দুরুদ শরীফ / দুরুদে ইব্রাহিম

দুরুদ হচ্ছে ফার্সি শব্দ। অর্থ – সম্ভাষন। নবীকূলের শিরোমনি, জান্নাতের সর্দার হযরত মোহাম্মদ মোস্তফা (সা:) এর শান্তি প্রার্থনার উদ্দেশ্যে এই দুরুদ পাঠ করা হয়ে থাকে। নবির প্রতি, তার পরিবার-পরিজন, সন্তান-সন্ততি, সহচরদের প্রতি আল্লাহ তায়ালার দয়া ও শান্তি বর্ষনের জন্য প্রার্থনা করাই দুরুদ। সন্মানের সাথে এই দুরুদকে ‍দুরুদ শরীফ ও বলা হয়ে থাকে।

দুরুদে ইব্রাহিম

সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ন দুরুদ এই দুরুদে ইব্রাহিম। বা বড় দরুদ । এই দুরুদ আমাদের জাতির পিতা হযরত ইব্রাহিম (আ:) এর প্রশংসা করা হয় বলে একে  দুরুদে ইব্রাহিম বলা হয়। আমাদের প্রিয় নবি মুহাম্মাদ (সা.) এই দুরুদ পাঠ করতে বলেছেন।

اَللَّهُمَّ صَلِّ عَلَى مُحَمَّدٍ وَّعَلَى آلِ مُحَمَّدٍ كَمَا صَلَّيْتَ عَلَى إِبْرَاهِيْمَ وَعَلَى آلِ إِبْرَاهِيْمَ إِنَّكَ حَمِيْدٌ مَجِيْدٌ, وبَارِكْ عَلَى مُحَمَّدٍ وَعَلَى آلِ مُحَمَّدٍ كَمَا بَارَكْتَ عَلَى إِبْرَاهِيْمَ وَعَلَى آلِ إِبْرَاهِيمَ إِنَّكَ حَمِْيدٌ مَجِيْدٌ . –

বাংলা উচ্চারনঃ আল্লাহুম্মা সাললিআলা মুহাম্মাদিঁ ওয়া আলা আলি মুহাম্মাদিন, কামা সাললাইতা আলা ইব্রাহীম, ওয়া আলা আলি ইব্রাহীম, ইন্নাকা হামিদুম মাজীদ। আল্লাহুম্মা বারিক আলা মুহাম্মাদিঁ ওয়া আলা আলি মুহাম্মাদিন, কামা বারাকতা আলা ইব্রাহীম, ওয়া আলা আলি ইব্রাহীম, ইন্নাকা হামীদুম মাজীদ।

বাংলা অনুবাদঃ হে আল্লাহ্! মুহাম্মদ (সাললাললাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এবং তাঁহার বংশধরগণের উপর ঐরূপ আশীর্বাদ অবতীর্ণ করুন, যেইরূপ আর্শীবাদ হযরত ইব্রাহিম (আঃ) এবং তাঁহার বংশধরগণের উপর অবতীর্ণ করিয়াছেন। নিশ্চয়ই আপনি প্রশংসা ভাজন এবং মহামহিম। হে আল্লাহ্! মুহাম্মদ (সাললাললাহু আলাইহি ওয়া সাললাম) এবং তাঁহার বংশধরগণের উপর সেইরূপ অনুগ্রহ করুন যেরূপ অনুগ্রহ ইব্রাহীম (আঃ) এবং তাঁহার বংশরগণের উপর করিয়াছেন। নিশ্চয়ই আপনি প্রশংসা ভাজন এবং মহামহিম।

নবির উপর দুরুদ পাঠ

প্রিয় নবির নাম শুনার সাথে সাথে দুরুদ পাঠ করার তাগিদ রয়েছে। আমরা তাঁর নাম শুনা মাত্রই – সাললাললাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম – বলে থাকি। যার অর্থ – তাঁর উপর আল্লাহর শান্তি বর্ষিত হোক। এটাও একটি দুরুদ। অর্থ এরকম: “হে আল্লাহ, মুহাম্মাদের প্রতি আপনি দয়া পরবশ হোন। তার আলোচনা ও নামকে আপনি এই পৃথিবীর সকল আলোচনা ও নামের মাঝে সর্বোচ্চ স্থানে রাখুন।”

দুরুদ পাঠের ফজিলত

মহানবী সাঃ বলেন, যে ব্যক্তি আমার উপর একবার দুরুদ পাঠ করবে, মহান আল্লাহ তার উপর ১০ বার রহমত নাযিল করবেন।

অন্য এক বর্ণনায় আছে, যে ব্যক্তি আমার উপর একবার দুরুদ পাঠ করবে, আল্লাহ তার ১০টি পাপ মোচন করবেন এবং সে ১০টি মর্যাদায় উন্নীত হবে।

নবিজী  ও তার পরিবারের প্রতি দুরুদ পাঠ করা জাহান্নামের আগুন থেকে মুক্তি দেয়।

প্রতিনিয়ত দুরুদ পাঠ ব্যক্তির পার্থিব ও স্বর্গীয় ইচ্ছা (প্রার্থনা) পূরণ করে।

আল্লাহ আমাদের সদা সর্বদা নবীর উপর দুরুদ পড়ার তৌফিক দান করুন। আমিন।




গোল্ড কনভার্টার ভরি থেকে গ্রাম.স এ

গোল্ড কনভার্ট নিয়েই আমার আজকের এই আর্টিকেল ’গোল্ড কনভার্টার’ । কিভাবে ভরি থেকে গ্রাম এবং গ্রাম থেকে ভরিতে রুপান্তর করবেন তাই জানাবো আজ।

গোল্ডের হিসেব নিকেশ

বিশ্ব জুড়ে গোল্ডের হিসেব হয় গ্রামস এ। আন্তর্জাতিক বাজারও চলে গ্রামস এ। আর আমাদের দেশে বেশির ভাগ মানুষই এর হিসেব করে ভরিতে। অবশ্য সেই পুর্ব পুরুষদের থেকেই এভাবে চলমান। আমরাও এতেই অভ্যস্ত। কেনা কাটায় প্রথমেই জিজ্ঞেস করি- ভরি কত? কিন্তু আমরা যারা বিদেশ ট্রাভেল করি তাদের অনেকেরই গ্রামের হিসেব এলে সাময়িক একটু খটকা লেগে যায়। আর সেই খটকা কাটাতেই এই কনভার্টারটির লিংক।

কনভার্টারের উপকারীতা

খুব সহজে মুহুর্তেই আপনি আপনার ভরি বা গ্রামের হিসেবটি নিখুঁতবাবে মিলিয়ে নিতে পারবেন এর মাধ্যমে। তাহলে আসুন শুরু করা যাক।
প্রথমেই আপনাকে যা করতে হবে,

  • Showkatbd.com এ প্রবেশ করতে হবে।
  • ডান পাশের সাইডবার থেকে গোল্ড কনভার্টার বাটনের + প্লাস সাইনে ক্লিক করুন।
  • আপনার কাংখিত ভরি থেকে গ্রাম (g) এ কনভার্ট  অপশনটি দৃশ্যমান হবে, অতঃপর ক্লিক করুন।
  • এখন আপনি নিচের স্ক্রীনের ন্যায় মেইন কনভার্ট পেইজ এ অবস্থান করছেন।

  • উপরের ঘরে আপনার ভরির সংখ্যা উল্লেখ করলেই নিচের ঘরে গ্রামস প্রদর্শিত হবে।

হয়ে গেলো আপনার ভরি থেকে গ্রামস এ কনভার্ট।  Swap বাটনে ক্লিক করে এবার আপনি গ্রাম থেকে ভরিতেও রুপান্তর করতে পারেন।

পরিশেষে, আমার সংগ্রহিত লিংকটি যদি আপনার এতটুকুও উপকারে আসে তাহলেই আমার এই সংগ্রহ সার্থক। ভালো থাকুন। সুস্থ থাকুন। আর অন্যকে ভালো রাখার দায়িত্বও আপনারই।

আসুন, প্রতিদিন অন্তত একটি ভালো কাজ করি। মনে রাখবেন, আপনি আর আমি উভয়েই চলে যাবো। আপনার আর আমার একটি ভালো কাজই অবিনশ্বর ঐ পৃথিবীতে আমাদের ভালো থাকার পথ বের করে দিবে। মহান রাব্বুল আলামিন, আমাদের সবাইকে এটুকু বূঝে মেনে চলার তৌফিক দান করুন।




প্রার্থনা..

ইয়া আল্লাহ্, ইয়া রাহ্ মানীর রাহীম, ইয়া রাব্বি কারীম, আমার জীবনের সমস্ত গুনাগুলো মাফ করে দাও.. মোহাম্মদ শওকত আকবার




Experience Statement Generator | English Format

এক্সপিরিয়েন্স ষ্টেটমেন্ট (Experience Statement) / এক্সপিরিয়েন্স সার্টিফিকেট (Experience Certificate) / অভিজ্ঞতা সনদ বা অভিজ্ঞতার প্রশংসাপত্র আনুষ্ঠানিকভাবে কোম্পানী/কর্মস্থানের নিয়োগ কর্তা দ্বারা জারি করা হয়। যেখানে প্রত্যয়িত হয় যে, কর্মচারী কোম্পানীর সাথে যুক্ত ছিলেন, দক্ষতার সাথে নিয়োগকর্তার নির্দেশ পালন করেছেন বা কর্ম সম্পাদন করেছেন। কর্মসংস্থান জুড়ে তিনি যা অর্জন করেছেন তাই Experience Statement / Experience Certificate / অভিজ্ঞতা পত্র হিসেবে পরিচিত।

Make Letter

অভিজ্ঞতা সনদ কী ?

অভিজ্ঞতা সনদ হলো, কোম্পানী কর্তৃক কর্মচারীকে লিখিত একটি আনুষ্ঠানিক প্রশংসা পত্র এবং নিয়োগ নিশ্চিতকরণ সম্পর্কে কোম্পানির লেটারহেডে নিয়োগকর্তা দ্বারা লিখিত বা মুদ্রিত তথ্য। যেখানে কর্মচারীর নাম, অবস্থান, কর্মচারীর কর্মক্ষেত্রের সময়কাল, কর্মচারীর কর্মদক্ষতা, বেতন ও নিয়োগের ইতিহাস উল্লেখ থাকে। অভিজ্ঞতার সনদটিকে অভিজ্ঞতার প্রশংসা পত্রও বলা হয়।

হিউম্যান রিসোর্স ডিপার্টমেন্ট দ্বারা জারি করা আনুষ্ঠানিক এই অভিজ্ঞতা সনদটি নিশ্চিত করে যে, কর্মচারী কোম্পানির সাথে যুক্ত ছিলেন। আর কর্মচারীর জন্য এটি একটি অপরিহার্য চিঠি যা কর্মচারীর সংস্থা ছাড়ার সময় এবং কর্মচারীকে তার পূর্ববর্তী কর্মসংস্থান যাচাই করার জন্য এই চিঠির প্রয়োজন। তাই, এইচআর বিভাগের সর্বোচ্চ যত্ন সহকারে এটি করা উচিত।

হিউম্যান রিসোর্স ডিপার্টমেন্ট কর্মচারীর নাম, পিতার নাম, বাসস্থানের ঠিকানা, কর্মচারী আইডি ইত্যাদি প্রত্যয়ন করবেন। সাথে কর্মচারীর বেতন প্যাকেজও। অভিজ্ঞতার প্রশংসা পত্রটি ব্যক্তির অর্জিত সমস্ত দক্ষতাকে প্রত্যয়িত করে। এটি একজন ব্যক্তির জন্য তার উন্নততর কর্মজীবনের সংস্থান এবং ভবিষ্যতের সুযোগের জন্য মূল্যবান নথিগুলির মধ্যে একটি।

কেনো অভিজ্ঞতার সনদ প্রয়োজন ?

কর্মচারীর অভিজ্ঞতার পত্রটি বিগত বছরে নির্দিষ্ট কোম্পানীতে তার অভিজ্ঞতা এবং দক্ষতা সনাক্ত করার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এটি একজন কর্মচারীর প্রমাণ পত্র হিসাবে কাজ করে যে, আপনি একটি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য একটি নির্দিষ্ট অবস্থানে একটি সংস্থায় নির্দিষ্ট কর্মে নিযুক্ত ছিলেন। এটি বিশেষত নতুন কর্মচারীদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ, যারা তাদের কর্মজীবনে এর থেকে আরো উন্নততর দিক পরিবর্তন করার কথা বিবেচনা করছেন এবং এটি আপনার আবেদনের বিশদ আপডেট করতে সহায়তা করে। এই পত্রে কোম্পানির নাম, নিয়োগের তারিখ, কাজের বিবরণ এবং দক্ষতা ও দায়িত্ব সমূহ উল্লেখ থাকে। একজন কর্মচারীর অভিজ্ঞতার সনদে কোম্পানীর প্যাড, সীল ও স্বহস্তে করা স্বাক্ষর থাকে যা জাল করা কঠিন।

অভিজ্ঞতার সনদ এর উদ্দেশ্য..

অভিজ্ঞতার পত্রটি প্রমাণ করে যে, উক্ত কর্মচারীর কোম্পানির সাথে সত্যিকারের একটি বৈধ অভিজ্ঞতা রয়েছে। যা তিনি তার বায়োডাটা (সিভি) তে উল্লেখ করেছেন। পত্রটি যে কোনো প্রতিষ্ঠানে বোর্ডে প্রার্থী নিয়োগের সময় নিয়োগের জন্য একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ নথি।

অভিজ্ঞতা সনদ এর বিন্যাস..

একটি সঠিক এবং চিত্তাকর্ষক অভিজ্ঞতা সনদ তৈরি করতে চিঠি লেখার ক্ষেত্রে একটি সঠিক বিন্যাস সর্বদা মূল। অভিজ্ঞতা সনদ তৈরি করতে নিম্নলিখিত পয়েন্টগুলি অবশ্যই অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। এটা সুস্পষ্ট যে, এটি সাবলীল ভাষায় হওয়া উচিত এবং নিম্নলিখিত মূল বিষয়গুলি অবশ্যই থাকতে হবে:

  1. কোম্পানির লেটারহেড।
  2. সার্টিফিকেট প্রদানের তারিখ।
  3. অভিবাদন বা ঘোষণা “যার জন্য প্রযোজ্য”।
  4. অফিসিয়াল রেকর্ড অনুযায়ী কর্মচারীর পুরো নাম।
  5. চাকরির সময়কাল (যোগদানের তারিখ এবং সংস্থায় কাজ করার শেষ দিন)।
  6. পদবী বা পদ।
  7. কর্মক্ষমতা।
  8. বর্ণনা শেষে শুভ কামনা।
  9. পরিচালক / এইচওডি / ম্যানেজার / এইচআর বিভাগের প্রধান / অনুমোদিত স্বাক্ষরকারী দ্বারা স্বাক্ষরিত।
  10. কোম্পানির সিলমোহর বা স্ট্যাম্প ।

অভিজ্ঞতা সনদ তৈরি করুন সহজেই..

একটি অভিজ্ঞতার সনদ তৈরি করুন খুব সহজ, দ্রুত অনলাইনে। শুধু প্রার্থীর প্রয়োজনীয় বিবরণ পূরণ করুন এবং সেকেন্ডের মধ্যে পত্রটি তৈরি করুন। অভিজ্ঞতা সনদটি তৈরি করার পরে, কোম্পানির লেটার হেডে একটি প্রিন্টআউট নিন, ইস্যু করা কোম্পানির সিল লাগান এবং অনুমোদিত কর্মকর্তার স্বাক্ষর প্রদান করুন। এবার নিচের ধাপগুলো অনুস্বরন করুন –

অনলাইন সমাধান :

showkatbd.com থেকে মাত্র কয়েকটি ষ্টেপেই তৈরী করতে পারেন একটি অভিজ্ঞতার সনদ :

  • নিচের Make Letter বাটনে ক্লিক করলে আপনাকে সরাসরি Experience Certificate Preparing Form এ নিয়ে যাবে।
  • সেখান থেকে আপনি যত্ন সহকারে আপনার প্রয়োজনীয় অপশনগুলো পুরন করুন। কোনো একটি ঘর যেনো খালি না থাকে। মনে রাখবেন, একটি ঘরও যদি বাদ পড়ে যায় তাহলে আপনার চিঠিটি পূর্নাঙ্গভাবে দৃশ্যমান হবেনা।
  • সর্বশেষ প্রিন্ট বাটনে ক্লিক করলেই তৈরী হয়ে যাবে আপনার অভিজ্ঞতার সনদ বা Experience Letter.
  • প্রিন্ট ব্রাউজার থেকে পেপার সাইজ, মার্জিন, এবং হেডার ফুটার আনচেক করে প্রিন্ট দিন।

অভিজ্ঞতার সনদটি তৈরীতে অবশ্যই কোম্পানী অফিশিয়াল প্যাড ব্যবহার করতে ভুলবেন না।

Make Letter

আপনার চিঠি প্রুফরিড করুন :

একটি অভিজ্ঞতার সনদ প্রদনের পূর্বে অবশ্যই প্রুফরিড করে নিবেন। এটি আপনার চিঠিতে কেনো ত্রুটি বা টাইপোস বা টাইপ মিস্টেক হয়েছে কিনা তা নিশ্চিত করতে সহায়তা করবে।

অভিজ্ঞতার সনদ প্রিন্ট দিলে নিচে প্রদর্শিত ছবির ন্যায় দৃশ্যমান হবে। প্রিন্ট ব্রাউজার থেকে আপনি পিডিএফ মুডেও প্রিন্ট করে পিডিএফ ফাইল হিসেবে কম্পিউটারে সেভ করে রাখতে পারেন।

অভিজ্ঞতা সনদ
অভিজ্ঞতা সনদ-সেম্পল কপি

অনুরোধে : আমি চেষ্টা করেছি একটি অভিজ্ঞতার সনদ লিখার জন্য একটি সহজ পদ্বতি তৈরীর। কতটুকু স্বার্থক হয়েছি জানিনা। তা কেবল একজন ইউজারই বলতে পারবেন। যদি বিন্দুমাত্র উপকার হয় তবেই আমার কষ্ট সার্থক। অনলাইন টিপস নিয়ে রচিত যে কোনো আর্টিকেল পরিবর্তন, পরিবর্ধন, সংযোজন, বিয়োজন করার ব্যাপারে যে কোনো পরামর্শ সাদরে গৃহিত হবে। সরাসরি ফোন করুন এই নাম্বারে – +8801783989949 অথবা ই-মেইল করতে পারেন – showkatbd2022@gmail.com

সকলের দোয়া কামনায়..। নতুন কিছু নিয়ে আবার দেখা হবে। ভালো থাকেন, সুস্থ থাকেন এই প্রত্যাশায় আজকের মতো বিদায়। আল্লাহ হাফেজ !!

জিজ্ঞাসিত কিছু প্রশ্ন :

অনলাইনে সহজে কোথা থেকে অভিজ্ঞতার সনদ এর চিঠির নমুনা বা টেমপ্লেট পেতে পারি?

  • আপনি google এ সার্চ দিলেই অভিজ্ঞতার সনদ এর অসংখ্য নমুনা বা টেমপ্লেট পাবেন। যেসব টেমপ্লেট ব্যবহারে আপনার অনেক সময় নষ্ট হবে। কিন্তু showkatbd.com সাইটে পাবেন একটি ফর্ম। ফরমটি যথাযথ ফিলাপে অতি অল্প সময়ে ১ থেকে ২ মিনিটিই তৈরী করতে পারবেন একটি মানম্মত অভিজ্ঞতার সনদ

এই অভিজ্ঞতার সনদ কি ১০০% মান সম্মত ?

  • সবার ড্রাফটিং যেমন এক রকম হয় না, তেমনি কোনো চিঠিই ১০০% মান সম্মত হবেনা, এটাই স্বাভাবিক। তবে মনে রাখবেন, যে কোনো চিঠিতে একটু নতুনত্বের ছোয়া দিলে চিঠিটি মার্জিত হয়। অনেকে আবার পুরনো ধাচ থেকে বের হয়ে আসতে পারেনা বা সে নিজেই থেকেই চায়না।   

অভিজ্ঞতার এই ফরমেটটি কি প্রফেশনালি ব্যবহার করা যায় ?

  • অবশ্যই। বিষয়টি নির্ভর করবে আপনার কর্মদক্ষতা আর দৃষ্টিভঙ্গির উপর। [/tie_list]




সালামের প্রচলন যেভাবে

এক মুসলমান আরেক মুসলমানকে অভিবাদন ও সম্ভাষণ জানানোর ইসলামী রীতি হচ্ছে السلام عليكمআসাসালামু আলাইকুম’ বলে সম্বোধন করা। যার অর্থ হচ্ছে – আপনার উপর শান্তি বর্ষিত হোক। যাকে এই সম্ভাষণ করা হবে তিনিও প্রতিত্তোরে বলবেন – وعليكم السلامওয়া আলাইকুমুস্ সালাম‘ । যার অর্থ – আপনার উপরও শান্তি বর্ষিত হোক।

এই সম্ভাষনের প্রচলন কবে বা কখন হয়েছিলো বা কে সর্বপ্রথম কাকে সালাম দিয়েছিলেন, সে সালামের উত্তরই বা ছিল কী ? সে বিষয়েই আমাদের ছোটটো এই আলোচনা।

[lwptoc]

সালামের প্রচলন যেভাবে শুরু হয়

সর্বপ্রথম সালাম দেন প্রথম মানব ও নবী হজরত আদম আলাইহিস সালাম। স্বয়ং আল্লাহ্ পাক তাঁকে সালাম আদান-প্রদানের পদ্বতি শেখান। যা তাঁর পরে আগত সকল বনি আদমের জন্য ছিলো অভিবাদন। হাদীসের বর্ণনা থেকে প্রমানিত – হজরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহিস সালাম বলেছেন, আল্লাহ তা’য়ালা আদম কে সৃষ্টি করলেন।  তাঁর উচ্চতা ছিলো ষাট হাত। আল্লাহ তায়ালা তাঁকে বললেন, যাও, বসে থাকা ঐ ফেরেশতাদের দলকে সালাম দাও এবং তারা তোমার সালামের কি জবাব দেয় তা মনোযোগরে সাথে শ্রবন করো। কেনোনা এটাই হবে তোমার ও তোমার সন্তানদের সম্ভাষন।

আদম ফেরেশতাদের গিয়ে বললেন – السلام عليكم – ‘আসালামু আলঅইকুম’ আপনাদের প্রতি শান্তি বর্ষিত হোক। ফেরেশতাগণ জবাব দিলেন – السَّلاَمُ عَلَيْكَ وَرَحْمَةُ اللهِ আসসালামু আলাইকা ওয়া রহমাতুল্লাহ : আপনার উপরও শান্তি ও আল্লাহর রহমত বর্ষিত হোক। ফেরেশতাগণ ‘ওয়া রহমাতুল্লাহি’ সংযোজন করলেন। যে ব্যক্তি বেহেশতে যাবে সেই হবে আদম এর আকৃতি বিশষ্ট। সেই থেকে অদ্যবধি পর্যন্ত মানুষের দেহের আকুতি ক্রমাগত হ্রাস পেয়ে আসছে। (বুখারী, মুসলিম)

সালাম কিভাব দিতে হয় ?

السلام عليكم – আস্সালামু আলাইকুম। আপনার উপর শান্তি বর্ষিত হোক। আমাদের সমাজে প্রায়ই আমরা সালামালেকুম, সালামালাইকুম – এভাবে উচ্চারণ করে থাকি। যা আসলেই ঠিক নয়। উচ্চারনের কারনে এর অর্থ সম্পূর্নরুপে পরিবর্তন হয়ে যায়। অনেক সময় যার অর্থ এমন হয় যে – আপনি ধ্বংস হয়ে যান।

আমরা শান্তির বদলে ধ্বংস কামনা করছি । যা মোটেই উচিত নয়। সুতরাং এই সম্ভাষনের ক্ষেত্রে আমাদের প্রকৃত উচ্চারন করাটাই বাঞ্চনীয়।

যদি আরবী ভাষায় বিন্দুমাত্র জ্ঞান না থেকে থাকে তাহলে আমাদের সকলেরই জচিত হবে আরবী ভাষায় দক্ষ কারো কাছ থেকে আরবী ভাষার তালিম নেয়া। সেক্ষেত্রে কোরআন, হাদীসও শুদ্ধ ভাবে অধ্যয়ন করতে পারবো এবং প্রকৃত অর্থও জানার ক্ষেত্রে আমাদের অনেকাংশে সহজ হবে। অনুবাদ পড়ে কখনোই কোরান হাসীসের প্রকৃত ভাব অনুধাবন করা আমাদের পক্ষে সম্ভব নয়।

সালাম কিভাবে নিতে হয় ?

সালাম নেয়ার ক্ষেত্রেও কখনো কখনো দেখা যায় যে, আমরা শুধুই মাথা ঝাকাই। মুখে কিছু উচ্চারন করিনা। বা বলে থাকি – ওয়ালাইকুম সালাম। আসলে উচ্চারন হবে – ওয়ালাইকুমুস সালাম। আপনার উপরেও শান্তি বর্ষিত হোক।

সালাম না দিলে কি গুনাহগার হবে

সালাম দেওয়া সুন্নাত। আর ‍এই সালামের জবাব প্রদান ওয়াজিব বা আবশ্যিক। কেউ সালামের জবাব না দিলে গুনাহগার হবে। সুতরাং বলা চলে, সালাম এক প্রকার ইবাদত ও সাওয়াবের কাজ।

সালাম সম্পর্কে কোরআনের ঘোষণা

সালাম সম্পর্কে কোরআনের ঘোষণা وَ اِذَا حُیِّیۡتُمۡ بِتَحِیَّۃٍ فَحَیُّوۡا بِاَحۡسَنَ مِنۡهَاۤ اَوۡ رُدُّوۡهَا ؕ اِنَّ اللّٰهَ کَانَ عَلٰی کُلِّ شَیۡءٍ حَسِیۡبًا আর যখন তোমাদেরকে অভিবাদন করা হয় (সালাম দেওয়া হয়), তখন তোমরাও তা অপেক্ষা উত্তম অভিবাদন কর অথবা ওরই অনুরূপ কর। নিশ্চয়ই আল্লাহ সর্ববিষয়ে হিসাব গ্রহণকারী।’ (সুরা নিসা : আয়াত ৮৬)

জান্নাতিদের অভিবাদনও ‘সালাম’ । আল্লাহ তাআলা যাদেরকে জান্নাতের মেহমান হিসেবে কবুল করবেন। তাদেরকেও এ সালাম দেওয়ার মাধ্যমে অভিবাদন করা হবে। আল্লাহ তাআলা বলেন –

১. وَ اُدۡخِلَ الَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡا وَ عَمِلُوا الصّٰلِحٰتِ جَنّٰتٍ تَجۡرِیۡ مِنۡ تَحۡتِهَا الۡاَنۡهٰرُ خٰلِدِیۡنَ فِیۡهَا بِاِذۡنِ رَبِّهِمۡ ؕ تَحِیَّتُهُمۡ فِیۡهَا سَلٰمٌ

যারা বিশ্বাস করে ও সৎকর্ম করে তাদেরকে প্রবেশ করানো হবে জান্নাতে; যার তলদেশে নদীমালা প্রবাহিত; সেখানে তারা তাদের প্রতিপালকের অনুমতিক্রমে চিরস্থায়ীভাবে অবস্থান করবে; সেখানে তাদের অভিবাদন হবে ‘সালাম’।’ (সুরা ইবরাহিম : আয়াত ২৩)

২. وَ سِیۡقَ الَّذِیۡنَ اتَّقَوۡا رَبَّهُمۡ اِلَی الۡجَنَّۃِ زُمَرًا ؕ حَتّٰۤی اِذَا جَآءُوۡهَا وَ فُتِحَتۡ اَبۡوَابُهَا وَ قَالَ لَهُمۡ خَزَنَتُهَا سَلٰمٌ عَلَیۡکُمۡ طِبۡتُمۡ فَادۡخُلُوۡهَا خٰلِدِیۡنَ

আর যারা তাদের প্রতিপালককে ভয় করত, তাদেরকে দলে দলে জান্নাতের দিকে নিয়ে যাওয়া হবে। যখন তারা জান্নাতের নিকট উপস্থিত হবে এবং জান্নাতের দরজা খুলে দেওয়া হবে এবং তার রক্ষীরা তাদেরকে বলবে, ‘তোমাদের প্রতি সালাম (শান্তি), তোমরা সুখী হও এবং স্থায়ীভাবে বাস করার জন্য জান্নাতে প্রবেশ কর।’ (সুরা যুমার : আয়াত ৭৩)

শেষ কথা

আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে জান্নাতের অভিবাদন জানানোর ভাষা সালামকে দুনিয়ায় বেশি বেশি প্রচলন ও প্রসার করার তাওফিক দান করুন। কোরআন সুন্নাহর উপর আমল করার তাওফিক দান করুন। আমিন।




হযরত উমর এর ইসলাম গ্রহণ

হযরত উমর এর ইসলাম গ্রহণ ইসলামের ইতিহাসে এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা। নবীজীর ধর্ম প্রচারের এক নতুন দ্বার উন্মোচন। উমর ইসলাম ধর্ম গ্রহন করলেন। নবীজির নবুয়তের ষষ্ঠ বর্ষে। হামযা রা: এর ইসলাম গ্রহনের তিন দিন পর। যে উমর নবিজীকে হত্যা করার দায়িত্ব নিয়েছিলেন সেই উমরই ইসলাম ধর্ম গ্রহন করে ইসলামকে নিয়ে আসলেন অন্ধকারের গহীন থেকে দিনের উজ্জল আলোয়। ইসলাম উন্মোচিতহলো জন সম্মুখে।

উমর এর ইসলাম গ্রহণ : তরবারি কাধে ঝুলিয়ে উমর চলছেন নবীর হত্যায়। পথিমধ্যে বনি যুহরার এক ব্যক্তির (মতান্তরে নাঈম ইবন আব্দুল্লাহ’র) সাথে দেখা । তিনি  উমরের গন্তব্যের কথা জানতে চাইলেন। উমর নবীজীকে হত্যার কথা বলতেই লোকটি তার বোন আর ভগ্নিপতির ইসলাম ধর্ম গ্রহনের কথা জানালেন।

একথা শুনে উমর রেগে মেগে উন্মত্ত হয়ে ছূঠলেন বোন ভগ্নীপতির বাড়ীর উদ্দেশ্যে। বাড়ির দরজায় নক করলেন উমর। ঐ মুহুর্তে তার বোন ভগ্নিপতি কোরান তেলাওয়াত শিখছিলেন খাব্বাব ইবনে আল আরাতের কাছে। (আরাত ছিলেন রাসুল সা. এর একজন অন্যতম সাহাবা। মূলনাম খাব্বাব এবং উপনাম/কুনিয়াত আবু আবদিল্লাহ । পিতার নাম আরাত। তিনি সৌদি আরবের নজদে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ইসলাম গ্রহণকারী সদস্যের মধ্যে ৩য় মতান্তরে ৬ষ্ঠ ছিলেন । মুহাম্মদ ও তার সাহাবারা যখন দারুণ আরকামে গোপনে ইসলামের দাওয়াত দিতেন। তিনি মক্কায় অবস্থানকালে তাঁর সবটুকু সময় ইবাদাত ও দাওয়াতি কাজে ব্যয় করতেন। মক্কায় তখনও যারা ভয়ে নিজেদের ইসলাম গ্রহণের কথা প্রকাশ করেনি, তিনি গোপনে তাদের বাড়ীতে গিয়ে কুরআন শিক্ষা দিতেন )

উমরের আভাষ পেয়ে খাব্বাব ইবন আল-আরাত অন্য ঘরে আত্ন গোপন করলেন। এবং বোন ভগ্নিপতি কোরান তেলাওয়াত থামিয়ে দিলেন। তারা তখন কোরআনের সূরা ত্বহা তেলাওয়াত করছিলেন। উমর ভগ্নিপতির উপর ঝাপিয়ে পড়লেন এবং তাকে রক্তাক্ত করলেন। বোন রাগে উত্তেজিত হয়ে বলে উঠলেনঃ সত্য যদি তেমার দ্বীনের বাইরে অন্য কোথাও থেকে থাকে, তাহলে আমি স্বাক্ষ্য দিচ্ছি, আল্লাহ ছাড়া অন্য কোন ইলাহ নেই এবং আরো স্বাক্ষ্য দিচ্ছি, মুহাম্মাদ (সা) আল্লাহর রাসুল।

হযরত উমর এর ইসলাম গ্রহণ
হযরত উমর এর ইসলাম গ্রহণ

বিশাল এক হোচট খেলেন উমর বোনের সাক্ষ্যতে। মুহূর্তে হৃদয় তাঁর সত্যে জ্যোতির উদ্ভাসিত হয়ে উঠলো। তিনি তার বোনকে অনুরোধ করলেন তিনি যা পড়ছিলেন তা শুনার। ভগ্নি উমরকে পাক সায় হয়ে নিতে বললেন। পাক-সাফ হয়ে বোনের হাত থেকে সূরা ত্বাহার অংশটুকু নিয়ে পড়তে শুরু করলেন। পড়া শেষ করে বললেনঃ আমাকে তোমরা মুহাম্মাদের (সা) কাছে নিয়ে চল। উমরের একথা শুনে খাব্বাব ঘরের গোপন স্থান থেকে বের হয়ে এলেন। বললেনঃ সুসংবাদ উমার! বৃহস্পতিবার রাতে রাসূলুল্লাহ (সা) তোমার জন্য দোয়া করেছিলেন। আমি আশাকরি তা কবুল হয়েছে। তিনি বলেছিলেনঃ আল্লাহ, উমর ইবনুল খাত্তাব বা আমর ইবন হিশামের (আবু জেহেল) দ্বারা ইসলামকে শক্তিশালী কর। খাব্বার আরো বললেনঃ রাসুল (সা) এখন সাফার পাদদেশে ‘দারুল আরকামে’ (দারুল আরকাম এর অর্থ, আরকাম নামক ব্যক্তির বাড়ি। দার শব্দের অর্থ বাড়ি। আর আরকাম একজন সাহাবীর নাম। দারুল আরকাম অর্থ আরকামের বাড়ি। উনার পূর্ণ নাম হলো, আরকাম ইবনে আবুল আরকাম। হযরত মুহাম্মদ (স.)-এর প্রতিষ্ঠিত একটি গোপন ইসলামি শিক্ষা ও প্রচারকেন্দ্র। হজরত মুহাম্মদ (স.) নবুয়ত লাভের পর তা প্রচার শুরু করেন। তিনি কাবাকে অপ্রাতিষ্ঠানিকভাবে প্রথম শিক্ষায়তন হিসেবে ব্যবহার করেন। কিছুদিন পর মক্কার মুশরিকরা নবীর ইসলাম প্রচারের সংবাদ জানতে পারে। ফলে তারা মক্কার একটি পাহাড়ে নামাজ আদায়রত মুসলিমদের উপর হামলা করে। এ ঘটনার পর হজরত মুহাম্মদ (স.) তাদের নিরাপত্তা নিয়ে চিন্তিত হয়ে ধর্মীয় শিক্ষা ও নামাজ আদায়ের স্থান হিসেবে আরকাম ইবনে আবিল আরকামের বাড়িকে নির্ধারণ করেন। এটিই ইসলামের প্রথম মাদ্রাসা বা প্রথম আনুষ্ঠানিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। এখানে সাহাবিরা গোপনে নবীর সাথে দেখা করতেন এবং ইসলামের বিধি-বিধান সম্পর্কে জেনে নিতেন। প্রায় ৩ বছর এভাবে গোপন দাওয়াত ও ইসলামের শিক্ষাদীক্ষার কাজ অব্যাহত ছিল)।

উমর চললেন দারুল আরকামের দিকে। হামজা এবং তালহার সাথে আরো কিছু সাহাবী তখন দারুণ আরকামে পাহারারত। উমরকে দেখে তাঁরা সন্ত্রস্ত হয়ে পরলেন। তবে হামজা সান্তনা দিয়ে বললেনঃ আল্লাহ উমরের কল্যান চাইলে সে নিশ্চয় ইসলাম গ্রহণ করে রাসুল (সাঃ) এর অনুসারী হবে। অন্যথায় তাকে হত্যা করা আমাদের জন্য খুবই সহজ হবে।

রাসুল (সা) তখন দারুল আরকামের ভিতর। তাঁর উপর তখন ওহী নাজিল হচ্ছিল। কিছু সময় পরে নবীজি বের হয়ে উমরের কাছে এলেন। উমরের কাপড় ও তরবারীর হাতল তিনি মুট করে ধরে বললেনঃ উমর তুমি কি বিরত হবে না ?………তারপর তিনি দোয়া করলেনঃ হে আল্লাহ, উমর আমার সামনে, হে আল্লাহ উমরের দ্বারা দ্বীনকে শক্তিশালী করুন। উমর বলে উঠলেনঃ আমি স্বাক্ষ্য দিচ্ছি আপনি আল্লাহর রাসুল। ইসলাম গ্রহণ করেই তিনি আহবান জানালেন, ইয়া রাসুলাল্লাহ ঘর থেকে বেরিয়ে পড়ুন।

নবী (সা:) আল্লাহর কাছে বলতেন: “হে আল্লাহ্! উমর বিন খাত্তাব অথবা আবু জাহল বিন হিশাম এর মধ্য হতে যে তোমার নিকট অধিক প্রিয়, তার দ্বারা ইসলামকে শক্তিশালী করে দাও ।”

উমর এর ইসলাম গ্রহণ ইসলামের ইতিহাসে এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা হলো। যদিও তখন পর্যন্ত ৪০/৫০জন ইসলাম গ্রহণ করেছিলেন এবং তাঁদের মধ্যে হযরত হামজাও ছিলেন তথাপি মুসলমানদের পক্ষে কা’বায় গিয়ে নামাজ পড়াতো দুরে কথা নিজেদেরকে মুসলমান বলে প্রকাশ করাও নিরাপদ ছিল না। হযরত উমরের ইসলাম গ্রহণের সাথে সাথে এ অবস্থার পরিবর্তন হলো। তিনি প্রকাশ্যে ইসলামের ঘোষনা দিলেন এবং সকল নও মুসলিমদের সথে নিয়ে কাবা ঘরে নামায আদায় করা শুরু করলেন।