ভালোবাসার ফেরিওয়ালা কবিতাটি জীবনযুদ্ধে হেরে যাওয়া এক নি:স্ব কবির আর্তনাদ। যে আর্তনাদ কেউ শুনে না। কেউ বোঝেও না। আসলে মানুষ এক আজিব প্রানি।
ভালোবাসার ফেরিওয়ালা
– মোহাম্মদ শওকত আকবার
কাঁধে নিয়া ভালোবাসার ঝুলি
বেচেছি জনে জনে,
বাকিতে ভালোবাসা কিনেছে সবে
দেয় নাই কিছু প্রতিদানে।
ভালোবাসার ব্যবসা করিয়া
হারিয়ে সকল পুঁজি,
নি:স্ব হইয়া এই অবেলায়
জনে জনে পাওনা বেড়াই খুঁজি।
মুখ ফিরাইয়া, দূরে সরে যায়
ক্রেতা সকলে,
একদা বাকিতে কিনেছে ভালোবাসা,
সকলি গিয়াছে ভুলে।
বেচে ভালোবাসা বাকির খাতায়
রেখেছিলাম লিখিয়া,
ভেবেছিলাম একদা পাওনা
দিবে ফিরাইয়া।
মিথ্যে হইলো বিজনেস পলিসি
ধ্যান জ্ঞান আর বুদ্ধি,
মানুষ বড়ই স্বার্থপর প্রানি
মিথ্যা নয় এক রত্তি।
ওগো বিধাতা, একেমন প্রতিদান
দিলে তুমি আজ,
সকলের জীবন উজ্জল আজি
আমার জীবনে সাঁঝ।

জীবনের সর্বস্ব দিয়ে যাদের ভালোবেসেছি। নিজে গাধার মতো খেটে যাদের মাথা গোজার ঠাই করে দিয়েছি, জীবনে সফলতার সোপান তৈরি করে দিয়েছি। আজ সেই সোপানের অনেক উপরে তারা। আর আমি সেই যে সোপানের নীচে ছিলাম, সেখানেই পড়ে রইলাম। ভেবেছিলাম হয়তো এই রক্ত কখনো আমাকে রক্তের টানে কাছে নিবে। হলোনা, আমার সকল চিন্তা-ধারনা ভুলই রয়ে গেলো।
যেই রক্ত রক্ত করে সারাটটা জীবন চেঁচালাম। আসলে সেই রক্তগুলো রক্ত ছিলোনা ছিলো বদ রক্ত। তারা যে আসলে আমার কি ছিলো বা আমার সম্পর্কের কি হতো ? -হিসেব মিলেতে পারলাম না এই বেলাতেও…
তবুও এই বেলায়, তাদের মঙ্গলই কামনা করি।