কারেন্ট এবং সেভিংস একাউন্টের মধ্যে পার্থক্য

কারেন্ট এবং সেভিংস কি এবং পার্থক্য সমূহ:

ব্যাংক বা আর্থিক কোন প্রতিষ্ঠানে নতুন একাউন্ট ওপেন করার ক্ষেত্রে মূলত দুই ধরনের একাউন্টের নামই আমাদের সামনে আসে। সেভিংস একাউন্ট এবং কারেন্ট একাউন্ট। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই আমরা এই দুটি একাউন্ট সম্বর্কে এবং এগুলির কার্যকারিতা সম্পর্কে খুব বেশি কিছু জানি না।

যার ফলে, কোন একাউন্টে টাকা রাখলে একাউন্ট হোল্ডার বেশি লাভ পাবেন অথবা কোন একাউন্টের ক্ষেত্রে কি কি লাভ পাওয়া যাবে তা সম্পর্কে ওয়াকিবহাল নয়। ফলে একাউন্ট হোল্ডারগন নানাভাবে বিভিন্ন ক্ষেত্রে সমস্যার সম্মুখীন হন। তাই আজ এই পোস্টে সেভিংস একাউন্ট এবং কারেন্ট একাউন্ট সংক্রান্ত কিছু তথ্য নিয়ে হাজির হয়েছি।

সেভিংস একাউন্ট (Savings account):

যারা বিভিন্ন ক্ষেত্রে টাকা লেনদেনের পাশাপাশি তাদের এবং তাদের পরিবারের ভবিষ্যতের জন্য সঞ্চয়ের ক্ষেত্রে উদ্যোগী হয়ে থাকেন, তাদের জন্য সেভিংস একাউন্ট পারফেক্ট। এছাড়াও সেভিংস একাউন্টে টাকা রাখলে গ্রাহকদের ব্যাংক কর্তৃক যে সুদ প্রদান করা হয়, তা থেকে গ্রাহকরা যথেষ্ট পরিমান অর্থ উপার্জন করে নিতে পারেন।

যদি কোন ব্যাক্তি সুদের অর্থ গ্রহন করতে চান।

কারেন্ট একাউন্ট (Current account):

কারেন্ট একাউন্ট বড় অংকের অর্থ লেনদেনের জন্য ব্যবহৃত হয়ে থাকে। বিভিন্ন ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান বিভিন্ন ব্যবসায়িক ক্ষেত্রে যেসমস্ত লেনদেন করে থাকে, তা কারেন্ট একাউন্টের মাধ্যমেই করে থাকে।

কারেন্ট একাউন্ট এবং সেভিংস একাউন্টের মধ্যে পার্থক্য

    • বিভিন্ন ব্যাংকের অধীনে থাকা সেভিংস একাউন্টের সুদের হার (লভ্যাংশ) কারেন্ট একাউন্টের সুদের হারের তুলনায় যথেষ্ট বেশি হয়ে থাকে।
    • কারেন্ট একাউন্টের ক্ষেত্রে গ্রাহকরা সারা মাসে যতো খুশি লেনদেনের সুবিধা পেতে পারেন, কিন্তু সেভিংস একাউন্টের ক্ষেত্রে তা কখনোই প্রযোজ্য নয়। বিভিন্ন ব্যাংকের তরফে সেভিংস একাউন্টের লেনদেনের সীমারেখা নির্ধারণ করে দেওয়া হয়ে থাকে।
    • অধিকাংশ ক্ষেত্রে সেভিংস একাউন্ট সাধারণ মানুষের ব্যক্তিগত একাউন্ট হয়ে থাকে, অন্যদিকে, কারেন্ট একাউন্টগুলি যেকোনো ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান অথবা কোম্পানির তরফে খোলা হয়ে থাকে, যার মাধ্যমে যথেষ্ট পরিমাণ টাকার লেনদেন করা সম্ভব।
    • বিভিন্ন ব্যাংকের নিয়ম অনুসারে সেভিংস একাউন্টে নূন্যতম ব্যালেন্স রাখা অবশ্য প্রয়োজনীয়, তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে জিরো ব্যালেন্সের একাউন্টও করা হয়ে থাকে। এমনকী সেভিংস একাউন্টের ক্ষেত্রে নূন্যতম ব্যালেন্সের পরিমাণও যথেষ্ট কম হয়ে থাকে। তবে কারেন্ট একাউন্টের ক্ষেত্রে নূন্যতম ব্যাংক ব্যালেন্সের পরিমাণ যথেষ্ট বেশি হয়।
    • সেভিংস একাউন্টের ক্ষেত্রে বিভিন্ন ব্যাংক ভিন্ন ভিন্ন হারে সুদ বা লভ্যাংশ প্রদান করে থাকে। যেকোনো সেভিংস একাউন্টে ৪ শতাংশ থেকে শুরু করে ৬ শতাংশ পর্যন্ত সুদ পাওয়া যেতে পারে। তবে কারেন্ট একাউন্টের ক্ষেত্রে গ্রাহকদের কোনোভাবেই সুদ দেওয়া হয় না। যেহেতু কারেন্ট একাউন্টের ক্ষেত্রে গ্রাহকরা যথেষ্ট সুবিধা পেয়ে থাকেন তাই এই একাউন্টের অধীনে গ্রাহকদের কোনোরকম লভ্যাংশ বা সুদ দেওয়া হয় না।

আশা করি, কারেন্ট এবং সেভিংস একাউন্ট নিয়ে এখন আরো কারো কোনোরকম কনফিউশন থাকবেনা।

যদি আমার এ লিখা আপনাদের বিন্দুমাত্রও উপকার হয়, তবেই আমার কষ্ট সার্থক।

অন্য কোনো প্রয়োজনীয় কিছু নিয়ে আসা পর্যন্ত ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন- এই কামনায়-

আজকের মতো বিদায়।

আল্লাহ হাফেজ।

আল্লাহ্ ব্যবসাকে করেছেন হালাল, আর সূদকে করেছেন হারাম। সূদ থেকে দূরে থাকুন, শরিয়া সিষ্টেমের ব্যাংকিং সেবা গ্রহন করুন।

GoogleNews