সেলারী সার্টিফিকেট – বেতন বিবরণি হচ্ছে, কোনো প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তি মালিকানায় কর্মরত একজন কর্মকর্তা বা কর্মচারীর প্রাপ্ত বেতনের বিশদ বিবরন। যা প্রতিষ্ঠান বা মালিক কর্তৃক প্রদান করা হয়।
এই ফরম দিয়ে তৈরি চিঠির প্রিন্টেড কপি :
Q. সেলারী সার্টিফিকেট বা বেতন বিবরণি কেনো প্রয়োজন?
A. নতুন কোনো কর্মস্থলে যোগদানে অতিতের বেতন প্রমানে এর প্রয়োজন পড়ে। ব্যাংকে একাউন্ট ওপেনের জন্য এই বিবরনই দাখিল করতে হয়। ইনকাম ট্যাক্স প্রদানে বেতন বিবরনি জমা দিতে হয় অনেক সময় ভিসা গ্রহনের জন্য এই বিবরণি প্রদান করতে হয়। তবে ভিসার ক্ষেত্রে ইংরেজি ফরমেট সাবমিট করতে হয়।
Q. এই চিঠিতে কি কি তথ্য সংযোজন করতে হয়?
A. চিঠি তৈরির প্রথমেই চিঠি তৈরির তারিখ, প্রতিষ্ঠান প্রদত্ত একটি রেফারেন্স নাম্বার, কর্মকর্তা বা কর্মচারির পুরো নাম, অভিভাবকের নাম, কর্মস্থলে কাজ করার মেয়াদকাল অর্থাৎ কোন সালের কত তারিখ থেকে কর্মকর্তা উক্ত প্রতিষ্ঠানের সাথে সম্পৃক্ত সেই সময়কাল। প্রতিষ্ঠান উক্ত কর্মচারিকে কোন কোন খাতে কত পরিমান প্রদান করে থাকেন, তার বিবরন। যেমন : বেসিক, বাসা ভাড়া, যানবাহন খরচ, মেডিকেল খরচ, অন্যান্য-ইত্যাদি। কর্মকর্তার পদবী, যে প্রতিষ্ঠান এই চিঠিটি প্রদান করছেন- সে প্রতিষ্ঠানের নাম, প্রতিষ্ঠান কর্তৃক কর্মচারির কাজের প্রত্যয়ন। সবার শেষে কোন কর্তৃপক্ষ দ্বারা এই চিঠিটি স্বাক্ষরিত সেই কর্তৃপক্ষের নাম, পদবী।
Q. সেলারী সার্টিফিকেট কে কাকে প্রদান করে থাকে?
A. একজন কর্মচারিকে তার মালিক বা প্রতিষ্ঠান এই চিঠি প্রদান করে থাকে। তবে অনেক প্রতিষ্ঠানের এইচ আর ডিপার্টমেন্ট কর্মচারির অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে, উর্ধতন কর্মকর্তা বা মালিকের অনুমতি সাপেক্ষে এই চিঠি ইস্যু করে থাকে।
Q. ই-ডকস থেকে তৈরি এই চিঠি কতটুকু মান সম্মত?
A. ১০০% মান সম্মত। বাংলাদেশের অনেক বড় বড় প্রতিষ্ঠানের এইচ আর ডিপার্টমেন্ট এই চিঠির ফরম ব্যবহার করে এমপ্লোয়ীদের বেতন বিবরণি তৈরি করে দিচ্ছে।
Q. বেতন বিবরণি তৈরির ক্ষেত্রে এই ফরমের উপকারিতা কি?
A. অনলাইন থেকে টেম্পলেট খুঁজে বের করার যুদ্ধ থেকে মুক্তি। একটি ফরম ফিলাপ করলেই পেয়ে যাচ্ছেন নির্ভূল এবং ১০০% মান সম্মত বেতন বিবরণি।
Q. এই চিঠি তৈরিতে রেজিষ্ট্রেশনের প্রয়োজন পড়ে কি?
A. না।
Q. কিভাবে একটি প্রতিষ্টানের লেটার হেডে এটি প্রিন্ট করা যায়?
A. ফরমটি ফিলাপ করে নিচের প্রিণ্ট বাটনে ক্লিক করুন। ওয়ার্ড প্রসেসিং একটি পাতায় আপনার চিঠি ভিজিবল হবে। এবার আবার প্রিন্ট বাটনে ক্লিক করুন।চিঠির মার্জিন সেট করুন আপনার লেটার হেড অনুযায়ী। লেটার হেড প্রিন্টারে প্রবেশ করান। কম্পিউটার থেকে প্রিন্ট দিন।
Q. ফরম ফিলাপের পরে চিঠি ভিজিবল হয়েছে, কিন্তু টাইপিং মিস্টেক আছে কি করবো?
A. চিঠি ভিজিবল হলে Make Correction বাটনে ক্লিক করে পুর্বের ফরমে ফিরে যান, এবং যেই ঘরের তথ্যে ভুল আছে, সেই ঘর থেকে কারেকশন করুন এবং আবার নিচের প্রিন্ট বাটনে ক্লিক করুন।
Q. ই-ডকসের ফরম দিয়ে তৈরি চিঠির টেক্সট সমুহ এমএসওয়ার্ডে কপি করে আনতে চাই
A. চিঠি দৃশ্যমান হলে সম্পুর্ন টেক্সট সমুহ সিলেক্ট করুন, CTRL+C দিয়ে কপি করুন। এমএসওযার্ড ওপেন করুন CTRL+V চেপে পেষ্ট করুন।
Q. টেম্পলেট আর এই ফরমের মধ্যে পার্থক্য কি?
A. টেম্পলেটসমুহে উদাহরন দেয়া থাকে, আপনার পছন্দের উদাহরন কপি করা সম্ভব হলে তা কপি করে ওয়ার্ড প্রসেসিং যে কোন আপ্লিকেশনে তা পেষ্ট করে কাজ করতে পারেন, এবং সেখানে সংযোজন, বিয়োজন করে, পেজ সেট আপ করে কাজ করতে হয়। যা অনেকটা সময়ের অপচয় করে। আর ই-ডকসের ডকুমেন্ট সমুহে শুধু তথ্য সন্নিবেশিত করলে আপনার চিঠি পেয়ে যাচ্ছেন। যা একদম রেডি, আপনার সময় বাঁচাবে।
Q. মোবাইল থেকে ফরম ফিলাপ করে কি প্রিন্ট দেয়া যায়?
A. মোবাইলের সাথে অবশ্যই প্রিন্টার ডিভাইজ সংযোগ থাকতে হবে।
Q. তথ্য ইনপুট করে প্রিন্টে ক্লিক করলে টেক্সটসমুহ মনিটরের ফুল স্ক্রিন জুড়ে আসে? প্রিন্ট দিলে কি তা অর্জিনাল পেইজে প্রিন্ট হবে, নাকি টেক্সট মিসিং হবে?
A. ডিসপ্লে যাই দেখাক না কেনো, প্রিন্ট দিলে আপনার চিঠি A4 বা Letter সাইজেই প্রিন্ট হবে।
Q. আর্টিকেল কেনো এত সংক্ষেপ?
A. একজন রিডারের সহজে বোধগম্য হওয়ার জন্যেই আমি আর্টিকেল ছোট করে তৈরি করি। এক বর্ননা বার বার উপস্থাপন একজন রিডারকে বিরক্তি দেয়। তাই সংক্ষেপে মুল বিষয়টি তুলে ধরার জন্যেই আমার প্রতিটি আর্টিকেল ছোট। যেহেতু ই-ডকস ক্লাউড বেইজড। তাই চিঠির বিস্তারিত পরিচয় উপস্থাপনার চাইতে চিঠি তৈরিই মুলত এর লক্ষ্য।
চিঠির বর্ণনা নয়, চিঠিই মুখ্য
পরিশেষে, চিঠি তৈরির এই সহজ পদ্বতি যদি ভালো লেগে থাকে বা আপনি উপকৃত হয়ে থাকেন, তাহলে শেয়ার করে অন্যকেও এটি ব্যবহার করার সুযোগ করে দিন।
ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন।