অফিস ক্লোজার নোটিশ মেকার হলো, অনলাইনে অফিস বন্ধের নোটিশ তৈরির (টাইপিং) টুলস্। বাংলাদেশের স্কুল, কলেজ, ভার্সিটি থেকে শুরু করে সকল ধরনের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সরকারী ছুটিসহ পাবলিক হলিডের নোটিশ টাইপিং অ্যাপস্। যা টাইপিং এ আপনার সময় বাঁচাবে।
নো লগিন, নো রেজিষ্ট্রেশন !
শুধুু নিচের ফরম ফিলাপেই তৈরি হবে আপনার ছুটির নোটিশ বা অফিস ক্লোজার নোটিশ। Enjoy IT!
অফিস ক্লোজার নোটিশ মেকার দিয়ে তৈরি নোটিশ নিম্নরুপ:

অফিস ক্লোজার নোটিশ মেকার নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা
প্রতিষ্ঠান, স্কুল, দূতাবাস বা অফিসে হঠাৎ ছুটি ঘোষণা করতে হলে একটি পরিষ্কার, পেশাদার ও ভাষাভিত্তিক নোটিশ তৈরি করা অনেক সময় সাপেক্ষ কাজ। বিশেষ করে যখন আপনাকে একই নোটিশ তিনটি ভাষায় দিতে হয় – বাংলা 🇧🇩, ইংরেজি 🇬🇧, এবং আরবি 🇸🇦।

এই সমস্যার সমাধান নিয়ে এসেছে showkatbd.com অফিস ক্লোজার নোটিশ মেকার – একটি স্মার্ট ওয়েব মিনি এ্যাপ্লিকেশন। যা আপনাকে মাত্র কয়েকটি ইনপুট দিয়ে তিন ভাষায় ছুটির নোটিশ তৈরি করতে সাহায্য করে।
কী কী করতে পারবেন এই অফিস ক্লোজার নোটিশ মেকার দিয়ে?
- বাংলা, ইংরেজি ও আরবি ভাষায় নোটিশ তৈরি
- লোগো আপলোড করে ব্র্যান্ডিং সহ নোটিশ
- ছুটির কারণ, তারিখ, পুনরায় খোলার সময় উল্লেখ
- প্রিন্ট-ফ্রেন্ডলি A4 লেআউট
- মোবাইল ও ডেস্কটপে সমানভাবে কাজ করে।
ভাষাভিত্তিক উদাহরণ
🔸 বাংলা:
সবার অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে, আমাদের প্রতিষ্ঠান আগামী ১২ ডিসেম্বর ২০২৫ তারিখে মাঘী পূর্ণিমা উপলক্ষে বন্ধ থাকবে। প্রতিষ্ঠান পুনরায় চালু হবে ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫।
🔸 English:
This is to inform everyone that our office will remain closed on December 12, 2025 due to Maghi Purnima. The office will reopen on September 17, 2025.
🔸 العربية:
يُعلَن للجميع أن مكتبنا سيكون مغلقًا في 12 ديسمبر 2025 بمناسبة مهرجان “ماغهي بونيمة”. وسوف يُعاد فتح المكتب في 17 سبتمبر 2025.
প্রিন্টের জন্য প্রস্তুত
নোটিশটি তৈরি হওয়ার পর আপনি সরাসরি প্রিন্ট করতে পারবেন, যেখানে লোগো, থিম, এবং প্রয়োজনীয় তথ্য সুন্দরভাবে A4 পেজে বসে যাবে, যাতে নোটিশটি পেশাদার দেখায়।
কারা ব্যবহার করতে পারেন?
- স্কুল/কলেজ প্রশাসন
- সরকারি/বেসরকারি অফিস
- দূতাবাস ও কনস্যুলেট
- ইভেন্ট অর্গানাইজার
- যেকোনো প্রতিষ্ঠান যারা মাল্টিল্যাঙ্গুয়াল নোটিশ দিতে চায়
শুরু করুন এখনই,
আপনার প্রতিষ্ঠানের নাম, অফিসের ধরণ, ছুটির কারণ, তারিখ এবং যোগাযোগের তথ্য দিয়ে ফর্ম পূরণ করুন – আর মাত্র এক ক্লিকে তৈরি করুন আপনার নোটিশ।
কেন বহুভাষিক বন্ধের নোটিশ গুরুত্বপূর্ণ?
বাংলাদেশসহ দক্ষিণ এশিয়ার অনেক দেশেই বহুভাষিক যোগাযোগ অপরিহার্য হয়ে উঠেছে। উদাহরণস্বরূপ:
- বাংলা ভাষা – দেশের অভ্যন্তরে সাধারণ মানুষের সাথে যোগাযোগের জন্য অপরিহার্য।
- ইংরেজি ভাষা – আন্তর্জাতিক পর্যায়ে, বিদেশি দূতাবাস, বহুজাতিক কোম্পানি, বিশ্ববিদ্যালয় বা ব্যাংকের জন্য জরুরি।
- আরবি ভাষা – বিশেষত মধ্যপ্রাচ্যে কর্মরত প্রবাসীদের জন্য কিংবা ইসলামিক প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয়।
একটি প্রতিষ্ঠানের অফিসিয়াল নোটিশ যদি কেবল বাংলা ভাষায় প্রকাশ করা হয়, তবে বিদেশি বা ভিন্ন ভাষাভাষী কর্মী ও অংশীদাররা সেটি বুঝতে অসুবিধায় পড়বে। আবার শুধুমাত্র ইংরেজিতে নোটিশ দিলে সাধারণ কর্মচারী বা গ্রাহকরা সেটি গ্রহণ করতে অসুবিধা বোধ করতে পারে। তাই বহুভাষিক নোটিশই হলো সঠিক সমাধান।
একটি ফরমেই তিন ভাষার সমাধান
আগে অফিস নোটিশ তৈরি করতে Word/Excel ফাইল খোলা, তারপর আলাদা আলাদা করে অনুবাদ করা, সেগুলোকে সুন্দরভাবে ফরম্যাট করা—এসবের ঝামেলা অনেক সময়সাপেক্ষ ছিল। এখন অনলাইন ফরম–ভিত্তিক সলিউশন ব্যবহারের মাধ্যমে একবার তথ্য দিলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে সেটি বাংলা, ইংরেজি ও আরবী ভাষায় নোটিশে রূপান্তরিত হবে।

ফরমে যেসব তথ্য দিতে হবে:
- Notice Title – নোটিশ শিরোনাম- (যেমন: Office Closure Notice)
- Institute Type – প্রতিষ্টানের ধরণ- (যেমন: The Embassy / The Bank / The University)
- Closing Date (কবে থেকে বা কোন দিন অফিস বন্ধ থাকবে)
- Occasion – ছুটির কারণ/উপলক্ষ্য: (যেমন: Independence Day, Eid, Bengali New Year)
- Reopen Date – পুনরায় খোলার তারিখ – (কবে পুনরায় খোলা হবে)
- Notice From – প্রতিষ্ঠানের নাম- (প্রতিষ্ঠানের নাম)
- Authority – কর্তৃপক্ষ – (কে সার্কুলেট করছে – Chairman/HR/Managing Director বা অন্য কেউ।)
- Office Email – অফিসের বৈধ ইমেইল
উপরের তথ্যসমুহ পূরণ করলেই সফটওয়্যার স্বয়ংক্রিয়ভাবে বাংলা, ইংরেজি এবং আরবি ভাষায় একটি প্রিন্ট-রেডি নোটিশ তৈরি করে দেবে।
বহুভাষার সুবিধা
অনেক প্রতিষ্ঠান একাধিক ভাষায় কাজ করে। যেমন:
- বাংলাদেশে দূতাবাস – ইংরেজি ও আরবি দরকার হয়।
- স্থানীয় প্রতিষ্ঠান – বাংলায় নোটিশ চায়।
- আন্তর্জাতিক কোম্পানি – ইংরেজিতে প্রাধান্য দেয়।
এই ফরমের বিশেষত্ব হলো, একটি তথ্য দিয়েই তিন ভাষায় নোটিশ তৈরি করা যাবে। ফলে আলাদা আলাদা করে টাইপ বা অনুবাদ করার ঝামেলা থাকবে না।
ব্যবহারিক উদাহরণ
ধরা যাক, একটি দূতাবাস বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে তিন দিনের ছুটি ঘোষণা করছে। তখন ফরমে নিম্নলিখিত তথ্য দিলে:
- Title: Office Closure Notice
- Institute Type: The Embassy
- Closing Date: 13–15 April 2024
- Occasion: Bengali New Year
- Reopen Date: 16 April 2024
- Notice From: Embassy of Bangladesh
- Authority: HR Department
- Email: info@bangladesh-embassy.org
ফলাফল:
1. English Notice
The Embassy will remain closed from 13 to 15 April 2024 on the occasion of Bengali New Year and will reopen on 16 April 2024.
2. বাংলা নোটিশ
দূতাবাস ১৩ থেকে ১৫ এপ্রিল ২০২৪ তারিখ পর্যন্ত বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে বন্ধ থাকবে। আগামী ১৬ এপ্রিল ২০২৪ তারিখে পুনরায় চালু হবে।
3. Arabic Notice
ستظل السفارة مغلقة من 13 إلى 15 أبريل 2024 بمناسبة رأس السنة البنغالية وستُفتح مرة أخرى في 16 أبريل 2024.
সুবিধাসমূহ
কেন এই ফরমটি ব্যবহার করবেন?
নোটিশ তৈরি মানে শুধু একটি লেখা নয়, বরং অফিসিয়ালভাবে সবার কাছে সঠিকভাবে উপস্থাপন করা।
- সময় বাঁচায় : মাত্র এক মিনিটে নোটিশ তৈরি করা যায়। একবার ফরম পূরণ করলে একই সাথে তিন ভাষার নোটিশ তৈরি হয়। আলাদা অনুবাদক বা টাইপিস্টের প্রয়োজন পড়ে না।
- ত্রুটিহীন লেখা – বানান বা ফরম্যাট ভুল হয় না।
- অফিসিয়াল লুক ও স্ট্যান্ডার্ড ফরম্যাট : নোটিশ A4 সাইজে সুন্দরভাবে ফরম্যাটেড অবস্থায় পাওয়া যায়, যা সরাসরি প্রিন্ট করা যায়। বহুভাষায় সুবিধা – বাংলা, ইংরেজি ও আরবীতে তৈরি করা যায়।
- অফিসিয়াল টেমপ্লেট – নোটিশ সবসময় প্রফেশনাল দেখাবে।
- বহুভাষিক যোগাযোগ : বাংলাদেশি কর্মী, বিদেশি কর্মকর্তা ও আরবি ভাষাভাষী প্রবাসীদের জন্য একই সাথে বোধগম্য হয়ে ওঠে।
- সব প্রতিষ্ঠানের জন্য উপযোগী – ব্যাংক, দূতাবাস, স্কুল-কলেজ, কর্পোরেট অফিস—সব জায়গায় ব্যবহার করা যাবে।
- সাশ্রয়ী : অতিরিক্ত খরচ ছাড়াই অনলাইনে ব্যবহার করা যায়।
- ডিজিটাল ব্র্যান্ডিং : প্রতিষ্ঠানের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে এই ধরনের বহুভাষিক নোটিশ থাকলে আন্তর্জাতিক ইমেজ বাড়ে।
- প্রিন্ট-রেডি আউটপুট – ফরম পূরণ শেষে সরাসরি প্রিন্ট করা যায়।
কর্পোরেট ব্যবহারে গুরুত্ব
- ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান – ছুটি ঘোষণা, লেনদেন বন্ধের বিজ্ঞপ্তি।
- দূতাবাস ও হাইকমিশন – জাতীয় দিবস, আন্তর্জাতিক ছুটি, বিশেষ অনুষ্ঠান উপলক্ষে অফিস বন্ধ।
- শিক্ষা প্রতিষ্ঠান – বিশ্ববিদ্যালয় বা কলেজের ছুটির বিজ্ঞপ্তি।
- কর্পোরেট অফিস – কোম্পানি লেভেলে অফিস বন্ধের ঘোষণা।
কারা এই ফরম ব্যবহার করতে পারবেন?
- সরকারি দপ্তর – হঠাৎ বন্ধ বা ছুটির ঘোষণা দিতে।
- ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান – নির্দিষ্ট দিন বন্ধের নোটিশ দিতে।
- শিক্ষা প্রতিষ্ঠান – পরীক্ষার ছুটি, জাতীয় দিবস, বা ছুটির নোটিশে।
- কর্পোরেট অফিস – ছুটি, বার্ষিক অবকাশ বা ইভেন্ট উপলক্ষে বন্ধ ঘোষণায়।
- দূতাবাস/কনস্যুলেট অফিস – জাতীয় দিবস, আন্তর্জাতিক ছুটি বা বিশেষ কারণে অফিস বন্ধে।
পরিশেষে,
বর্তমান সময়ে সময় বাঁচানো এবং নির্ভুলতা রক্ষা করা অত্যন্ত জরুরি। একটি সাধারণ ফরম পূরণের মাধ্যমে যখন বাংলা, ইংরেজি ও আরবী ভাষায় অফিসিয়াল মানের নোটিশ তৈরি করা সম্ভব, তখন আর আলাদা করে টাইপিস্ট, ডিজাইনার কিংবা অনুবাদক খুঁজে বের করার প্রয়োজন নেই।
showkatbd.com অনলাইন অফিস ক্লোজার নোটিশ ফরম এর মাধ্যমে যে কেউ সহজেই বাংলা, ইংরেজি কিংবা আরবি ভাষায় অফিস বন্ধের নোটিশ তৈরি করতে পারবেন। শুধু কয়েকটি তথ্য পূরণ করুন, আর সঙ্গে সঙ্গে তৈরি হয়ে যাবে আপনার প্রতিষ্ঠানের অফিসিয়াল নোটিশ।
মাত্র এক ক্লিকেই তৈরি করুন আপনার প্রতিষ্ঠানের অফিস ক্লোজার নোটিশ, আর নিশ্চিত করুন তথ্য প্রচারের সহজ ও প্রফেশনাল উপায়।
ছুটির নোটিশ কেন প্রয়োজন পড়ে
যখন কোনো প্রতিষ্ঠান বিশেষ কোনো ইভেন্টের জন্য বা কোনো ছুটির দিনে বন্ধ রাখার প্রয়োজনে, ক্লায়েন্ট ও কর্মচারীদের বিষয়টি অবহিত করার জন্যেই একটি নোটিশ প্রদান করে থাকে।। যা বিশেষ করে প্রতিষ্ঠানের নোটিশ বোর্ডে দৃশ্যমান হয়ে থাকে। বন্ধ এক দিন, এক সপ্তাহ, দুই সপ্তাহ, এক মাসের জন্য হতে পারে। এসব বন্ধ বিশেষ করে নির্ভর করে থাকে সরকারী আদেশের উপর এবং প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব রুল রেজুলেশনের উপর।
যেসব উপলক্ষ্যে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার বা স্বায়ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠান, ব্যক্তি মালিকানধীন প্রতিষ্ঠান এই ছুটিগুলো প্রদান করে থাকে : বাংলা নববর্ষ, বৌদ্ধ পূর্নিমা, মে দিবস, জাতীয় সংসদ নির্বাচন, সরকারি ছুটি, আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস, শব-ই-বরাত, শব-ই-ক্বদর, শব-ই-মিরাজ, স্বাধীনতা দিবস, ঈদুল ফিতর, ঈদুল আযহা, জন্মাষ্টমী, জাতীয় শোক দিবস এবং আশূরা ।
অফিস ক্লোজার নোটিশ এর উপকারিতা : প্রতিষ্ঠানের সকল কর্মচারী ও ক্লায়েণ্টরা উক্ত ছুটির বিষয়টি পূর্ব থেকেই অবহিত হতে পারেন। প্রতিষ্টানের কর্মচারীরা উক্ত ছুটিতে প্রতিষ্ঠানের সকল কর্মকান্ড থেকে নিজেদের সাময়িক বিচ্ছিন্ন রাখতে পারেন অর্থাৎ নিজের মতো করে সময় কাটাতে পারেন। আর ক্লায়েন্টরা উক্ত ছুটিতে প্রতিষ্ঠান থেকে সকল ধরনের সেবা বা সার্ভিস গ্রহন থেকে বঞ্চিত থাকে। ক্লায়েন্টদের সুবিধা অসুবিধা ভালো মন্দ বিবেচনা করেই অগ্রিম এই নোটিশ প্রদান করা হয়ে থাকে।
প্রতিটি উৎসবের একটুসখানি ধারনা দেওয়া হলো :
বাংলা নববর্ষ : ১লা / পহেলা বৈশাখ বাংলা সনের প্রথম দিন। এই পহেলা বৈশাখই হলো বাংলাদেশের নববর্ষ । বাঙালির একটি সর্বজনীন লোকউৎসব। এদিন আনন্দঘন পরিবেশে বরণ করে নেওয়া হয় নতুন বছরকে। অতীতের ভুলত্রুটি ও ব্যর্থতার গ্লানি ভুলে নতুন করে সুখ-শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনায় উদ্যাপিত হয় নববর্ষ। এদিন সরকারি বেসরকারি সকল প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকে।
স্বাধীনতা দিবস : 26 মার্চ বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবস । 1971 সালের 26 মার্চ পাকিস্তান থেকে বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণাকে স্মরণ করে। একটি জাতীয় ছুটির দিন । সরকারি বেসরকারি সকল প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকে।
আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস : 21 ফেব্রুয়ারী, আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস । বাংলাদেশ ও পশ্চিমবঙ্গসহ সকল বাংলাভাষী অঞ্চলে পালিত একটি বিশেষ দিবস, যা 1999 সালের 17 নভেম্বরে জাতিসংঘ কর্তৃক গৃহীত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী প্রতিবছর ২১শে ফেব্রুয়ারি বিশ্বব্যাপী পালন করা হয়। এটি শহীদ দিবস হিসাবেও পরিচিত। এদিনে বাংলাদেশের সকল সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকে।
জাতীয় সংসদ নির্বাচন : দেশের জাতীয় সংসদ নির্বাচন-এর জন্য সরকার কর্তৃক ঘোষিত যে কোন দিন হতে পারে। এদিন সরকারি বেসরকারি সকল প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকে।
মে দিবস : 1 মে, আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস, যা মে দিবস নামে অভিহিত। প্রতি বছর পয়লা মে তারিখে বিশ্বব্যাপী এদিনটি উদযাপিত হয়। বিশ্বের প্রায় ৮০টি দেশে পয়লা মে জাতীয় ছুটির দিন। বাংলাদেশেও এদিন সরকারি বেসরকারি সকল প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকে।
জাতীয় শোক দিবস: 15 আগষ্ট জাতীয় শোক দিবস। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বাংলাদেশ ও স্বাধীনতার স্থপতি শেখ মুজিবুর রহমানকে স্বপরিবারে হত্যা করা হয়। দিনটিকে স্বরণীয় করে রাখতেই আওয়ামীলীগ সরকারের এ দিবসের উৎপত্তি । আওয়ামীলীগ সরকার জাতীয় ও রাষ্ট্রীয়ভাবে এ দিবসটি শোকের সাথে পালন করে থাকে। এ দিবসে কালো পতাকা উত্তোলন ও বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা অর্ধনিমিত রাখা হয় এবং দিনটিকে সরকারীভাবে ছুটি ঘোষনা করা হয়। তবে সরকারী বাদে অনেক প্রতিষ্টানই এই দিনে ছুটি ষোষনা দেয় না।
শব-ই-ক্বদর বা লাইলাতুল ক্বদর: আরবি ভাষায় “কদর” বলতে ভাগ্যের পরিমাপ বা পরিধি বোঝানো হয়। আর শব শব্দটি ফার্সি ভাষার, যার অর্থ রাত। এছাড়া এই রাতের অন্যান্য নামগুলোর মধ্যে রয়েছে “লাইলাতুল কদর” (সৌভাগ্যের রাত), “লাইলাতুল আযমা” (মহত্বের রাত) এবং “লাইলাত আল-শরাফ” (সম্মানের রাত)। শব-ই-কদরের সময়টি বিস্তৃত সূর্যাস্ত বা মাগরিবের ওয়াক্ত থেকে ফজরের আজানের আগ পর্যন্ত। তবে রাতটি আসলে ঠিক কোন তারিখের তা সুনির্দিষ্ট নয়। তবে বুখারি ও মুসলিমসহ বিভিন্ন হাদিস গ্রন্থ অনুযায়ী এটি রমজানের শেষ ১০ দিনের বিজোড় রাতগুলোর যেকোনো একটি। অর্থাৎ সুস্পষ্টভাবে রমজানের ২১, ২৩, ২৫, ২৭ ও ২৯ তম রাতগুলোর প্রতি সর্বাধিক গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। এই রাতের পরের দিন সরকারি বেসরকারি সকল প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকে।
শব-ই-মিরাজ বা লাইলাতুল মিরাজ : মেরাজ অর্থ হলো ঊর্ধ্বগমন। লাইলাতুল মেরাজ বা মেরাজের রজনী উপমহাদেশে শব ই মেরাজ হিসাবে আখ্যায়িত। এ রাতে মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) সশরীরে সজ্ঞানে জাগ্রত অবস্থায় জিবরাইল (আ.) ও মিকাইলের (আ.) সঙ্গে বিশেষ বাহন বোরাকের মাধ্যমে অলৌকিক উপায়ে উর্ধ্বাকাশে আরোহণ করেছিলেন এবং মহান আল্লাহর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। তিনি মসজিদুল হারাম থেকে মসজিদুল আকসা হয়ে প্রথম আসমানে গমন করেন। এরপর ধারাবাহিকভাবে সপ্তম আসমান এবং সিদরাতুল মুনতাহা পর্যন্ত এবং সেখান থেকে একাকি রফরফ বাহনে আরশে আজিম পর্যন্ত ভ্রমণ করে মহান রাব্বুল আলামিনের সঙ্গে সাক্ষাৎ লাভ করেন। পাশাপাশি জান্নাত-জাহান্নাম পরিদর্শন করে পৃথিবীতে ফিরে আসেন।
ইসলামে মেরাজের বিশেষ গুরুত্ব আছে, কেননা এই মেরাজের মাধ্যমেই ইসলাম ধর্মের পঞ্চস্তম্ভের দ্বিতীয় স্তম্ভ অর্থাৎ নামাজ মুসলমানদের জন্য অত্যাবশ্যক অর্থাৎ (ফরজ) নির্ধারণ করা হয় এবং দৈনিক পাঁচ ওয়াক্ত নামাযের বিধান নির্দিষ্ট করা হয়। এটি আমাদের দেশে সাধারন ছুটি হিসেবে বিবেচিত হয়।
শব-ই-বরাত বা লাইলাতুল বরাত : মুসলিম উম্মাহর কাছে একটি মহিমান্বিত, তাৎপর্যমণ্ডিত ও ফজিলতপূর্ণ রাত পবিত্র শব-ই-বরাত। শব-ই-বরাত পালিত হয় শাবান মাসের পঞ্চদশ রজনীতে। এটিও আমাদের দেশে সাধারন ছুটি হিসেবে বিবেচিত হয়।
আশূরা : আরবী সালের মুহররম মাসের 10 তারিখ আশুরার দিন। ইসলাম ধর্মে একটি স্মরণীয় দিবস। শিয়া মুসলমানদের মধ্যে আশুরা বৃহত্তর শোকের বিশাল বিক্ষোভের মাধ্যমে পালিত হয় কারণ এটি হোসাইন ইবনে আলীর মৃত্যুকে চিহ্নিত করে যাকে ৬৮০ খ্রিস্টাব্দে কারবালার যুদ্ধের সময় শিরশ্ছেদ করা হয়েছিলো। এ দিনে সাধারণ সরকারি ছুটি থাকে।
বুদ্ধ পূর্ণিমা : বুদ্ধ পূর্ণিমা বা বৈশাখী পূর্ণিমা হল বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের পবিত্রতম উৎসব। এই পুণ্যোৎসব বৈশাখ মাসের পূর্ণিমা তিথিতে উদযাপিত হয়। শিশু-কিশোরদের মধ্যেও নানা উৎসবমুখর আনুষ্ঠানিকতার ধুম পড়ে যায়। এই পূর্ণিমাকে ঘিরে অনেক বৌদ্ধবিহারে চলে তিনদিনব্যাপী নানামুখী অনুষ্ঠান। বৌদ্ধধর্মীয় পর্ব হিসেবে এ দিনে সাধারণ সরকারি ছুটি থাকে।
ঈদুল ফিতর : রমজানের 29 বা ৩০ রোজা রাখার পরের দিনই ঈদুল ফিতর। এর অর্থ হচ্ছে, রোজা/উপবাস ভাঙার আনন্দ। মুসলমানদের দুটো সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসবের একটি এই ঈদুল ফিতর। ঈদুল ফিতর উপলক্ষ্যে সরকারী বেসরকারী সকল প্রতিষ্ঠান 3/5/7 দিনের ছূটি ঘোষনা করে থাকে।
ঈদুল আযহা : মুসলমানদের দুটো সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসবের আরেকটি হলো ঈদুল আযহা। কুরবানির ঈদ নামেও পরিচিত। ইসলামি চান্দ্র পঞ্জিকায় ঈদুল আযহা জ্বিলহজ্জের ১০ তারিখে পড়ে। ঈদের তারিখ স্থানীয়ভাবে জ্বিলহজ্জ মাসের চাঁদ দেখার ওপর নির্ভর করে। ঈদুল আযহা উপলক্ষ্যে সরকারী বেসরকারী সকল প্রতিষ্ঠান 3/5/7 দিনের ছূটি ঘোষনা করে থাকে।
জন্মাষ্টমী : জন্মাষ্টমী বা কৃষ্ণ জন্মাষ্টমী একটি হিন্দু উৎসব। এটি বিষ্ণুর অবতার কৃষ্ণের জন্মদিন হিসেবে পালিত হয়। হিন্দু পঞ্জিকা মতে, ভাদ্র মাসের কৃষ্ণপক্ষের অষ্টমী তিথিতে যখন রোহিণী নক্ষত্রের প্রাধান্য হয়, তখন জন্মাষ্টমী পালিত হয়। এ দিনে সাধারণ সরকারি ছুটি থাকে।
ঈদ-ই-মিলাদুন্নবী : 12 রবিউল আউআল । ঈদে মিলাদুন্নবী হচ্ছে হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর জন্মদিন উপলক্ষে বিশেষ উৎসবমুখর দিন। সারা বিশ্বের বহু মুসলিম অত্যন্ত জাঁকজমক, ভক্তি ও মর্যাদার সাথে আরবী বৎসরের ৩য় মাস রবিউল আউআল মাসের ১২ তারিখে এই ঈদে মিলাদুন্নবী বা নবীর জন্মের ঈদ পালন করেন। কিন্তু অধিকাংশ মুসলিমই এই ‘ঈদের’ উৎপত্তি ও বিকাশের ইতিহাসের সাথে পরিচিত নন। তবে এ দিনটি পালনে মুসলমানদের মাঝে বিতর্ক রয়েছে। এটিও সাধারন ছুটির অন্তর্ভূক্ত।
বড়দিন : 25 ডিসেম্বর, যিশু খ্রিস্টের জন্মদিন। একটি বাৎসরিক খ্রিস্টীয় উৎসব। যিশু খ্রিস্টের জন্মদিন উপলক্ষে এই উৎসব পালিত হয়। এই দিনটিই যিশুর প্রকৃত জন্মদিন কিনা তা জানা যায় নি। আদিযুগীয় খ্রিস্টানদের বিশ্বাস অনুসারে, এই তারিখের ঠিক নয় মাস পূর্বে মেরির গর্ভে প্রবেশ করেন যিশু। এদিনেও সাধারন ছুটি থাকে।
বিজয় দিবস : ১৬ ডিসেম্বর, বিজয় দিবস। বিশেষ দিন হিসেবে রাষ্ট্রীয়ভাবে দেশের সর্বত্র পালন করা হয়। 1972 সালের 22 জানুয়ারি প্রকাশিত এক প্রজ্ঞাপনে দিনটিকে বাংলাদেশের জাতীয় দিবস হিসেবে উদযাপন করা হয় এবং সরকারিভাবে ছুটি ঘোষণা করা হয়।
পরিশেষে,
অফিস ক্লোজার নোটিশ মেকার এ্যাপটি যদি আপনার ক্লোজিং লেটার তৈরিতে বিন্দুমাত্র উপকার করে থাকে, তাহলে অন্যকেও ব্যবহার করতে শেয়ার করুন।
ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন। দেশকে ভালোবাসুন, দেশীয় সাইট ব্যবহার করুন।
লেখক : মোহাম্মদ শওকত আকবার,
লেখক, কবি, প্রযুক্তি উদ্ভাবক আর কন্টেন্ট নির্মাতা – সবকিছু মিলিয়ে নিজেকে বলি, একজন সৃষ্টিশীল যাযাবর।