Authorization Letter to collect Bank Statement হলো, ব্যাংক স্টেটমেন্ট সংগ্রহের অনুমোদনপত্র হল। অ্যাকাউন্টধারীর দ্বারা লিখিত চিঠি, যা অ্যাকাউন্টধারীর পক্ষে নির্দিষ্ট লেনদেন করার জন্য ব্যাঙ্ককে নির্দেশ দেয়া হয়।
নিচের ফরম ফিলাপ করে সহেজই পেতে পারেন আপনার Authorization Letter to collect Bank Statement
START NOW!
উপরের ফরম দিয়ে তৈরি করা চিঠির নমূনা:
ব্যাংক স্টেটমেন্ট সংগ্রহের অনুমোদনপত্র : ব্যাঙ্ক ষ্টেটমেন্ট সংগ্রহের জন্য অনুমোদন বলতে – ব্যাঙ্ক থেকে একটি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য ব্যাঙ্ক স্টেটমেন্ট ইস্যু করার জন্য অ্যাকাউন্টধারী একজন তৃতীয় পক্ষকে তার পক্ষে ব্যাংকিং কর্মকান্ড পরিচালনার অনুমোদন প্রদান করে ব্যাঙ্কের শাখা ব্যবস্থাপক বরাবর অনুরোধ করে লেখা চিঠি। যেখনে অ্যাকাউন্টধারী তৃতীয় পক্ষকে তার ষ্টেটমেন্ট গ্রহনের অনুমতি প্রদান করে থাকে।
ব্যাংকিং আইনে একজন অ্যাকাউন্টধারীর ষ্টেটমেন্ট বা তার একাউন্ট সম্পর্কিত তথ্যাদি তৃতীয় পক্ষকে জানানো সম্পূর্ন রুপে নিষিদ্ধ। সেজন্যই একজন অ্যাকাউন্টধারীর পক্ষ থেকে ব্যাকিং ডকুমেন্টস উত্তোলন বা ব্যাংকিং সম্পর্কিত তথ্যাদি জানার বা সংগ্রহের জন্য তৃতীয় পক্ষ একজন কে নির্বাচিত করে দিতে হয়। তৃতীয় পক্ষকে নির্বাচিত করে ব্যাংক বরাবর যে চিঠি প্রদান করা হয় তাই হচ্ছে Authorization Letter / অথোরাইজেশন লেটার বা অনুমতিপত্র।
আলোচ্য বিষয়: এখানে একে একে দুইটি বিষয় নিয়ে আলোকপাত করবো। প্রথম অংশে থাকছে – ব্যাংক ষ্টেটমেন্ট আর দ্বিতীয় অংশে অথোরাইজেশন।
প্রথম অংশ
ব্যাঙ্ক স্টেটমেন্ট কি : ব্যাঙ্ক স্টেটমেন্ট হল অ্যাকাউন্টধারীর লেনদেনের ইতিহাস সম্বলিত একটি প্রিন্ট আউট। সাধারণভাবে ব্যাঙ্ক স্টেটমেন্টে সমস্ত লেনদেন অর্থাৎ অর্থ উত্তোলন বা জমা, যে কোনও পরিষেবার জন্য কর্তন, অ্যাকাউন্টের ব্যালেন্স, সুদ জমা এবং বিস্তারিত পরিমাণ অন্তর্ভুক্ত থাকে।
ব্যাঙ্ক স্টেটমেন্ট রিসিভিং সিষ্টেম : সাধারণত প্রতিটি ব্যাঙ্ক প্রতি মাসে তাদের গ্রাহকের নিবন্ধিত ইমেল ঠিকানায় সরাসরি মাসিক ব্যাঙ্ক স্টেটমেন্ট ইমেল করে থাকে। বিশেষ প্রয়োজনে গ্রাহকরা তাদের মাসিক ব্যাঙ্ক স্টেটমেন্ট শাখা থেকেও সংগ্রহ করতে পারেন। এটি গ্রাহকদের আয় এবং ব্যয়ের সমস্ত হিসাব রাখতে সহায়তা করে।
সময়ের পরিবর্তে অনলাইন ব্যাংকিং চালু হওয়াতে এখন প্রতিটি ব্যাংকেরই রয়েছে অনলাইন সেবা। একজন গ্রাহক এখন অনায়াসেই অনলাইন সেবার মাধ্যমে তাদের ব্যাঙ্ক স্টেটমেন্ট দেখতে এবং ডাউনলোড করে নিতে পারে।
ব্যাঙ্ক স্টেটমেন্ট হার্ডকপি : কিন্তু কখনও কখনও অফিসিয়াল কাজের জন্য ব্যাঙ্ক স্টেটমেন্টের হার্ডকপির প্রয়োজন হয়। তখন শাখা ব্যবস্থাপকের কাছে ব্যাঙ্ক স্টেটমেন্টের অনুরোধ জানিয়ে একটি চিঠি লিখতে হয়। অ্যাকাউন্টধারী নিজেই স্বশরীরে হাজির হয়ে ব্যাঙ্কের নির্ধারিত ফরম ফিলাপ করে ব্যাঙ্ক ষ্টেটমেন্টের হার্ডকপির জন্য অনুরোধ করতে পারেন। কখনো বা অ্যাকাউন্টধারী ব্যাঙ্কে উপস্থিতির অপারগতার জন্য তৃতীয় পক্ষ কাউকে অনুমোদন প্রদান করে থাকেন।
দ্বিতীয় অংশ
অথোরাইজেশন লেটার কি : এবার আলোচনা করবো অথোরাইজেশন লেটার কি তা নিয়ে –
অথোরাইজেশন হলো – একজন ব্যক্তির পক্ষ থেকে তৃতীয় পক্ষকে নির্দিষ্ট কাজ করা ক্ষমতা প্রদান। তৃতীয় পক্ষ তথন প্রথম পক্ষের একজন এজেন্ট হিসবে পরিচিত লাভ করে। একে পাওয়ার অব এটর্নীও বলা যায়।
ব্যাংকে তখুনি একটি অথরাজইজেশন লেটার প্রদান করতে হয় যে, অ্যাকাউন্টধারী বা নির্দিষ্ট ব্যক্তি বিভিন্ন কারনে স্বশরীরে ব্যাংকে হাজির হতে না পারা, অসুস্বতা জনিত কারন, ব্যস্থতার কারন অন্যথায় অক্ষম ইত্যাদি। অপারগতার বিস্তারিত বর্ণনা করে নির্দিষ্ট বিশ্বস্ত কাউকে প্রতিনিধি করে যে চিঠি লিখা হয় – তাই অথোরাইজেশন লেটার। এটি ব্যাঙ্ক লেনদেন করার আইনি অনুমতি দেয় ।
ব্যাংক অনুমোদনের চিঠিতে তিনটি পক্ষ জড়িত। প্রথম পক্ষ একাউন্ট হোল্ডার, তারপরে ব্যাঙ্ক, এবং অবশেষে সেই ব্যক্তি যাকে নির্দিষ্ট কার্যক্রম পরিচালনার জন্য অথোরিটি অর্পণ করা হয়েছিল।
অথোরাইজেশন লেটারে যা অন্তর্ভুক্ত থাকবে : ব্যাঙ্কের অনুমোদনের চিঠিতে তারিখ, একাউন্ট হোল্ডার দ্বারা নির্বাচিত এজেন্টের বিশদ বিবরণ যেমন নাম, ঠিকানা, জাতীয়তা, শনাক্তকরণ নম্বর, আইডি প্রমাণ, মোবাইল নাম্বার, অ্যাকাউন্টধারীর অপারগতারতার ব্যাখ্যা এবং এজেন্টের ভূমিকা ও বাধ্যবাধকতা অন্তর্ভুক্ত থাকবে।
শওকতবিডি লেটার মেকার ডিজিটাল ফরম : অনুমোদন পত্রটিতে কি লিখবেন ? কিভাবে লিখবেন ? পত্রটি মান সস্মত করা যায় কিভাবে ? ইত্যাদি নিয়ে আর ভাবনা চিন্তা না করে একটি ডিজিটাল ফরম পূরন করার মাধ্যমে আপনি পেতে পারেন আপনার অথোরাইজেশন লেটার। নিচের ধাপগুলো পূরন করে যান –
- উপরের ফরম পূরন করে প্রিন্ট বাটনে ক্লিক করলেই হয়ে যাবে আপনার চিঠি।
- প্রিন্ট ব্রাউজার থেকে পেজ সেটিং করুন, হেডার, ফুটার ডিজাবল করুন এবং প্রিন্ট করুন।
- আপনি চাইলে এখান থেকে পিডিএফ ফর্মেটেও সেভ করতে পারেন ডকুমেন্টটি।
Make More Letter :