অংশীদারী ব্যবসার চুক্তিপত্র | Business Agreement | Business Deed |

অংশীদারী ব্যবসা : একের অধিক অংশীদার নিয়ে যে ব্যবসা করা হয়, তাকে অংশিদারী ব্যবসা বা পার্টনারশীপ বিজনেস বলে। পার্টনারশীপ বিজনেস পরিচালিত করার মুল ভিত্তিই হচ্ছে পার্টনারশীপ ডিড। ব্যবসা করার উদ্দেশ্যে সকল অংশীদারদের সমন্বয়ে যে লিখিত চুক্তিপত্র স্বাক্ষরিত হয় তাই অংশীদারী ব্যবসার চুক্তিপত্র বা পার্টনারশীপ ডিড।

বি.দ্র: আমি এটি ডিজাইন করেছি ব্যবসায়িক ডিড তৈরীতে অভিজ্ঞ আইনজীবীর সহায়তায়। এখানে পার্টনারশীপ ব্যবসা করার সকল ধরনের ব্যবসায়িক চুক্তি উল্লেখ আছে। শুধু পার্টনারদের তথ্যাদি পূরন করলেই অল্প সময়ে একটি মানসম্মত ডিড তৈরী হয়ে যাবে। এটি তৈরীতে আপনার সময় এবং অর্থ উভয়ই সাশ্রয় হবে।

জেনারেট করুন অংশীদারী ব্যবসার চুক্তিপত্র

2 ব্যক্তির মাঝে অংশীদারী ব্যবসার চুক্তিপত্র

Make Business Deed

3 ব্যক্তির মাঝে অংশীদারী ব্যবসার চুক্তিপত্র

Make Business Deed

4 ব্যক্তির মাঝে অংশীদারী ব্যবসার চুক্তিপত্র

Make Business Deed

প্রিভিউ :

showkatbd.com থেকে তৈরী  Business Agreement প্রিন্ট দিলে নিচে প্রদর্শিত ছবির ন্যায় দৃশ্যমান হবে। প্রিন্ট ব্রাউজার থেকে আপনি পিডিএফ মুডেও প্রিন্ট করে পিডিএফ ফাইল হিসেবে কম্পিউটারে সেভ করে রাখতে পারেন।

2 সদস্যের সমন্বয়ে তৈরী একটি এগ্রিমেন্টের নমূনা :

[pdf-embedder url=”https://showkatbd.com/wp-content/uploads/2023/06/sample-business_agreemnt-2persons.pdf”]

বিজনেস এগ্রিমেন্ট বা অংশীদারী ব্যবসার চুক্তিনামা নিয়ে কিছু আলোচনা 

অংশীদারী ব্যবসার চুক্তিপত্র কি ?

দু্ই বা অধিক ব্যবসায়ির সমন্বয়ে যখন কোনো ব্যবসা পরিচালনা করার জন্য চুক্তিপত্র বা ডিড তৈরী করা হয়, তাই হচ্ছে পার্টনারশীপ ডিড বা অংশিদারী চুক্তিপত্র। অর্থাৎ অংশীদারী ব্যবসায় অংশীদারদের সমন্বয়ে যে লিখিত চুক্তিপত্র স্বাক্ষরিত হয় তাই অংশীদারী চুক্তিপত্র বা পার্টনারশীপ ডিড।  ব্যবসা পরিচালনা করার সকল ধরনের শর্তাবলীর সমন্বয়েই তৈরী হয় একটি চুক্তিপত্র। এই চুক্তিপত্র নন-জুডিশিয়াল ষ্ট্যাম্প বা রেভিনিউ ষ্ট্যাম্প বা সরকারী কাগজেই তৈরী করা বাঞ্চনীয়। এই চুক্তিপত্র কে একটি ব্যবসায়িক দলিলও বলে বটে।

অংশীদারী ব্যবসার চুক্তিপত্রের ভুমিকা ?

একটি অংশীদারী চুক্তিপত্র নিম্নলিখিত বিষয়ে ভুমিকা রাখে :

  • অংশীদারী ব্যবসা পরিচালনা ও নিয়ন্ত্রন করে এই চুক্তিপত্রটি।
  • এটি ব্যবসার ভবিষ্যৎ দিক নির্দেশক হিসেবে কাজ করে থাকে।
  • ব্যবসার ভবিষ্যত সকল ধরনের সৃষ্ট সমস্যা সমাধানে সহায়তা করে।

সকলেরই মনে রাখা উচিত যে, পার্টনারশীপ বিজনেস করার ক্ষেত্রে একটি ডিড অপরিহার্য। কেননা, পার্টনারশীপ বিজনেসের মূলভিত্তিই হচ্ছে চুক্তিপত্র।

যেকোনো অংশীদারী ব্যবসা শুরু করার জন্য লিখিত চুক্তিপত্র থাকা বাধ্যতামূলক। এজন্যই বলা হয়, চুক্তিপত্রই হচ্ছে অংশীদারি ব্যবসায়ের মূল ভিত্তি। যেখানে চুক্তি নেই, সেখানে অংশীদারি ব্যবসা শুরু করা সম্ভব নয়। তাই চুক্তিপত্র অংশীদারি ব্যবসা শুরু করার জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ।

অংশীদারী চুক্তিপত্রে যে বিষযগুলো উল্লেখ থাকে ?

  • অংশীদারী ব্যবসার নাম কি হবে তা উল্লেখ থাকে।
  • ব্যবসার ঠিকানা উল্লেখ থাকে।
  • অংশীদারি ব্যবসার প্রকৃতি ও উদ্দেশ্য।
  • সংগঠনের কার্যকাল ও স্বায়িত্ব উল্লেখ থাকে।
  • প্রত্যেক অংশীদারের নাম, ঠিকানা ও পেশা কি তা লিপিবদ্ধ থাকে।
  • প্রত্যেক অংশীদারের মূলধনের পরিমান ও পরিশোধ পদ্ধতি লিপিবদ্ধ থাকে।
  • অংশীদারি ব্যবসা ব্যবস্থাপনা ও পরিচালনার নিয়মসমূহ উল্লেখ থাকে।
  • ব্যবসার লাভ ও লোকসান বণ্টনের প্রক্রিয়া উল্লেখ থাকে
  • কোন কোন অংশীদার সংগঠন সরাসরিভাবে পরিচালনা করবে তাদের পরিচিতি উল্লেখ থাকে।
  • অংশীদারদের দায়িত্ব, ক্ষমতা ও অধিকার কি কি তা উল্লেখ থাকে।
  • অংশীদারদের অবসরগ্রহণ ও বহিষ্কার পদ্ধতি সম্পর্কে তথ্য থাকে।
  • ভবিষ্যত সমস্যার সমাধান পদ্ধতি উল্লেখ থাকে।
  • বিরোধ সহজ করতে বিভিন্ন সমাধান পদ্ধতি।
  • ব্যবসার জন্য ঋণ গ্রহণের পদ্ধতি সম্পর্কে তথ্য উল্লেখ থাকবে।
  • অংশীদারি ব্যবসার বিলোপসাধন পদ্ধতি লিপিবদ্ধ থাকে, ইত্যাদি।

3 সদস্যের সমন্বয়ে তৈরী একটি এগ্রিমেন্টের নমূনা :

[pdf-embedder url=”https://showkatbd.com/wp-content/uploads/2023/06/sample-business_agreemnt3.pdf”]

অংশীদারী ব্যবসার চুক্তিনামা

১। নাম:………….., পিতা:…………………ঠিকানা:………………. জাতীয়তা- বাংলাদেশী, ধর্ম- ইসলাম, পেশা- ব্যবসা।

………………… প্রথম অংশীদার।

২। নাম:………….., পিতা:…………………ঠিকানা:………………. জাতীয়তা- বাংলাদেশী, ধর্ম- ইসলাম, পেশা- ব্যবসা।

……………….. দ্বিতীয় অংশীদার।

৩। নাম:………….., পিতা :…………………ঠিকানা:………………. জাতীয়তা- বাংলাদেশী, ধর্ম- ইসলাম, পেশা- ব্যবসা।

তৃতীয় অংশীদার

পরম করুণাময় মহান আল্লাহর নামে অংশীদারী চুক্তিনামা লিখতে আরম্ভ করিলাম।

যেহেতু আমরা উল্লেখিত পক্ষগণ আলাপ আলোচনা সাপেক্ষে একমত পোশন করিয়া নাইস এক্সেসরিজ (Nice Accessories) নামেতে ব্যবসা যৌথমালিকানায় পরিচালনা করার জন্য নিম্নলিখিত শর্তাবলী পালন স্বাপেক্ষে যৌথ ব্যবসায়ের চুক্তিনামা পক্ষগণের মধ্যে সম্পাদন করিলাম।

শর্তাবলী

১। আমাদের উক্ত যৌথ ব্যবসাটির অফিস ব্যবসায়ের অংশীদারগণের মধ্যে আলোচনার মাধ্যমে পছন্দ অনুযায়ী নেওয়া হবে।

২। বর্তমানে প্রতিষ্ঠানের অস্থায়ী অফিসঃ ৯১/৪, দক্ষিণ মাদারটেক, সবুজবাগ, ঢাকা-১২১৪ ঠিকানায় আরম্ভ হইবে। প্রয়োজনে বাংলাদেমের যে কোন স্থানে পরিবর্তন করা যাইতে পারে। ব্যবসার ধরণ হইবে গার্মেন্টস এক্সেসরিজ (Garments Accessories) সরবরাহ।

৩। ব্যবসায়ের বিনিয়োগের হারে নিম্নরূপঃ

ক্রমিক নং  – পক্ষগণের নাম – অংশের শতকরা পরিমাণ
প্রথম অংশীদার- x- ৩৩.৩৪%
দ্বিতীয় অংশীদার- Y- ৩৩.৩৩%
তৃতীয় অংশীদার- Z- ৩৩.৩৩%

সর্বমোট ১০০%

৪। উক্ত অংশীদারী প্রতিষ্ঠানের ব্যাংক একাউন্ট ৩ (তিন) জন অংশীদার দ্বারা যৌথ একাউন্ট-এর মাধ্যমে পরিচালিত হইবে।

৫। টাকা উত্তোলনের জন্য চেক স্বাক্ষরের ক্ষেত্রে ১নং পক্ষ জনাব আলামিন-এর স্বাক্ষর বাধ্যতামুলক করা হল এবং ২য় অথবা ৩য় পক্ষের মধ্য হইতে যেকোন একজন সহ সর্বমোট দুইজনের স্বাক্ষর আবশ্যক।

৬। ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ভাড়া/কর্মকর্ত-কর্মচারী বেতন ভাতাও অন্যান্য যাবতীয় খরচ প্রতিষ্ঠানের পক্ষ হইতে খরচ করা হইবে।

৭। মাসের শেষে খরচ বাদে যে টাকা লাভ হইবে তাহা অংশীদারগণের মধ্যে নিম্ন লিখিত হারে বন্টিত হইবে।

ক্রমিক নং- পক্ষগণের নাম- অংশের শতকরা পরিমাণ
প্রথম অংশীদার-X- ৩০%
দ্বিতীয় অংশীদার-Y- ৩০%
তৃতীয় অংশীদার-Z- ৩০%
সর্বমোট ৯০%

বাকী ১০% প্রতিষ্ঠানের যৌথ ব্যাংক একাউন্টের মধ্যে জমা থাকবে যাহা আপদকালীণ সময়ে ব্যবহার করা যাবে।

৮। প্রতিষ্ঠানের কোন লোকসান হইলে উহা পক্ষগণ সহ হারে বহন করিবেন।

৯। যৌথ ব্যবসা পরিচালনার ক্ষেত্রে একে অপরের প্রতি গভীর আস্থা বা বিশ্বাস স্থাপন করিতে বা রাখিতে হইবে।

তাহা না হইলে কোন অবস্থাতেই যৌথ ব্যবসা পরিচালনা করা সম্ভব হইবে না।

১০। এই ব্যবসার তিন পক্ষই মালিক বা স্বত্বাধিকারী হিসাবে গণ্য হইবে। সেক্ষেত্রে কোন পক্ষই নিজের প্রাপ্ত অংশের অতিরিক্ত কোন সুযোগ / সুবিধা ভোগ করিতে পারিবে না।

১১। ব্যবসা পরিচালনার জন্য অথ্যের প্রয়োজনের ক্ষেত্রে তিন জন অংশীদারের সমান বিনিয়োগ নাও হতে পারে। সে ক্ষেত্রে অংশীদারের মধ্যে আন্তরিকতা দক্ষতা, অভিজ্ঞতা কে মূল্যায়ন করে ব্যবসা এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে এবং সমান ভাগে মালিকানা ভোগ করিবে।

১২। এই প্রতিষ্ঠানটি চালু থাকাবস্থায় পক্ষগণ অনুরূপ কোন ব্যবসা ঢাকা জেলার মধ্যে নিজ নামে বা অংশীদারিত্বের মাধ্যমে চালাইতে পারিবেন না।

১৩। আমরা অংশীদারগণ এই যৌথ ব্যবসায়ের চুক্তিনামার লিখিত বিষয় সমূহ পাঠ করিয়া উহার মর্ম অবগত হইয়া অদ্যকার হাজিরান মজলিসে উপস্থিত স্বাক্ষীগণের মোকাবেলায় লিখিত বিষয়সমূহ সত্য ও সঠিক জানিয়া এবং ইহাতে কোন প্রকার ভুল বা মিথ্যা তথ্য প্রকাশ হয় নাই এই মর্মে স্বেচ্ছায় স্বজ্ঞানে অন্যের বিনা প্ররোচনায় এই যৌথ ব্যবসায়ের চুক্তি নামায় নিজ নাম স্বাক্ষর করিলাম।

এই অংশীদারী চুক্তিনামা ২০০০/- (দুই হাজার) টাকার নন-জুডিশিয়াল ষ্ট্যাম্পে ২০ (বিশ) পাতা বাংলায় কম্পোজকৃত।

অত্র অংশীদারী চুক্তিনামার ৩ (তিন) জন স্বাক্ষীর উপস্থিতিতে সম্পাদিত। মূলকপি ৩য় পক্ষ জনাব  X- এর নিকট থাকিবে এবং ১টি করিয়অ ফটোকপি ( নোটারী পাবলিক কর্তৃক সত্যায়িত) প্রতি অংশীদারগণের নিকট অবশ্যই থাকিতে হইবে। ইতি, তাং-

স্বাক্ষীগণের স্বাক্ষর ঃ
১।
প্রথম অংশীদারের স্বাক্ষর
২।
দ্বিতীয় অংশীদারের স্বাক্ষর
৩।
তৃতীয় অংশীদারের স্বাক্ষর

4 সদস্যের সমন্বয়ে তৈরী একটি এগ্রিমেন্টের নমূনা :

[pdf-embedder url=”https://showkatbd.com/wp-content/uploads/2023/06/sample-business_agreemnt4.pdf”]

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!