
ম্যাট্রেসে ঘুমায়,
সাথে লইয়া মক্ষিরানী
জান্নাতে হারায়।
মরি হায়িরে হায়
দুখ্যে পরান যায়,
সোনার বাংলা লুইট্যা খাইলো
শেখ হাসিনায়,
মরি হায়িরে হায়।


শিক্ষা দিক্ষা খাইছে গিল্যা
মুজিব কর্নারে,
বাচ্চাদের উতসাহ দেয়
ট্রাঞ্জেন্ডারে।
বইয়ের ভিতর ভুল ভালের
ইতিহাস ভরা,
ছাত্র, শিক্ষক সবাই মিল্যা
ছাড়ছে লেখা পড়া।
আবোল তাবোল শিক্ষা দিয়া
জাতিরে ঠকায়।
যা দেইখা শয়তানেও
কান্দিয়া পালায়।
মরি হায়িরে হায়
দুখ্যে পরান যায়,
সোনার বাংলা ধ্বংস করলো
শেখ হাসিনায়,
মরি হায়িরে হায়।

কি বলবো আর তাদের কথা
টাকলা, কাঊয়া অলি,
টাকার লোভে ন্যায়, সততা
দিছে জ্বলাঞ্জলি।
সংসদ যেনো হইলো তাদের
রংগের বাইজিখানা,
নাইচা দেখাইছিলো নুর
মমতা গাইছে গানা।
মরি হায়িরে হায়
দুখ্যে পরান যায়,
সোনার বাংলা ধ্বংস করলো
শেখ হাসিনায়,
মরি হায়িরে হায়।

তোমার কাছে বিচার দিলাম
প্রভু দয়াময়,
বিচার কইরো এই জালিমদের
জনতার কাঠগড়ায়।
তোমার রহমত দিয়া
উদ্ধার করো দেশ,
তানা হইলে বিরান হইবো
সোনার বাংলাদেশ।
মরি হায়িরে হায়
দুখ্যে পরান যায়,
সোনার বাংলা ধ্বংস করলো
শেখ হাসিনায়।
মরি হায়িরে হায়

জুলাই ৩০, ২০২৪ইং

সুদীর্ঘ ষোলটি বছর নির্মম ফ্যাসিবাদী শাসন প্রতিষ্ঠা করেছিলো আওয়ামীলীগ সরকার। খুন, গুম, অর্থপাচারসহ এহেন কোনো ঘৃন্য ও জঘন্যতম কর্ম নেই যা এই সরকার কায়েম করে নাই। রাজ্যের প্রতিটি সেকটর তারা ধ্বংস করে দিয়েছে। ব্যাংকগুলোকে করেছে নিঃস্ব, শেয়ার মার্কেট করেছে ধ্বংসা, শিক্ষা ব্যবস্থাকে করেছে পঙ্গু। যার ফর্দ তৈরি করেও শেষ করা যাবেনা।

ভেতরে ভেতরে ফুঁশে উঠেছিলো জাতি। আর আল্লাহ্ রাহমানীর রাহিম অবশেষে নিজের অশেষ রহমত দিয়ে মুক্ত করেছেন এই দেশ।

আজ আমরা ফ্যাসিবাদী সরকারের করাল গ্রাস থেকে মুক্ত। অন্তর্বতী সরকার ক্ষমতায়। এ সরকারের কাছে জাতির অনেক প্রত্যাশা। জাতি আজ চেয়ে আছে তাদের দিকে। সততা আর একনিষ্টতার সাথে তারা দেশকে নিয়ে যাবে শান্তির দোড়গোড়ায়।

জাতি তাদের সময় দিবে। প্রতিটি রাজনৈতিক দলও সময় দিবে। যদি জাতির প্রত্যাশা পূরনে কোনো রকম ব্যর্থতার পরিচয় দেয় এই সরকার, তাহলে এদেশ এখানেই থমকে যাবে। হারিয়ে যাবো আমরা, বিলীন হয়ে আমার সোনার বাংলা।

বাংলাদেশ দীর্ঘজীবি হোক।




আওয়ামী সরকারের বন্দনা নামা, 2024

আওয়ামী সরকারের বন্দনা নামা, 2024 সালের 5 আগষ্ট,  দুর্ধর্ষ খুনী, নব্য সীমার, ফ্যাসিবাদি শেখ হাসিনা ও তার সাঙ্গ পাঙ্গদের ক্ষমতার অবসান, সাড়া বাংলাদেশ থেকে আওয়ামীলীগের দূর্নীতিবাজ মন্ত্রি, এমপি, আমলারা জীবন বাঁচানোর জন্য খোলশ পরিবর্তন এবং দেশ ত্যাগের পরের চিত্র নিয়ে রচিত একটি গণ-সঙ্গীত। ধিক সেই সব জুলুমবাজদের। যারা নিজের মাকে অন্ধকার গলিতে বেঁচে দিতেও দ্বিধাবোধ করেনা।

আওয়ামী সরকারের বন্দনা নামা, 2024
– মোহাম্মদ শওকত আকবার

দেখো জনগনের ঠেলায়
দেশ ছাইড়া পালায়,
দুর্নিতীবাজ মন্ত্রি, এমপি
আমলারা সবায়,
হাসিনাও ঠাই নিলো
মোদির হেরেম খানায়,
দেখো জনগনের ঠেলায়
দেশ ছাইড়া পালায়।

অস্ত্রবাজি, খুন, গুম আর ভোটের প্রহসন,
ষোল বছর এম্নি করছে দেশের উন্নয়ন।
লুইট্যা পুইট্যা খাইছেরে দেশ বইসা ক্ষমতায়।
কাউয়া, ফেউয়া, দরবেশ, অলি, ভন্ডরা সবায়,
দেখো, প্রান বাঁচানোর আশায় গর্তে যে লুকায়।

মাথা মোটা, আবাল চোদা মন্ত্রি মিনিষ্টার,
নর্তকি আর বাইজি দিয়া দেশ করছে ছারখার।
দেশটা নাকি  বাপেরি তার
চিল্লায়া যে কয়,
বাপের ভিটা ছাইড়া শেষে
পালায় ইন্ডিয়ায়।
দেখো, প্রান বাঁচানোর আশায়
দেশ ছাইড়া পালায়।

বুদ্ধিজীবি দিছে ফাশি বইলা রাজাকার,
বীর সেনাদের বধের নাটক পিলখানা ঘটনার।

বাপের খুনের বদলা নিলো
নিজের কাঠগড়ায়।
নতুন রুপে বইসা সে
সিমারের জায়গায়।
দেখো, প্রান বাঁচানোর আশায়
দেশ ছাইড়া পালায়।

আওয়ামী সরকারের বন্দনানামাপাপের বোঝা করছে ভারি
ষোল বছর ধরে,
হাজার মানুষ করছে্রে খুন
রাইখা আয়না ঘরে,
অপকর্মের করছে পাহাড়
জয় বাংলার দোয়ায়।
পাতি নেতা, ছাতি নেতা গর্তে যে লুকায়।
দেখো, প্রান বাঁচানোর আশায়
দেশ ছাইড়া পালায়।

গল্প বলার রাক্ষুসিরে
দেখলো কচি কাচা,
যার হাতেই বাংগালির
ছিলো মরা বাঁচা।
ইবলিশও যে মানছে হার
শেখ হাসিনার কাছে,
ইবলিশে কয় আমার গুরু
বাংলাদেশেই আছে।
হাসিনারে রাইখা ইবলিশ
শান্তি মনে পায়,
তার দায়িত্ব হাসিনারে
অর্পন কইরা যায়।
দেখো জনগনের ঠেলায়,
দেশ ছাইড়া পালায়।

জুলুমবাজি কইরা কেউ
পায় নাতো পাড়,
আল্লাহ পাক করেন একদিন
জুলুমের বিচার।
জুলুমকারির মান সন্মান
আল্লায় কাইড়া নেয়,
নাস্তা নাবুদ কইরা ছাড়ে
এই দুনিয়ায়।
আখিরাতের বোনাস বিচার
থাকে বাকির খাতায়।
দেখো, জনগনের ঠেলায় দেশ ছাইড়া পালায়।

পরিশেষে, আঠারো কোটি নিষ্পেষিত বাঙ্গালী আজ একটি সুখী, সমৃদ্ধ, মত প্রকাশের স্বাধীন দেশের স্বপ্ন দেখি। অতীতের শিক্ষা নিয়ে নতুন রাজনীতিবিদরা সাদা মন নিয়ে, দেশ গঠনের অঙ্গিকার নিয়ে এগিয়ে যাবেন, তা-ই আমাদের প্রত্যাশা। বাংলাদেশ দীর্ঘজীবি হোক।




ধর্ম আমার মানবতা

ধর্ম আমার মানবতা – এ যেন ব্যথিত হৃদয়ের ক্রন্দন। যে মানবতা আজ নিষ্পেষিত ধর্ম আর ক্ষমতার ষ্টিম রোলারে। সেই মানবতা নিয়েই কবির আর্তনাদ।

ধর্ম আমার মানবতা
-মোহাম্মদ শওকত আকবার

ধর্ম আমার মানবতা
আমি মানুষ জাতী,
এরচে বেশী দেয়ার নেইতো
আমার পরিচিতি।
মানবতার জয়গান করি আমি নিরন্তর,
হিন্দু, মুস্লিম, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান নই,
আমি মানবতার কারিগর।

মসজিদ, মন্দির নিয়ে মাথা ব্যাথা নাই
সাম্যের কথা বলি,
মানবের বুকে চলছে কেনো
ট্যাংক, কামানের গুলি,
একই স্রষ্টার সৃষ্টি তো সকলেই
কেউ নয়তো পর,
হিন্দু, মুস্লিম, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান নই,
আমি মানবতার কারিগর।

ধর্ম আসেনি আগে ধরায়
এসেছে মানব জাতী,
মানব জন্মই অন্ধকারে
জ্বেলেছে বাতি।
তাহলে কেনো ধর্ম নিয়ে
হানাহানি করে,
লাশের পাহাড় উঠছে গড়ে
প্রথিবীটা জুড়ে।
মানব খুনের নেশায় কেনো
হয়েছি বর্বর,
হিন্দু, মুস্লিম, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান নই,
আমি মানবতার কারিগর।

মানব আমার পরিচয় হোক
ধর্ম হোক পরে,
ধর্ম আমি মানি কিকরে যদি
মানুষ গুলিতে মরে।
কাদের শুনাবো ধর্মের বানী
কোরান, বাইবেল, গীতা
ধরনী থেকে যায় যদি ভেগে
সাম্য আর মানবতা।
হে মানব জাতি, এ অসংগতি
পারিনা সইতে আর,
মানুষের খুনে শোধ্রাতে হয় কেনো
ধর্ম নামের কর।
হিন্দু, মুস্লিম, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান নই,
আমি মানবতার কারিগর।

মানুষে মানুষে এ কেমন ভেদাভেদ চলছে আজি হায়?
ধর্ম নিয়ে ধর্ম গুরুরা নেমেছে ব্যবসায়।
পুরোহিত যেন খড়্গ চালায়
ইমামের ’পর,
ফাদার আজি নেয় কেড়ে হায়
পুরোহিতের ধর।

ধর্ম আমার মানবতা

সহিতে পারিনা এই উন্মাদনা,
দগ্ধ হয় অন্তর।
হিন্দু, মুস্লিম, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান নই,
আমি মানবতার কারিগর।

হে মানুষ জাতি, শোনো কান পাতি,
তোমার রক্তে আমার রক্তে
তফাত কি কোনো পাও,
লাল, কালো বা সাদা?
নিজেকে শুধাও।
এ কেমন বিভেদের ধর্ম
মেনেছো অগত্যা,
বাইবেল, গীতা কোরানে কি বলেছে
করিতে মানব হত্যা।
ফেরি করে কেনো বেচে দিচ্ছো
পুরোটা মানবতা,
মসজিদ, মন্দির নিয়ে
মাথা ব্যাথা নাই
বাঁচুক জনতা,
হে দয়াময়, তোমার রহমে
শুদ্ধ করো অন্তর।
হিন্দু, মুস্লিম, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান নই,
আমি মানবতার কারিগর।

কে ইমাম, কে পুরোহিত
কে ফাদার পেগোডার,
মানবতার গান গাইতে যেয়ে আজ
ধারিনা কারো ধার।
মানবের কথা বলে যেজন
ভক্তি করি আজ তারে,
তার পেছনেই দাঁড়িয়ে সিজদা
করবো স্রষ্টারে।

ধর্ম আর ক্ষমতার জালে
যে মানবতা আজ বন্দি,
হায়েনার সাথে মানব খূনের
ভাংবোই এ সন্ধি।

চাহিনা আর মানব খুনে
ধরা হোক সয়লাব,
প্রভূ দয়াময়, দেখতে চাইনা ধরায়
নরকের আজাব।
মসজিদ, মন্দির নিয়ে
মাথা ব্যাথা নাই
বাঁচলে জনতা,
তোমার আমার এই পৃথিবী
হবে যে সুন্দর,
হিন্দু, মুস্লিম, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান নই,
আমি মানবতার কারিগর।

ধর্ম আমার মানবতা

পরিশেষে, আসুন সকলেই আমরা আজ মানবতার গান গাই। ধর্ম আর ক্ষমতা দিয়ে মানবতা ধ্বংস করার প্রত্যয়ে যারা নিবেদিত, আসুন তাদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াই। তা যে দেশেই হোক না কেনো? এশিয়া থেকে ইউরো, ইউরোপ থেকে আফ্রিকা। যে ধর্মেরই হোক না কেনো? হিন্দু, মুসলমান, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান? মানুষ হিসেবে আসুন প্রতিজ্ঞা করি : ধর্ম আমার মানবতা




নতুন দিনের কবিতা

নতুন দিনের কবিতা হচ্ছে, ষোল বছর ফ্যাসিবাদী সরকারের নির্যাতনের কবল থেকে মুক্তির স্বাদ গ্রহনের আনন্দে উল্লাসিত কবির মনের ভাবাবেগ। যা প্রতিটি বাংগালীর মনের কথা।

নতুন দিনের কবিতা
মো: শওকত আকবার

চাইনা আর আওয়ামীলীগ
বিএনপি, বিজেপি, জামাত,
যাক কেটে যাক অনানিশা
আসুক শান্তির সুপ্রভাত..

দেশকে ভালোবাসবে যারা
করবেনা আর লুটপাট,
দেশ সেবার ব্রত নিয়ে
রাখবে যারা হাতে হাত-

তারাই হবে জাতীর নেতা
ধরবে দেশের হাল,
গড়বে দেশ সুখ শান্তির
সরিয়ে জঞ্জাল,

দেখবে বিশ্ব অবাক হয়ে
বাংগালি এক জাতি,
অদম্য এক শক্তি নিয়ে
আধারে জ্বালায় বাতি।

হেন করেংগা, তেন করেংগা
শুনতে আমরা চাইনা আর,
যেজন ঝাড়বে ফাঁকা বুলি
মটকাবে তার ঘাড়।

বয়কট হবে সন্ত্রাসীরা
মেধার হবে বিকাশ,

নতুন দিনের কবিতা

অস্ত্র নয়, মেধা দিয়েই
অন্যায় হবে নাশ।

সংসদে আর ঠাঁই নাই,
বাঁচাল, আবাল, মাথা মোটা,
সংসদ হোক সবার তরে
মসজিদ, মন্দির, পেগোডা।

অস্ত্র বাজি, অর্থ বাজি
নয় আর পেশি শক্তি,
রাজনীতি হোক মানব সেবা
শান্তির জন্য চুক্তি।

হানাহানি, টেন্ডারবাজি
বন্ধ হোক চিরতরে,
সুখের পিদীম উঠুক জ্বলে
বাংলা মায়ের ঘরে ঘরে।

আবু সাইদ, মুগ্ধরা সব
শান্তি যেনো পায়,
ওদের রক্ত হাতে নিয়ে
শপথ করি সবায়।




বেহুদা প্যাঁচাল

বেহুদা প্যাঁচাল হলো জীবনের গাড়ি ঠেলতে ঠেলতে ক্লান্ত পরিশ্রান্ত মানুষগুলোর রোনাজারি আর মন্ত্রী আমলাদের কুৎসিত, বিভৎস জীবনযাপনের ছোটটো একটি ফর্দ । একদিকে দ্রব্যমূল্যের উর্ধগতিতে হিমশিম খাওয়া মানুষ, অন্যদিকে অকস্মাৎ ফুলে ফেঁপে উঠা এমপি, মন্ত্রী, সরকারি আমলা থেকে শুরু করে সরকার দলীয় লোকদের দৃষ্টিভঙ্গির আলোকপাত।

বেহুদা প্যাঁচাল
-শওকত আকবার

চাউলের দাম বাড়ছে দেশে
মাংশের দামো ম্যালা ?
এক জাতের লোক হুদাই চিল্লায়
বাড়ায় দেশে জ্বালা।

মাথা মোটা মুর্খ তারা
বুদ্ধি শুদ্ধিহীন,
দেশের জঞ্জাল বাড়ায় তারা
দিনের পর দিন।

সব্জি টবজি ওরাই খায়
ঐসব খেতে পারিনা,
ঐসবের দাম বাড়লে কমলেও
আমার কিছু যায় আসেনা।

আলু, মরিচ, পিয়াজের দাম
বাড়লে কি আর এমন হয় ?
১০০/২০০ ব্যাপারনা ভাই,
মাসিক আয় তো কম নয়,

বেতন আছে মাস কাবারি
বোনাস আছে সাথে,
সালামি পাই ফাইলে ফাইলে
বাণ্ডেল আসে হাতে

দেশের টাকা শেষ হইলেও
ফাইলের টাকার কমতি নাই,
দ্রব্য মুল্যের চিন্তা করা
সময় নষ্ট বেহুদাই।

এমপি আছে, মন্ত্রি আছে
আছে মজুতদার,
যার যা ইচ্ছা করে করুক
দেখবে তা সরকার।

আমার কাজ ফাইল দেখা
টাকার মেশিন খোঁজা,
বছর বছর হজ্ব করা আর,
করা নামায রোজা

কে মরিলো কে বাঁচিলো
জানার নাই দরকার।
জন্মিলে মরিতে হয়,
বাণী যে স্রষ্টার।

যায় রাজা, আসে রাজা
আমার চেয়ার পারমানেন্ট,
সুপার পাওয়ার এই চেয়ারের
আমিইতো এক গভর্মেন্ট।

নিজে বাঁচলে বাপের নাম
জ্ঞানীদের বানী,
তাদের কথাই হর হামেশা
চলছি আমি মানি।

নিত্যপণ্য আর দ্রব্যমূল্যের উর্ধগতি নিয়ে একশ্রেনীর লোকের উপহাসের চিত্র। তাদের দৃষ্টিতে বেশতো চলছে দিন। উন্নয়নের জোয়ারে ভাসছে দেশ। মানুষের বেড়েছে আয়। দেশে এখন গরীবের সংখ্যা নেই বললেই চলে। সরকার টিকে থাক ক্ষমতায় হাজার হাজার বছর।

বেহুদা প্যাঁচাল

আমি মুর্খ মানুষ, আমিও চাই দেশে অনন্ত সময়কাল ধরিয়া সরকার ক্ষমতার আসনে উপবিষ্ট থাকুক। তাহার এমপি, মন্ত্রী, আমলা, দলীয় লোকের আরো ফুলিয়া ফাঁপিয়া উঠুক। যতো পারুক দেশের ট্যাকা বিদেশে পাঠাক, আমার তাতে কিস্সু আসে যায়না। আমি একটু সুখ শান্তিতে থাকবার চাই। আমার আয়ের সাথে ব্যায়ের মাত্রাটা যেন সমান তালে রাখিতে পারি, আমি তাহাই চাই। চাউলের দাম একটু কম হইলে, মাসের উনত্রিশখান দিন যেন শাক, লতা, পাতা দিয়া ভোজন করিতে পারি। মাসে যেনো একবার, একবেলা সাধের বউ আর জন্ম দেয়া বাচ্চা কাচ্চাগুলারে লইয়া গরুর গোশত দিয়া কয় লোকমা ভাত খাইতে পারি। আমার তো এর চাইতে আর বেশী কিসসুর দরকার নাই।

আমি ভাই অতো ধর্ম কর্ম বুঝিনা। বাপ দাদার ওয়ারিশসুত্রে মুসলমান। বছর বছর হজ্ব করিবারও ইচ্ছা আমার নাই। আমিতো নিজেই চলতে পারিনা। ঐসব পালন করবার ট্যাকা কই ? সারাক্ষন কেবলি বেহুদা প্যাঁচাল পারি, আমারতো বুদ্ধি শুদ্ধি নাই, তাই চর্ম চক্ষ্যে যাহা দৃশ্যমান হয়, তাহা লইয়াই একটুসখানি আকিবুকি করি। আপনেরা আবার এইসব আন্ডাপচা কথাগুলারে প্যাচাইয়েন না। আমি ভাই শান্তিকামী লোক, শান্তিতে থাকবার চাই। আপনারাও শান্তিতে থাকেন, উপর ওয়ালার কাছে আপনাদের জন্যিও দোয়া করিবো। আইজকার মতো বিদায়..

শওকতবিডি ই-ডকস্ - অফিস এখন আপনার হাতেইShowkatbd eDocs is a full-featured online documents organized application site. Which is going to prepare document from just a form. It will save your time ! Bengali, English and Arabic letter generator is available here.




কবির আর্তনাদ

কবির আর্তনাদ এ যেন প্রতিটি মানুষের বিবেক নাড়া দেয়া এক কলমের আঁচড়। কবির হৃদয়ের মাতম যেন সমগ্র জাতীর হৃদয়ের হাহাকার।

কবিরা সমাজ-সংসার, জাতী-জাতীয়তার প্রচার-প্রশারে, মানবতা-ধর্ম উন্নয়নের এক সচেতন বহুমুখী কর্মকার। তারা ঘুনে ধরা সমাজ ভাঙ্গে, উন্নততর সমাজ গড়ে, তারা অধর্মের প্রতিবাদ করে, ধর্মের সুশীতল বানী প্রচার করে। তারাই সমাজের বিবেক। আজ সেই কবির কথা মূল্যহীন, কবির বানী আজ ষ্টীম রোলারে পিষ্ট। কবি আজ নিঃস্ব, কবি সর্বশান্ত। তাই কবির আর্তনাদ ভেসে বেড়ায় আকাশে বাতাসে, সর্বত্র, সর্বখানে।

কবির আর্তনাদ
-শওকত আকবার

অসত্যের হুলিখেলায় মেতেছে জাতি,
সত্য কাঁদে গুমড়ে,
দাঁত কেলিয়ে হাসে শয়তান,
মানবতা রক্তাক্ত হয়-
তার বিষাক্ত কামড়ে।

আদম আমরা শ্রেষ্ট জাতি
ভুলে গেছি আজ,
শয়তান আমাদের শোষন করছে
চলছে তাহারি রাজ।

মানবের সুরতে আসলে আমরা
শয়তানেরি চেলা,
শয়তান আমাদের যেভাবে খেলায়
সেভাবেই করি খেলা।

বোধের কারিগর সুইসাইড করেছে
বহু বছর গত,
বোধহীন মনুষ্যকুল শয়তানের পায়ে
সেজদায় অবনত।

প্রেম প্রিতী ভালবাসা
ছেড়ে গেছে প্রিথিবি,
কবিতাও গিয়াছে বনবাসে তাই
মাথা ঠুকে যে কবি।

রাগ করোনা ওগো প্রভু
দেখিওনা তোমার জেদ,
তোমার কৃপার জল দিয়ে ধোও
আমাদের সকল ক্লেদ।

ক্ষমা চাহি তোমারি কাছে
দুহাত তুলিয়া তাই,
তুমি ছাড়া শান্তির সুধা
দেবারতো কেউ নাই।

কবির আর্তনাদ

কবির আর্তনাদ আজ শুনবার কেউ নাই। তাই কবির কবিতাও হারিয়ে গেছে অজানায়। অসত্যের অট্রহাসিতে ভয়ার্ত সমাজ, দেশ, জাতী। মানবতা, ধর্ম পলাতক। 

শওকতবিডি ই-ডকস্ - অফিস এখন আপনার হাতেইShowkatbd eDocs is a full-featured online documents organized application site. Which is going to prepare document from just a form. It will save your time ! Bengali, English and Arabic letter generator is available here.




নেতা সমাচার

নেতা সমাচার : ইহা বর্তমান সময়ের একখানা প্রামান্য চিত্রই বটে। নেতা সমাচার, ইহা বড়ই এক কষ্টের বয়ান। কহিতে বড়ই লজ্জা লাগে- সমাজ, দেশ আজ নেতায় নেতায় সয়লাব। বড় নেতা, ছোট নেতা, মাঝারী নেতা, পাতলা নেতা, মোটা নেতা, সেচরা নেতা, লুইচ্যা নেতা, উঠতি নেতা, পাতি নেতায় আমার জন্মভূমি টই-টুম্বুর। গৃহে গৃহে নেতা, মহল্লায় মহল্লায় নেতা, পাড়ায় পাড়ায় নেতা, থানায় থানায় নেতা, জেলায় জেলায় নেতা, নেতা আর নেতা। রাষ্ট্রযন্ত্র পরিচালনায় যে সরকার, সেই ক্ষমতাশীন সরকারের দলীয় নেতায় আজ ভরিয়া গিয়াছে সমগ্র দেশ। মেগাসিটি হইতে আরম্ভ করিয়া প্রত্যন্ত পল্লীগৃহেও দাপড়ে বেড়াচ্ছে এইসকল নেতাদের প্রেতাত্না। গৃহ থেকে আরম্ভ করিয়া ফুটপাত, হাট-বাজার দখল করিয়া লইয়াছে এইসব নেতারা। নেতা ছাড়া আম-আদমী খুঁজিয়া পাওয়া আজ বড়ই দুস্কর।

দেশে কাক বেশি না নেতা বেশি
প্রশ্ন করা হলে-
নেতায় ভরে গেছে দেশ
জবাবে ছাত্র বলে

বুঝলে কিভাবে ব্যাখ্যা দাও
টিচার জানতে চান-
বলছি স্যার বুঝিয়ে, একটু দাড়ান

বাবা হলেন সভাপতি আমার মহল্লার,
মা আমার সেক্রেটারি,মহিলা সংস্থার,

বড় ভাই ছাত্র নেতা, চাচা ক্যাশিয়ার,
দাদার পদ উপদেষ্টা, দাদী প্রচার,
নানি আমার বন সম্পাদক, নানা পশু নেতা,
আমি দেখেন এই স্কুলের
সকল ছাত্রের মাথা।
আপনি আছেন প্রচার পদে শিক্ষক সমিতির,
হেড স্যার হলেন আহবায়ক সেই কমিটির,

ম্যাথ টিচার ম্যাথ সোসাইটির তথ্য সম্পাদক,
বোটানি ম্যাডাম নারী অধিকারে দিচ্ছেন হাক ডাক,
বানিয়েছেন নতুন দল ধর্ম স্যারকে নিয়ে
হুজুর আমার শেভ করেছেন সমাজ উন্নয়নে,
দপ্তরি ব্যাস্ত দপ্তর নিয়ে স্বাধীকার আন্দোলনে,
বুয়া দৌঁড়ায় বাড়ি বাড়ি বিধবার কল্যানে,
সাংগঠনিক সম্পাদক ঈমাম সাহেব
“ল্যান্ড মিডিয়া” দলে,
বেচা-বিক্রি জমি জমা
তার আদর্শের মুলে।

বুঝেচি বুঝেছি হয়েছে অনেক
একটু ক্ষেমা দে
নিজের কাছে লাগছে শরম
ঢেড় হয়েছে-

থামলে কি আর হবে স্যার
বলতে দেন না কিছু
নেতাগিড়ি বিশাল প্রতিভা
বাকি সবাই কচু-

আমার দেশের মাটি কনা
এতোটাই উর্বর,
নেতার সৃষ্টি হতেই থাকে
বছরের পর বছর।

– শওকত আকবার

বিশেষ দ্রষ্টব্য : ইহা কেবল একজন আবাল মুর্খের নিজস্ব দৃষ্টিভঙ্গিই বটে। মুর্খ তো আর নিজে কিছু করিবার মতোন ক্ষেমতা রাখেনা, তাই সাচ্ছন্দে পরনিন্দা করিয়া বেড়াইতেই মুর্খ ভালোবাসে। ইহাতে মুর্খকে আপনি ভৎসর্না করিলেও মুর্খের গায়ে কোনোরকম ফোশ্কা পড়িবেনা বা মুর্খেরও কোনোরুপ পরিবর্তনও ঘটিবেনা। কেননা মুর্খ সে-তো মুর্খই। ভালোমন্দ বুঝার মতোন জ্ঞান কি মুর্খ রাখে ? যদি তাই রাখিতো তাহা হইলে কি মুর্খ এইরুপ আন্ডাপচা কবিতা রচনা করিতো ?

নেতা সমাচার

শওকতবিডি ই-ডকস্ - অফিস এখন আপনার হাতেইShowkatbd eDocs is a full-featured online documents organized application site. Which is going to prepare document from just a form. It will save your time ! Bengali, English and Arabic letter generator is available here.




খুনের হিসেব কড়ায় গন্ডায় শোধরাতে হয়

খুনের হিসেব কড়ায় গন্ডায় শোধরাতে হয়;  চিরসত্য কথা। কিয়ামত অব্দি মসনদ টিকাইয়া রাখিবার জন্য যুগে যুগে যেই সকল রাজা বাদশারাই মানব খুনে হাত রঙিন করিয়াছিলো, সকলকেই মসনদ লইয়া এই রক্ত স্রোতের অতলান্তে ভাসিয়া যাইতে হইয়াছে। কেহই এই খুনের ঋন শোধ না করিয়া ধরাধাম হইতে পলায়ন করিয়া যাইতে পারে নাই।

কোটা আন্দোলনে শত শত নিষ্পাপ ছেলে মেয়েদের  নৃশংসভাবে  বধ করিয়া রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনা অতীতের সেই কারবালার পুনরাবৃত্তি ঘটাইয়াছেন। তিনিও এই রক্তের হিসেব না মিলাইয়া কি পাড় পাইয়া যাবেন? অনাগত সময়ই এর উত্তর প্রদান করিবে..

খুনের হিসেব কড়ায় গন্ডায়
মিলাতে হয় একদিন,
ইতিহাস যার সাক্ষি-
রক্ত দিয়েই শোধরাতে হয়
মানব খুনের ঋন।

কোনো রাজাধিরাজ ভাংতে পারে নাই
এ রীতি কোনোকালে,
ওরে যালিম, বর্বর, পাপিষ্ট
মিলবেনা তোরও ছাড়
অজস্র কৌশলে।

মায়ের বক্ষ শুন্য করে
ছিনিয়ে নিলি সন্তান,
রক্তের হুলি খেলায়
কারবালার উতখান-

মুহাররম মাসে তুই
এজিদের রুপ ধরে,
ছিনিয়ে নিলি হাজারো প্রান
সিমারের মত করে।

হায় হাসিনা, হায় হাসিনা
জাতীয় বেইমান,
শত শত ফুলের কলি
করলিরে তুই খান খান।

গনতন্ত্র করলি বিলীন
স্বৈরাচারের রোলারে,
ধিক দিতেও লাজে মরি,
তর মতো এক পাপিরে।

ইবলিশের রাজ করেছিস কায়েম
ওরে ডাইনী, রাক্ষুসি,
কেয়ামত অব্দি ধরে রাখবি মসনদ?
ভাবছিস মিছেমিছি।

নমরদ, ফেরাউন, কত শত সাদ্দাত
রাখতে পারেনি রাজ টিকিয়ে
হয়েছে কুপোকাত।

শিঘ্রি হবে তোরো দিন শেষ
ঝড়াস যতই রক্ত,
উপরওয়ালা ছাড় দেয়, ছেড়ে দেয়না
এটাই চরম সত্য।

মাসুম ছেলে মেয়েদের খুনে রাংগালি
পিচ ঢালা রাজপথ,
এই রক্তেই ভাসবিও তুই
নির্বোধ, কম্বখত।

সব শহীদের আত্বা তোকে
গিলে খাবে শিঘ্রি,
রক্ষা করতে পারবেনা শোন্
আর্মি পুলুশ বিজিবি।

কই পালাবি, কোথায় যাবি
লুকাতে যাস পাতালপুরে,
জমদুত তোকে আনবে খুঁজে,
পাহারসম পাতাল ফুড়ে।

– মো: শওকত আকবার

অন্তরের ভেতরকার সকল ব্যাথা বেদনার কথাগুলো কাউকে না কাউকে খুলিয়া বলিতে হয়। ভেতরটা তখন স্বচ্ছ মেঘের মতো হালকা হইয়া যায়। আজ বহুদিন ধরিয়া আমার ভেতরটায় নির্মমভাবে বুলেটের আঘাতে মৃত মাসুম ছেলে মেয়েগুলোর জন্য প্রচন্ড রকম বেদনা উতরাইয়া উঠিতে ছিলো। প্রচন্ড কষ্টে আমি জর্জরিত হইতে ছিলাম। কিছুই তো করিতে পারি নাই তাহাদের জন্য। শত শত প্রান ঝড়িয়া গেলো চোখের সম্মুখে। খবরের কাগজে যাহা রিপোর্ট হইতো বা টেলিভিশনের পর্দায় যাহা ভাসিয়া উঠিতো তাহাই পরখ করিতাম, আর আফশোশ করিতাম।

একটি স্বাধীন দেশের স্বাধীন নাগরিক হিসেবে সরকার বরাবর আমারতো অনেক কিছুই চাহিবার থাকিতে পারে । চাহিতে গেলেই যে নির্মমতার স্বীকার হতে হবে তা কেনো? তাহা হইলে আর স্বাধীন রহিলাম কোথায়?

তাহা হইলে কি ভাবিয়া লইতে পারি, আমরা এখনো পরাধীন। কোনো অশূভ শক্তির কাছে আমরা জিম্মি? 

আফশোশ, যেই মহীয়সী নারী একদা বলিয়াছিলেন, স্বজন হারানো ব্যথা আমার থেকে আর কে বেশি বোঝে? সেই মহিয়সীর হুকুমে কিভাবে আজ আমরা স্বজন হারালাম? তিনি কিরুপে এমন এক জঘন্য হুকুমদাতা হইলেন- তাহা আজ ভাবিয়াও কূল কিনারা পাইনা।

তাহার দ্বারা এমন জঘন্যতম হুকুম কিভাবে আসিতে পারে? তিনি দেশকে ভালোবাসেন। দেশের মানুষকে ভালোবাসেন। সর্বদা দেশ নিয়ে যিনি চিন্তিত। সেই রাষ্ট্রনায়ক মুহুর্তে কাহাদের প্ররোচনায় বা কাহাদের দ্বারা প্রলুব্ধ হইয়া এমন জঘন্যতম কর্মকান্ড সাধন করিলেন-তাহা আমার মতো আজ ১৮কোটি বাঙ্গালীর হৃদয়ে ঘুরপাক খাচ্ছে।