খুনের হিসেব কড়ায় গন্ডায় শোধরাতে হয়

5
(3)

খুনের হিসেব কড়ায় গন্ডায় শোধরাতে হয়;  চিরসত্য কথা। কিয়ামত অব্দি মসনদ টিকাইয়া রাখিবার জন্য যুগে যুগে যেই সকল রাজা বাদশারাই মানব খুনে হাত রঙিন করিয়াছিলো, সকলকেই মসনদ লইয়া এই রক্ত স্রোতের অতলান্তে ভাসিয়া যাইতে হইয়াছে। কেহই এই খুনের ঋন শোধ না করিয়া ধরাধাম হইতে পলায়ন করিয়া যাইতে পারে নাই।

কোটা আন্দোলনে শত শত নিষ্পাপ ছেলে মেয়েদের  নৃশংসভাবে  বধ করিয়া রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনা অতীতের সেই কারবালার পুনরাবৃত্তি ঘটাইয়াছেন। তিনিও এই রক্তের হিসেব না মিলাইয়া কি পাড় পাইয়া যাবেন? অনাগত সময়ই এর উত্তর প্রদান করিবে..

খুনের হিসেব কড়ায় গন্ডায়
মিলাতে হয় একদিন,
ইতিহাস যার সাক্ষি-
রক্ত দিয়েই শোধরাতে হয়
মানব খুনের ঋন।

কোনো রাজাধিরাজ ভাংতে পারে নাই
এ রীতি কোনোকালে,
ওরে যালিম, বর্বর, পাপিষ্ট
মিলবেনা তোরও ছাড়
অজস্র কৌশলে।

মায়ের বক্ষ শুন্য করে
ছিনিয়ে নিলি সন্তান,
রক্তের হুলি খেলায়
কারবালার উতখান-

মুহাররম মাসে তুই
এজিদের রুপ ধরে,
ছিনিয়ে নিলি হাজারো প্রান
সিমারের মত করে।

হায় হাসিনা, হায় হাসিনা
জাতীয় বেইমান,
শত শত ফুলের কলি
করলিরে তুই খান খান।

গনতন্ত্র করলি বিলীন
স্বৈরাচারের রোলারে,
ধিক দিতেও লাজে মরি,
তর মতো এক পাপিরে।

ইবলিশের রাজ করেছিস কায়েম
ওরে ডাইনী, রাক্ষুসি,
কেয়ামত অব্দি ধরে রাখবি মসনদ?
ভাবছিস মিছেমিছি।

নমরদ, ফেরাউন, কত শত সাদ্দাত
রাখতে পারেনি রাজ টিকিয়ে
হয়েছে কুপোকাত।

শিঘ্রি হবে তোরো দিন শেষ
ঝড়াস যতই রক্ত,
উপরওয়ালা ছাড় দেয়, ছেড়ে দেয়না
এটাই চরম সত্য।

মাসুম ছেলে মেয়েদের খুনে রাংগালি
পিচ ঢালা রাজপথ,
এই রক্তেই ভাসবিও তুই
নির্বোধ, কম্বখত।

সব শহীদের আত্বা তোকে
গিলে খাবে শিঘ্রি,
রক্ষা করতে পারবেনা শোন্
আর্মি পুলুশ বিজিবি।

কই পালাবি, কোথায় যাবি
লুকাতে যাস পাতালপুরে,
জমদুত তোকে আনবে খুঁজে,
পাহারসম পাতাল ফুড়ে।

– মো: শওকত আকবার

অন্তরের ভেতরকার সকল ব্যাথা বেদনার কথাগুলো কাউকে না কাউকে খুলিয়া বলিতে হয়। ভেতরটা তখন স্বচ্ছ মেঘের মতো হালকা হইয়া যায়। আজ বহুদিন ধরিয়া আমার ভেতরটায় নির্মমভাবে বুলেটের আঘাতে মৃত মাসুম ছেলে মেয়েগুলোর জন্য প্রচন্ড রকম বেদনা উতরাইয়া উঠিতে ছিলো। প্রচন্ড কষ্টে আমি জর্জরিত হইতে ছিলাম। কিছুই তো করিতে পারি নাই তাহাদের জন্য। শত শত প্রান ঝড়িয়া গেলো চোখের সম্মুখে। খবরের কাগজে যাহা রিপোর্ট হইতো বা টেলিভিশনের পর্দায় যাহা ভাসিয়া উঠিতো তাহাই পরখ করিতাম, আর আফশোশ করিতাম।

একটি স্বাধীন দেশের স্বাধীন নাগরিক হিসেবে সরকার বরাবর আমারতো অনেক কিছুই চাহিবার থাকিতে পারে । চাহিতে গেলেই যে নির্মমতার স্বীকার হতে হবে তা কেনো? তাহা হইলে আর স্বাধীন রহিলাম কোথায়?

তাহা হইলে কি ভাবিয়া লইতে পারি, আমরা এখনো পরাধীন। কোনো অশূভ শক্তির কাছে আমরা জিম্মি? 

আফশোশ, যেই মহীয়সী নারী একদা বলিয়াছিলেন, স্বজন হারানো ব্যথা আমার থেকে আর কে বেশি বোঝে? সেই মহিয়সীর হুকুমে কিভাবে আজ আমরা স্বজন হারালাম? তিনি কিরুপে এমন এক জঘন্য হুকুমদাতা হইলেন- তাহা আজ ভাবিয়াও কূল কিনারা পাইনা।

তাহার দ্বারা এমন জঘন্যতম হুকুম কিভাবে আসিতে পারে? তিনি দেশকে ভালোবাসেন। দেশের মানুষকে ভালোবাসেন। সর্বদা দেশ নিয়ে যিনি চিন্তিত। সেই রাষ্ট্রনায়ক মুহুর্তে কাহাদের প্ররোচনায় বা কাহাদের দ্বারা প্রলুব্ধ হইয়া এমন জঘন্যতম কর্মকান্ড সাধন করিলেন-তাহা আমার মতো আজ ১৮কোটি বাঙ্গালীর হৃদয়ে ঘুরপাক খাচ্ছে।

 

image_printআর্টিকেল প্রিন্ট করুন

আর্টিকেল পড়ে আপনার অনুভূতি কি?

রেট দিতে তারকায় ক্লিক করুন!

গড় রেটিং 5 / 5. ভোট কাউন্ট হয়েছে: 3

এখন পর্যন্ত কোনো ভোট হয়নি! আপনিই প্রথম

আর্টিকেল পড়ে ভালো লাগলে...

সোশ্যাল মিডিয়াতে শেয়ার করুন!

We are sorry that this post was not useful for you!

Let us improve this post!

আমাদের জানান কিভাবে আমরা এই আর্টিকেল আরো উন্নত করতে পারি?

About মুর্খের গলাবাজি

মুর্খের গলাবাজি
মুর্খের গলাবাজি আর ছাইভস্ম সমান জিনিস! যাহা কখনোই কোনো কর্মে প্রয়োজন পরেনা। যাহা বেকারই যত্রতত্র পরিয়া থাকে।

Check Also

যদি সত্যিই হয়

5 (1) যদি সত্যিই হয়; কবিতাটি আগষ্ট, ২০২৪ সালের ভয়াবহ বন্যা নিয়ে রচিত। বাংলাদেশ বলেছে …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Translate »