ফ্লাট ক্রয়ে যেসব ডকুমেন্টস্ যাচাই করবেন

ফ্লাট ক্রয়ে যেসব ডকুমেন্টস্ যাচাই করবেন : সারা জীবনের জমানো অর্থ দিয়ে কিনবেন একটি ফ্লাট। সে ফ্লাট কেনার ক্ষেত্রে থাকতে হবে সবচেয়ে বেশী সতর্ক। আর এই সতর্ক থাকার ক্ষেত্রে যা আপনাকে নিজ থেকেই দেখে নিতে হবে কিছু কাগজপত্র। যা সঠিক হলে আপনি অনেক অনাকাঙ্ক্ষিত সমস্যা থেকে পাবেন মুক্তি। বিনিয়োগ হবে ভেজাল মুক্ত।

রেডি ফ্লাট এ সময়ে অন্যতম স্মার্ট বিনিয়োগের একটি। তাই আজকে বলবো রেডি ফ্লাট কেনার ক্ষেত্রে কি কি ডকুমেন্ট গুরুত্বের সাথে যাচাই করা উচিৎ। আমাদের ফ্লাট দুই ধরনের ভুমির উপরে বর্তমানে হয়ে থাকে।

ফ্লাট ক্রয়ে যাচাই করবেন যেসব ডকুমেন্টস্ 

১। লিজ হোল্ড প্রপার্টি
২। ফ্রি হোল্ড প্রপার্টি

ফ্লাট ক্রয়ে সতর্কতা

সরকার যে প্লটগুলো বরাদ্দ দেয় নিজে কিংবা কোন এজেন্টের মাধ্যমে তাই লিজহোল্ড প্রপার্টি। এ জাতীয় জমিতে কোন ব্যক্তি কিংবা এজেন্ট কিংবা কোন কোম্পানি পাওয়ার নিয়ে ফ্লাট তৈরী করতে পারে। আর সেসব থেকে ফ্লাট কিনতে আপনাকে যা যা কাগজপত্র দেখা উচিৎ…
– সাময়িক বরাদ্দপত্র
– চূড়ান্ত বরাদ্দ পত্র
– লিজ ডিডের কপি
– পজিশন লেটার
– পাওয়ার কপি
– প্লান এপ্রুভ কপি

যদি আপনি নতুন না কিনে সেকেন্ড হ্যান্ড বা ইউজড ফ্লাট কিনেন এ জাতীয় জায়গা থেকে তবে আপনাকে অতিরিক্ত আরোও যা যা দেখতে হবে:
– সেল পারমিশন
রাজউক নামজারি কপি
– ভূমি অফিসের নামজারি কপি।

ফ্রি হোল্ড প্রপার্টি হলো ব্যক্তি মালিকানা জমি। এমন জমির ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশী গুরুত্বপূর্ণ বিষয় জমি। তাই জমি সংক্রান্ত কাগজগুলি তখন বেশী গুরুত্ব দিয়ে দেখতে হয়। ভালোভাবে যাচাই করতে হয় এই জমিতে কোন লোন কিংবা মালিকানায় ঝামেলা আছে কিনা।
আপনি যখন মালিক থেকে সরাসরি কিনবেন তখন আপনাকে যে বিষয়গুলি দেখতে হবে।
– বিক্রেতার দলিল
– বায়া দলিল [ সাব রেজিঃ তল্লাশি করা। যা এই জমিতে কোন লোন আছে কিনা দেখা]
– প্লান এপ্রুভ কপি
– নামজারি কপি
– বন্টননামা কপি [জমির মালিক একাধিক হলে]
– ইউটিলিটি কপি [ কোন ইউটিলিটি বকেয়া কিনা জানার জন্য]
– পার্কিং এর জন্য আলাদা কপি থাকলে তা যাচাই করা।
– বিভিন্ন বিল কপি চেক করা।
যদি ডেভেলপার থেকে কিনেন তবে তার সাথে দেখতে হবেঃ
– পাওয়ার দলিল

মনে রাখবেন, যদি এসব বিষয়ে আপনি অনভিজ্ঞ হয়ে থাকেন তবে যোগাযোগ করুন যে কোন প্রপার্টি এক্সপার্টদের সাথে কিংবা যে কোন আইনজীবির সাথে। একটি ভুল অনেক বড় ক্ষতির কারণ হয়ে যেতে পারে।

তাই ফ্লাট ক্রয়ে সতর্কতা অবলম্বন করুন।

আরো জানুন :




একাউন্ট টু একাউন্ট ফান্ড ট্রান্সফার

একাউন্ট টু একাউন্ট ফান্ড ট্রান্সফার : Currency/Fund Transfer কারেন্সী বা ফান্ড ট্রান্সফার বলতে, এক একাউন্ট থেকে অন্য আরেকটি একাউন্টে অর্থ, মুদ্রা বা তহবিল স্থানান্তর করাকে বুঝায়। তা একই ব্যাংকের অন্য আরেকটি একাউন্টে হতে পারে কিংবা তা এক ব্যাংকের একাউন্ট থেকে অন্য আরেকটি ব্যাংকের একাউন্টে হতে পারে। এটি একটি ব্যাংকিং সিষ্টেম। বিশ্ব জুড়েই এই সিষ্টেমটি প্রচলিত আছে । প্রয়োজনের তাগিদেই এক একাউন্ট থেকে অন্য একাউন্টে অর্থ ট্রান্সফার করার প্রয়োজন হতে পারে। এটা কখনো নিজের এক ব্যাংকের একাউন্ট থেকে অন্য ব্যাংকে বা নিজের একাউন্ট থেকে কাউকে চেক প্রদান না করে সরাসরি ট্রান্সফার করার মাধ্যমে।

একাউন্ট টু একাউন্ট ফান্ড ট্রান্সফার

আমাদের বাংলাদেশে সাধারনত ৩ ভাবে একাউন্ট টু একাউন্ট ফান্ড ট্রান্সফার হয়ে থাকে :

1.  BEFTN (Bangladesh Electronic Fund Transfer Network) : বাংলাদেশ ইলেকট্রনিক ফান্ড ট্রান্সফার নেটওয়ার্ক (বিইএফটিএন) বা BEFTN.

2.  RTGS (Real Time Gross Settlement) রিয়েল টাইম গ্রোস সেট্যালমেন্ট

3. NPSB (National payment Switch  Bangladesh) ন্যাশনাল পেমেন্ট সুইচ বাংলাদেশ।

BEFTN বিস্তারিত

BEFTN (Bangladesh Electronic Fund Transfer Network): ব্যাংকিং ব্যবস্থায় খুবই চমৎকার একটি ব্যাংকিং সেবা। গ্রহিতা তার পছন্দের বা নিকটবর্তি যে কোন একটি ব্যাংকের শাখা সিলেক্ট করতে পারেন। সেখান থেকে একটি নির্দিষ্ট সময়ে অন্য আরেকটি যে কোনো ব্যাংকের যে কোন শাখায় টাকা পাঠাতে পারেন।

ট্রান্সফার লিমিট (Transfer limit ) : এই পদ্ধতিতে একদিনে মিনিমাম ১০০ টাকা থেকে শুরু এবং সর্বোচ্চ ৫০০,০০০ পর্যন্ত ২০ বারে ট্রান্সফার করতে পারবেন। এই ২০ বারের মধ্যেই আপনাকে ট্রান্সফারটি করতে হবে।

ট্রান্সফার সিষ্টেম: ব্যাংকের “Prescribed Format” ফর্ম এ নিচের তথ্যসমুহ দিয়ে পূরন করতে হয় এর সাথে ন্যাশনাল আইডি কার্ডের ফটোকপি সংযুক্ত করে এই প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হয়।

  • ব্যাংক Account Number, Account Title লিখতে হবে,
  • যে ব্যাংকের যে শাখাতে টাকা পাঠাতে চান তা উল্লেখ করতে হবে,
  • Beneficiary বা যার Account এ টাকা পাঠাতে চান সে ব্যাক্তির মোবাইল নাম্বার প্রদান,
  • আপনার নাম, ঠিকানা, মোবাইল নম্বর, এনআইডি কার্ডের নাম্বার ও টাকা জমা করার উদ্যেশ্য ঘরগুলো পূরণ করতে হবে,
  • সর্বশেষে আপনি যে মানি লন্ডারিং করছেন না সে মর্মে একটি ফরমে স্বাক্ষর করতে হবে।

এই পদ্ধতিতে খুব সহজেই এক ব্যাংক থেকে অন্য ব্যাংকের যে কোন শাখাতে আপনি টাকা ট্রান্সফার করতে পারবেন।

ট্রান্সফার চার্জ : এ প্রক্রিয়ায় কোনো চার্জ কাটে না।

ট্রান্সফারের সময়: এ পদ্ধতিতে ২৪ ঘন্টা বা এক দিন সময় নিতে পারে। মানে আপনি যদি আজকে টাকা ট্রান্সফার করেন তবে গ্রহীতা পরদিন এই টাকা উত্তোলন করতে পারবেন।

বি.দ্র. এছাড়াও কোনো কোনো ব্যাংকের এপে বা অনলাইনে ব্যাংকিং এ সংযুক্ত থাকলে এই সুবিধা পেতে পারেন। ব্যাংকের ওয়েব সাইটের মাধ্যমে এই সুবিধা দিয়ে থাকে। সোনালী ব্যাংকের ই-ওয়ালেট এপ থেকে বা ইসলামী ব্যাংকের সেলফিন থেকেও সুবিধাটি পাবেন। যেখান থেকে সহজেই টাকা পাঠাতে পারবেন ঘরে বসেই। অনলাইনে সুবিধাটি নিতে ব্যাংক ভেদে তাদের অনলাইন সিস্টেম ব্যবহারের নিয়ম জেনে নিন।

RTGS বিস্তারিত

Real Time Gross Settlement পদ্বতি সাধারনত ব্যবসায়ীরা ব্যবহার করে থাকেন। এ পদ্ধতিতে বেশ কয়েক ধরনের কারেন্সি ট্রান্সফার করা যায়। যেমন:

ট্রান্সফার লিমিট ( RTGS transfer limit ): সর্বনিন্ম ১০০,০০০ টাকা থেকে শুরু হয় এটি এবং উর্ধ সিমা হচ্ছে ১৭ ডিজিট এর মধ্যে আপনি যত সংখ্যা লিখতে পারেন। তবে ফরেন কারেন্সি  ট্রান্সফারের ক্ষেত্রে কোনো নির্দিষ্ট লিমিট নেই।

নিয়ম : আপনাকে ব্যাংকের একটি ফর্ম  নিচের িইনফরমেশনগুলো দিয়ে একটি  পূরণ করতে হবে। সেগুলো হলঃ

  • রিসিভারের নাম
  • রিসিভারের ব্যাংক একাউন্ট নাম্বার
  • ব্যাংক একাউন্টে থাকা নাম নির্ভুলভাবে
  • ব্যাংকের ব্র্যাঞ্চের নাম
  • উক্ত ব্র্যাঞ্চের রাউটিং নাম্বার

লেনদেনের বিস্তারিত :

  • RTGS ট্রান্সফার করার তারিখ
  • RTGS ট্রান্সফারে কতো টাকা পাঠাবেন তা অঙ্কে
  • RTGS ট্রান্সফারে কতো টাকা পাঠাবেন তা কথায়

প্রেরকের বিস্তারিত:

  • প্রেরকের নাম
  • তার ঠিকানা
  • যোগাযোগের নাম্বার
  • টাকা পাঠানোর কারন
  • প্রেরকের ব্যাংক একাউন্ট নাম্বার
  • প্রেরকের ব্যাংক চেকের নাম্বার
  • চেকে উল্লেখিত তারিখ

এর পর সিগনেচার সহ ফর্ম টি ব্যাংকে সাবমিট করলেই আপনার ট্রান্সফার প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়ে যাবে।

RTGS transfer time : এই ব্যবস্থায় কয়েক মিনিটের মধ্যেই একটি বড় অংকের অর্থ কোনো প্রকার সমস্যা ছাড়াই নিরাপদ ভাবে একটি ভিন্ন ব্যাংকের একাউন্টে ট্রান্সফার হয়ে যাবে। তবে কখনো একটু সময় নিতে পারে, তবে তা ৩০ মিনিটের বেশি নয়।

ট্রান্সফার চার্জ ( RTGS transfer charge in Bangladesh ) : এই সেবা প্রদানে সর্বোচ্চ ১০০ টাকা পর্যন্ত ট্রান্সফার ফি নিতে পারে।

NPSB বিস্তারিত

National payment Switch Bangladesh: এটি একটি ইলেকট্রনিক অনলাইন প্লাটফর্ম, যার মাধ্যমে আন্ত ব্যাংকিং লেনদেন গুলো সম্পন্ন হয়। তবে এই সেবা সব ব্যাংকে চালু নেই।

ট্রান্সফার লিমিট : এই প্রক্রিয়ায়  সর্বোচ্চ ৫০,০০০ টাকা পাঠাতে পারবেন। এইভাবে দিনে আপনি সর্বোচ্চ ১০ টি ট্রান্জেকশন করতে পারবেন এবং এই ট্রান্জেকশনে সর্বোচ্চ ৩০০,০০০ টাকা পর্যন্ত ট্রান্সফার করা যাবে।

সময়: এ পদ্ধতিতে ইন্সটেন্ট টাকা ট্রান্সফার হয়ে যায়। অর্থাৎ কয়েক মিনটের মধ্যেিই আপনি টাকা ট্রান্সফার করতে পারবেন।

ট্রান্সফার চার্জ ( NPSB transfer charge ) : কোনো ব্যাংক চার্জ কেটে নেয় আবার কোনো ব্যাংক কাটে না। চার্জ ব্যাংক অনুযায়ি ভিন্ন হয়ে থাকে।

ট্রান্সফার সিষ্টেম ( NPSB fund transfer ): এখন প্রায় সব ব্যাংকই তাদের মোবাইল এপ চালু করেছে। তাদের এই এপ গুলোতে সাধারণত তারা NPSB সুবিধা দিয়ে থাকে। সুতরাং আপনার যদি এমন কোনো ব্যাংকে একাউন্ট থাকে, এপস ডাউনলোড করে NPSB সিসটেমটি খুজে নিন। এই অপশনটি সাধারণত ফান্ড ট্রান্সফার অংশে খুজে পাবেন।

বর্তমানে এটি ব্যবহার করে POS, ATM, Internet banking এর লেনদেন করছে। এর সবচেয়ে বড় সুবিধা হচ্ছে, বর্তমানে ৫৩ টির বেশি ব্যাংক এই NPSB এর আওতায় রয়েছে। তাদের যেকোনো একটির কার্ড দিয়ে তাদের অন্য যে কোনো ব্যাংকের ATM থেকে টাকা তুলতে পারবেন।

এই ছিলো আমাদের ফান্ড ট্রান্সফারের কিছু ব্যাংকিং প্রসিডিউর।

আশা করি, আপনাদের উপকারে আসবে আমার একাউন্ট টু একাউন্ট ফান্ড ট্রান্সফার আর্টিকেলটি।

পরিশেষে, ভালো থাকেন, সুস্থ থাকেন, শরিয়া ব্যাংকিং গ্রহন করেন। এই প্রত্যাশায়!

আরো জানুন:




কারেন্ট এবং সেভিংস একাউন্টের মধ্যে পার্থক্য

কারেন্ট এবং সেভিংস কি এবং পার্থক্য সমূহ:

ব্যাংক বা আর্থিক কোন প্রতিষ্ঠানে নতুন একাউন্ট ওপেন করার ক্ষেত্রে মূলত দুই ধরনের একাউন্টের নামই আমাদের সামনে আসে। সেভিংস একাউন্ট এবং কারেন্ট একাউন্ট। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই আমরা এই দুটি একাউন্ট সম্বর্কে এবং এগুলির কার্যকারিতা সম্পর্কে খুব বেশি কিছু জানি না।

যার ফলে, কোন একাউন্টে টাকা রাখলে একাউন্ট হোল্ডার বেশি লাভ পাবেন অথবা কোন একাউন্টের ক্ষেত্রে কি কি লাভ পাওয়া যাবে তা সম্পর্কে ওয়াকিবহাল নয়। ফলে একাউন্ট হোল্ডারগন নানাভাবে বিভিন্ন ক্ষেত্রে সমস্যার সম্মুখীন হন। তাই আজ এই পোস্টে সেভিংস একাউন্ট এবং কারেন্ট একাউন্ট সংক্রান্ত কিছু তথ্য নিয়ে হাজির হয়েছি।

সেভিংস একাউন্ট (Savings account):

যারা বিভিন্ন ক্ষেত্রে টাকা লেনদেনের পাশাপাশি তাদের এবং তাদের পরিবারের ভবিষ্যতের জন্য সঞ্চয়ের ক্ষেত্রে উদ্যোগী হয়ে থাকেন, তাদের জন্য সেভিংস একাউন্ট পারফেক্ট। এছাড়াও সেভিংস একাউন্টে টাকা রাখলে গ্রাহকদের ব্যাংক কর্তৃক যে সুদ প্রদান করা হয়, তা থেকে গ্রাহকরা যথেষ্ট পরিমান অর্থ উপার্জন করে নিতে পারেন।

যদি কোন ব্যাক্তি সুদের অর্থ গ্রহন করতে চান।

কারেন্ট একাউন্ট (Current account):

কারেন্ট একাউন্ট বড় অংকের অর্থ লেনদেনের জন্য ব্যবহৃত হয়ে থাকে। বিভিন্ন ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান বিভিন্ন ব্যবসায়িক ক্ষেত্রে যেসমস্ত লেনদেন করে থাকে, তা কারেন্ট একাউন্টের মাধ্যমেই করে থাকে।

কারেন্ট একাউন্ট এবং সেভিংস একাউন্টের মধ্যে পার্থক্য

    • বিভিন্ন ব্যাংকের অধীনে থাকা সেভিংস একাউন্টের সুদের হার (লভ্যাংশ) কারেন্ট একাউন্টের সুদের হারের তুলনায় যথেষ্ট বেশি হয়ে থাকে।
    • কারেন্ট একাউন্টের ক্ষেত্রে গ্রাহকরা সারা মাসে যতো খুশি লেনদেনের সুবিধা পেতে পারেন, কিন্তু সেভিংস একাউন্টের ক্ষেত্রে তা কখনোই প্রযোজ্য নয়। বিভিন্ন ব্যাংকের তরফে সেভিংস একাউন্টের লেনদেনের সীমারেখা নির্ধারণ করে দেওয়া হয়ে থাকে।
    • অধিকাংশ ক্ষেত্রে সেভিংস একাউন্ট সাধারণ মানুষের ব্যক্তিগত একাউন্ট হয়ে থাকে, অন্যদিকে, কারেন্ট একাউন্টগুলি যেকোনো ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান অথবা কোম্পানির তরফে খোলা হয়ে থাকে, যার মাধ্যমে যথেষ্ট পরিমাণ টাকার লেনদেন করা সম্ভব।
    • বিভিন্ন ব্যাংকের নিয়ম অনুসারে সেভিংস একাউন্টে নূন্যতম ব্যালেন্স রাখা অবশ্য প্রয়োজনীয়, তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে জিরো ব্যালেন্সের একাউন্টও করা হয়ে থাকে। এমনকী সেভিংস একাউন্টের ক্ষেত্রে নূন্যতম ব্যালেন্সের পরিমাণও যথেষ্ট কম হয়ে থাকে। তবে কারেন্ট একাউন্টের ক্ষেত্রে নূন্যতম ব্যাংক ব্যালেন্সের পরিমাণ যথেষ্ট বেশি হয়।
    • সেভিংস একাউন্টের ক্ষেত্রে বিভিন্ন ব্যাংক ভিন্ন ভিন্ন হারে সুদ বা লভ্যাংশ প্রদান করে থাকে। যেকোনো সেভিংস একাউন্টে ৪ শতাংশ থেকে শুরু করে ৬ শতাংশ পর্যন্ত সুদ পাওয়া যেতে পারে। তবে কারেন্ট একাউন্টের ক্ষেত্রে গ্রাহকদের কোনোভাবেই সুদ দেওয়া হয় না। যেহেতু কারেন্ট একাউন্টের ক্ষেত্রে গ্রাহকরা যথেষ্ট সুবিধা পেয়ে থাকেন তাই এই একাউন্টের অধীনে গ্রাহকদের কোনোরকম লভ্যাংশ বা সুদ দেওয়া হয় না।

আশা করি, কারেন্ট এবং সেভিংস একাউন্ট নিয়ে এখন আরো কারো কোনোরকম কনফিউশন থাকবেনা।

যদি আমার এ লিখা আপনাদের বিন্দুমাত্রও উপকার হয়, তবেই আমার কষ্ট সার্থক।

অন্য কোনো প্রয়োজনীয় কিছু নিয়ে আসা পর্যন্ত ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন- এই কামনায়-

আজকের মতো বিদায়।

আল্লাহ হাফেজ।

আল্লাহ্ ব্যবসাকে করেছেন হালাল, আর সূদকে করেছেন হারাম। সূদ থেকে দূরে থাকুন, শরিয়া সিষ্টেমের ব্যাংকিং সেবা গ্রহন করুন।

GoogleNews




বাংলাদেশী পাসপোর্ট: কোন রং কাদের জন্য

বাংলাদেশী পাসপোর্ট:
নিজ দেশ ছেড়ে আন্তর্জাতিক দেশ ভ্রমনের উদ্দেশ্যে জাতীয়তা পরিচয়ের জন্য নাগরিকগন যে ডকুমেন্টস বা চিঠি বা বই ব্যবহার করে থাকে, তাই পাসপোর্ট। বাংলাদেশ সরকার যে পাসপোর্ট প্রদান করে থাকে তাই হচ্ছে বাংলাদেশী পাসপোর্ট।
দেশের সরকার তার নাগরিকদের জন্য এই বই ইস্যু করে থাকে। একটি পাসপোর্ট দেশের নাগরিকত্বসহ একজন নাগরিকের পরিচয় বহন করে থাকে।
প্রতিটি দেশ আইনী প্রক্রিয়ার মাধ্যমে তার দেশের নাগরিকদের এই ডকুমেন্টস প্রদান করে থাকে। যাতে করে নাগরিকগন নিজ দেশ ছেড়ে অনায়াসেই অন্য দেশে চাকরি-বাকরি, ব্যবসা-বানিজ্য, শিক্ষা বা ভ্রমন সুবিধা অর্জন করতে পারে।

পাসপোর্টের ইতিহাস:
৪৫০ খ্রিষ্টাব্দে হিব্রু বাইবেলের নেহেমিয়া ২:৭-৯  গ্রন্থে সর্বপ্রথম পাসপোর্টর ধারনা পাওয়া যায়। king Artaxerxes 1 তার এক কর্ম চারীকে একটি চিঠি লিখে দেন নদীর অপর প্রান্তের অন্য এক রাজার রাজ্য পরিদর্শনের অনুমতি দিয়ে। এবং ঐরাজাকেও চিঠি দিয়ে অনুরোধ করেন, তার কর্মচারীর ভ্রমনে কোন অসুবিধা যেন না হয়, তার দেখ ভালের জন্য।

চানক্যের অর্থশাস্ত্রের ৩৪ অধ্যায়ে উল্লেখ আছে যে, গ্রাম প্রধান বা রাজার অনুমতি বিহীন কেউ গ্রামে রা রাজ্যে ঢুকতে পারতেন না। চিনের কিন রাজবংশ সহ ইউরোপে এমন নিয়মের প্রচলন ছিলো বলে জানা যায়।

বাংলাদেশে পাসপোর্টের ইতিহাস:
বাংলাদেশ স্বাধীনতা লাভের পর ১৯৭৩ সালে পূর্ণাঙ্গ রূপে ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তর প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৯৭১ সালে দেশ স্বাধীন হবার পরেও পাকিস্তানি পাসপোর্টের প্রচলন ছিলো কিছু দিন। ১৯৭৩ সালে মহামান্য রাষ্ট্রপতির মাধ্যমে আইন করে প্রথম পাসপোর্ট প্রনয়ন শুরু হয়। সেই থেকেই আজ অবধি চলমান আছে পাসপোর্ট প্রক্রিয়া।

পাসপোর্টের প্রকার:
বাংলাদেশে ৩ ধরনের পাসপোর্ট চলমান। লাল, নীল,  সবুজ । বিশ্বের বিভিন্ন দেশের পাসপোর্টের রং ভিন্ন ভিন্ন হয়। কিন্তু যে দেশ যে রং এর পাসপোর্টই দিক না কেন, সেটা অবশ্যই ইন্টারন্যাশনাল সিভিল এভিয়েশন অর্গানাইজেশন আইকাও এর কাছ থেকে পাসপোর্ট এর রং আর নকশার ছাড়পত্র নিতে হয়। তবে সাধারণভাবে পৃথিবীতে লাল, নীল, সবুজ ও কালো এই চারটি রং এর ভিন্ন ভিন্ন শেড এর হয়। বাংলাদেশে সাধারণভাবে সকল নাগরিকের জন্য সবুজ রং এর পাসপোর্ট চালু থাকলেও, আরো দুটি রং অর্থাৎ নীল এবং লাল রঙের পাসপোর্ট চালু রয়েছে।

বাংলাদেশী পাসপোর্ট: কোন রং কাদের জন্য

বাংলাদেশী পাসপোর্ট
বাংলাদেশী পাসপোর্ট

লাল পাসপোর্টের বর্ণনা:
বাংলাদেশের ৩ ধরনের পাসপোর্টের মধ্যে লাল পাসপোর্ট প্রথম সারির। এই  পাসপোর্ট এর কভার লাল হওয়ার কারনে একে লাল  পাসপোর্ট  বলা হয়। মূলত এ পাসপোর্ট কূটনৈতিক বা ডিপ্লোমেটিক ব্যক্তিবর্গরাই ব্যবহার করে থাকেন। দেশের রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রীবর্গ, মেম্বার অফ পার্লামেন্ট ও তাদের স্বামী, স্ত্রী ও সন্তানেরা এই পাসপোর্ট ব্যবহার করে থাকেন। এছাড়াও উচ্চ আদালতের বিচারপতি, মন্ত্রনালয়ের সচিবগন, পাবলিক বিস্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যগন, বিদেশে বাংলাদেশি মিশনের (এম্বাসী, হাই কমিশন বা কনন্সুলেটের) কর্মরত কর্মকর্তাগন, পাবলিক সার্ভিস কমিশনের প্রধানগন এই  পাসপোর্ট পেয়ে থাকেন। এই পাসপোর্টের টাইপ হচ্ছে : ডি (D). Diplomatic Passport

লাল পাসেপোর্টের সুবিধা :
এই  পাসপোর্ট ব্যবাহারকারিদের নিজ দেশ ছেড়ে অন্য দেশে যেতে কোন ভিসার প্রয়োজন হয়না। নৌপথ, স্থলপথ বা আকাশপথে যে দেশেই যেতে চান সেই দেশেরই অন-অ্যারাইভাল ভিসা পেয়ে থাকেন।

তবে ডিপ্লোম্যাটিক বা কূটনৈতিক পাসপোর্ট পৃথিবীর সব দেশেই লাল রং এর হয়ে থাকে।

নীল পাসপোর্টের বর্ণনা:
সরকারী কর্মকর্তাগন দেশের বাইরে সরকারী কাজে ভ্রমনে গেলে এই পাসপোর্ট ব্যবহার করে থাকেন। এই পাসপোর্টের কভার নীল রঙের হয় বলে একে নীল পাসপোর্ট বলা হয়। এই পাসপোর্টের টাইপ হচ্ছে : এস (S). Service. এই পাসপোর্ট গ্রহনের জন্য সরকারের অর্ডার গ্রহন করতে হয়। এই পাসপোর্ট দিয়ে ২৭টিরও বেশী দেশে বিনা ভিসায় ভ্রমন করা যায়। সরকারী কর্মকান্ড ব্যতিত এই পাসপোর্ট ব্যবহার করা যায না।

সবুজ পাসপোর্টের বর্ণনা:
বাংলাদেশের সাধারন মানুষের জন্য প্রচলিত পাসপোর্টই হচ্ছে সবুজ পাসপোর্ট। সবুজ রঙের মলাটের কারনে এর নাম সবুজ পাসপোর্টও বলা যায়। এই পাসপোর্টের টাইপ হচ্ছে : পি (p). Ordinary Passport.
সবুজ / সাধারন / অর্ডিনারী পাসপোর্ট দেশের সাধারন নাগরিকরাই পেয়ে থাকেন। জন্মসূত্রে বাংলাদেশের নাগরিক, কিংবা বৈবাহিক সূত্রে বা বাংলাদেশের নাগরিকত্ব গ্রহন করেছেন এমন বাংলাদেশী নাগরিকদের সবুজ পাসপোর্ট বা অর্ডিনারী বা সাধারন পাসপোর্ট প্রদান করা হয়।

ইসরাইল ব্যতিত প্রথিবীর সকল রাষ্ট্রেই এই পাসপোর্ট বৈধ। সাধারন নাগরিক দেশ ছেড়ে চাকরী, ব্যবসা বা পড়াশুনার জন্য যারাই বিদেশে যেতে চান, তারাই এ পাসপোর্ট ব্যবহার করে থাকেন। শুধুমাত্র যে দেশে যেতে ইচ্ছুক সে দেশের ভিসা নেয়ার প্রয়োজন হয়।

বাংলাদেশের সাধারণ পাসপোর্ট সবুজ কেন?
বাংলাদেশের সাধারণ পাসপোর্টের রং সবুজ হবার বেশ কয়েকটি কারন জানা যায়। যা আসলে কোনটাই সঠিক নয়।
একটি প্রচলিত ধারণা যে, অধিকাংশ মুসলিম দেশের পাসপোর্টের রং সবুজ, তাই মুসলিম অধ্যুষিত দেশ হিসেবে বাংলাদেশের পাসপোর্টের রংও সবুজ।

আরেকটি ধারণা যে, বাংলাদেশের পতাকার রং এর সঙ্গে মিলিয়ে আইকাও এর তালিকা থেকে সবুজ রং বেছে দিয়েছে। তবে, ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা বলছেন, এই রং এর মাধ্যমে পাসপোর্টের সক্ষমতা বোঝায় না।

পাসপোর্টের আকার:
আইকাও এর নিয়ম অনুসারে পৃথিবীর সব দেশের পাসপোর্টের সাইজ একই হয়। আইকাও নির্দেশনা অনুযায়ী এর মাপ নির্ধারণের কয়েকটি কারণও রয়েছে। যেমন: আন্তর্জাতিক ভ্রমণের ক্ষেত্রে আলাদা মাপের পাসপোর্ট নিরীক্ষা করার জন্য এয়াপোর্টে ভিন্ন আকৃতির মেশিন প্রয়োজন হবে, যা স্থাপন করা জটিল এবং সেটি নিয়ন্ত্রণ করাও ব্যয় সাপেক্ষ ও দুরূহ। যে কারণে এই ব্যবস্থা।

বাংলাদেশের প্রথম থেকে আজ পর্যন্ত সরকার যে ধরনের পাসপোর্টসমূহ প্রদান করেছেন :

হাতে লিখা পাসপোর্ট:
08/02/1973 সালে প্রথম হাতে লিখা পাসপোর্ট চালু হয়। তখন অন্যান্য দেশেও এই হাতে লিখা পাসপোর্টর প্রচলন ছিলো। তখনকার আন্তর্জাতিক আইনানুসারে হাতে লিখা এই পাসপোর্ট বৈধ ছিলো।

এম আরপি পাসপোর্ট : Machine readable Passport / MRP পাসপোর্ট:
কিন্তু ২০১০ সালে ইন্টারন্যাশনাল সিভিল এভিয়েশন অর্গানাইজেশন আইকাও এর নির্দেশনা অনুযায়ী 1/04/2010 তারিখে বাংলাদেশে মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট চালু হয়। তবে 2015 পর্যন্ত হাতে লিখা পাসপোর্টের ব্যবহার ছিলো।
মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট হলো যন্ত্রে পাঠযোগ্য পাসপোর্ট। এবং পাসপোর্টের সকল তথাদি প্রিন্টারের মাধ্যেমে প্রিন্ট করা। পাসপোর্ট অফিস আবেদনকারীর ছবি তুলে এবং ২ হাতের ৪ আঙুলের ছাড় নেওয়া হয়।
এই  মুহুর্তে এমআরপি চালু থাকলেও যে কেউ ই-পাসপোর্ট বা বায়োমেট্রিক করতে পারছেন সহজেই।

ই-পাসপোর্ট বা বায়েমেট্রিক:
মাইক্রোপ্রসেসর চিপযুক্ত বিশেষ পাসপোর্ট। যেখান একজন ব্যক্তির সকল ডকুমেন্টস্হ মুখের ছবি, আঙুলের ছাপ, চোখের রেটিনা বা আইরিশ স্ক্যান ৩২ কিলোবাইটের মেমোরিতে সংরক্ষিত থাকে। যা নকল করা খুবই ব্যয়বহুল এবং কষ্টসাধ্য ব্যাপার। অদ্যবধি কারো পাসপোর্ট নকল হয়েছে এ ধরনের কোন তথ্য মিডিয়াতে প্রচার হয়েচ বলে মনে হয় না।
বাংলাদেশে ই-পাসপোর্ট চালু হয় ২২/01/ ২০২২০ এ। দক্ষিন এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশেই সর্বপ্রথম এই ই-পাসপোর্ট চালু করে। ই-পাসপোট চালুর দিকে সারা বিশ্বে বাংলাদেশের স্থান ১১৯ তম।

আরো জানুন:




নীল পাসপোর্ট কি এবং তা কারা পেয়ে থাকেন

নীল পাসপোর্ট: নীল পাসপোর্ট হচ্ছে অফিসিয়াল পাসপোর্ট। সরকারি কাজে কোন সরকারি কর্মকর্তা বা কর্মচারী দেশের বাইরে ভ্রমণ করতে এই নীল পাসপোর্ট ব্যবহার করে থাকেন। এই পাসপোর্ট পেতে সংশ্লিষ্ট সরকারি মন্ত্রনালয়ের অনুমোদন বা Government Order (জিও) প্রয়োজন হয়।

বাংলাদেশ সরকার তিন ধরনের পাসপোর্ট ইস্যু করে থাকে। যেমন:

  1. সবুজ পাসপোর্ট বা সাধারণ পাসপোর্ট, সাধারনভাবে যে পাসপোর্ট সকল বাংলাদেশী নাগরিক ব্যবহার করে থাকেন।
  2. নীল পাসপোর্ট বা অফিসিয়াল পাসপোর্ট, সরকারি কাজে সরকারী কর্মকর্তা, কর্মচারী দেশের বাইরে ভ্রমণ করতে এ পাসপোর্ট ব্যবহার করে থাকেন আর
  3. লাল পাসপোর্ট বা কূটনৈতিক পাসপোর্ট, দেশের মন্ত্রী, এমপি, কূটনৈতিক ব্যাক্তিত্ব, কিছু ভিআইপি ব্যবসায়ী এ পাসপোর্ট ব্যবহার করে থাকেন।

আজকের আলোচনা নীল পাসপোর্ট নিয়ে

নীল পাসপোর্ট বা অফিসিয়াল পাসপোর্ট কি ?

বাংলাদেশে নীল পাসপোর্ট হল অফিসিয়াল পাসপোর্ট। নীল পাসপোর্ট সরকারি কাজে কোন কর্মকর্তা বা কর্মচারী দেশের বাইরে ভ্রমণ করতে হলে ব্যবহার করা হয়। এই পাসপোর্ট করার জন্য সংশ্লিষ্ট সরকারি মন্ত্রনালয়ের অনুমোদন বা Government Order (জিও) প্রয়োজন হয়।

এ পাসপোর্ট যারা পায়?

সরকারি চাকরিতে কর্মরত ব্যক্তি যারা সরকারি কোন দ্বায়িত্ব পালনে বিদেশ যাবেন তারাই এই পাসপোর্ট পেয়ে থাকেন। এই পাসপোর্ট পেতে অবশ্যই বিদেশ যাওয়ার জন্য সরকারি আদেশ পেতে হয়।

এই পাসপোর্টের জন্য আবেদন করতে হলে নিম্নলিখিত শর্ত পূরণ করতে হয়:

  • আবেদনকারীকে অবশ্যই বাংলাদেশের নাগরিক হতে হবে
  • সরকারি চাকরিতে কর্মরত থাকতে হবে
  • সরকারি কর্মকান্ডে বিদেশ ভ্রমণের জন্য অনুমোদন পত্র পেতে হবে।

সরকারি কাজ ছাড়া কোন চাকরীজীবী যদি বিদেশ গমন করেন, তখন তারা নীল পাসপোর্ট ব্যবহার করতে পারবেন না।

এ পাসপোর্টের সুবিধাগুলো হলো:

  • বিনামুল্যে পাসপোর্ট, এ পাসপোর্ট পেতে আবেদনকারীকে কোন প্রকার খরচাদি করতে হয় না। যেহেতু সরকারি কর্মসাধনে বিদেশ যাওয়ার জন্য আদেশ করা হয়েছে, সেক্ষেত্রে পাসপোর্ট আবেদন কারীকে এই ফি দিতে হয় না।
  • বিনা ভিসায় ভ্রমণ সুবিধা, বিশ্বের ২৭টি দেশে কোন ভিসা ছাড়াই ভ্রমন করার সুবিধা পেয়ে থাকেন। এর মধ্যে রয়েছে ইন্দোনেশিয়া, ভারত, মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর, শ্রীলঙ্কা, থাইল্যান্ড, ভুটান, নেপাল, পাকিস্তান, এবং আরও অনেক দেশ। সম্প্রতি এই তালিকায় নতুন করে যুক্ত হয়েছে কাজাকস্থান।
  • ভিসা পাওয়ার ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার, ভিসা প্রাপ্তির ক্ষেত্রে এরা অগ্রাদিকার পেয়ে থাকেন। ভিসা পেতে এদের কষ্ট ও সময় কম লাগে। অফিশিয়াল নোট ভার্বাল জমা করলেই এরা ভিসা পেয়ে থাকেন।
  • বহির্বিশ্বে অবস্থানকালে সেই দেশের সরকারি সহায়তাসহ বাংলাদেশের  সরকারি সহযোগিতা বা এ্যাম্বসী, হাই কমিশন, কনস্যুলেট থেকে বিশেষ সুযোগ সুবিধা প্রাপ্তি। কোন সমস্যায় পতিত হলে সেই দেশের সরকার এবং বাংলাদেশ সরকারের সর্বাত্মক সহযোগিতা পেয়ে থাকেন।

যেভাবে আবেদন করতে হয়:

অফিশিয়াল এই পাসপোর্টের আবেদন করতে হলে বাংলাদেশ ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরের ওয়েবসাইট www.epassport.gov.bd ভিজিট করে অনলাইনে আবেদন করতে হবে। আবেদনপত্র পূরণের পর পাসপোর্ট অফিসে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দিয়ে ও বায়োমেট্রিক তথ্য দিয়ে আবেদন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে।

অফিসিয়াল পাসপোর্ট সরকারি দ্বায়িত্ব পালনে বিদেশে যাওয়া সরকারি কর্মকর্তাদের জন্য তাদের পেশাগত অনেক সুবিধা প্রদান করে। এটি তাদের বিদেশ ভ্রমণকে সহজ এবং আরও কার্যকর করে তোলে।




জয়েন্ট বা যৌথ একাউন্ট খোলার বিস্তারিত

জয়েন্ট বা যৌথ একাউন্ট : প্রয়োজনের তাগিদে অনেক সময় আমরা একের অধিক সদস্যদের নিয়ে যে একাউন্ট খুলে থাকি, তাই হচ্ছে জয়েন্ট বা যৌথ একাউন্ট। হতে পারে স্বামী-স্ত্রীর সমন্বয়ে, ভাই-বোনের সমন্বয়ে কখনো বা নাবালগ সন্তানের একাউন্ট খোলার জন্য বাবা বা মায়ের সমন্বয়ে বা আইনগত অবিভাবকের সমন্বয়ে , আবার কখনো ব্যবসা পরিচালনার ক্ষেত্রে অংশীদের সমন্বয়ে।

জয়েন্ট বা যৌথ একাউন্ট মৃলত: একের অধিক সদস্যদের স্বাক্ষরেই ব্যাকিং লেনদেন হয়ে থাক। যদি দুয়ের সমন্বয়ে হয়ে থাকে তাহলে একজন সদস্য কোনভাবেই লেনদেন পরিচালনা করতে পারবেনা। উভয়ের স্বাক্ষরেই প্রয়োজন পড়বে চেক বা ব্যাংকরে জন্য যে কোন ডকুমেন্টস্ তৈরীতে।

যেসব ক্ষেত্রে জয়েন্ট একাউন্ট প্রয়োজন:

– ব্যবসা পরিচালনা
– শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পরিচালনার ক্ষেত্রে ম্যানিজিং কমিটির জয়েন্ট একাউন্ট প্রয়োজন পড়ে,
– মসজিদ, মাদ্রাসা বা দাতব্য সংস্থা পরিচালনায়
– যে কোন সামাজিক সংগঠনের লেনদেন প্রক্রিয়া করনেও জয়েন্ট একাউন্টের প্রয়োজন হয়।

যৌথ অংশীদারী ব্যবসার ক্ষেত্রে কিভাবে জয়েন্ট একাউন্ট ওপেন করতে হয় তা-ই বিস্তারিত তুলে ধরা হলো : আমরা একের অধিক সদস্যদের সমন্বয়ে ব্যবসা পরিচালনা করে থাকি। বা একের অধিক সদস্যদের নিয়ে ব্যবসা করার মনস্থির করে থাকি। সেক্ষেত্রে সকলে কিছু শর্তাবলীর সমন্বয়ে একটি চুক্তিনামা সম্পাদন করতে হয়। যেখানে ব্যবসাটি কিভাবে পরিচালিত হবে, মূলধন কিভাবে সমন্বয় হবে, লভ্যাংশ কিভাবে বাটোয়ারা হবে, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান কিভাবে পরিচালিত হবে, ব্যাংক ট্রানজেকশন কিভাবে হবে সব কিছুই উল্লেখ করে তবেই ব্যবসা শুরু করতে হয়। আর যে বহিতে এইসব চুক্তিপত্র লিপিবদ্ধ করা হয় তাকে বলা হয় “রেজুলেশন”। ব্যবসা পরিচালনার ক্ষেত্রে এই রেজুলেশন অত্যধিক কার্যকর। রেজুলেশন ছাড়াকোন ধরনের অংশীদারী ব্যবসা পরিচালনা করা সম্ভব নয়।

এ ধরনের কার্যক্রম একজন উকিলের মাধ্যমেই হয়ে থাক। কিংবা কখনো তৃতীয় পক্ষ হিসেবে একজন ব্যবসায়িক ভাবে পটু ব্যক্তি উক্ত কাজগুলো সমাধান করে থাকেন। যাই হোক, ব্যবসা শুরুর অন্যতম আরেকটি বিষয় হচ্ছে, ব্যাংকে অংশীদারদের নিয়ে একটি যৌথ একাউন্ট খোলা। উক্ত একাউন্টের অংশীগনই ব্যাংক হিসেবের মালিক। সকলের সমর্থনে নির্ধারিত অংশীগনই উক্ত একাউন্ট তাদের স্বাক্ষরে অর্থ লেদনেদন করতে পারেন।

যেভাবে খুলতে হয় জয়েন্ট বা যৌথ একাউন্ট : যেকোন সরকারী ও বেসরকারি ব্যাংকে প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস্, (যা ব্যাংকের রিকোয়ারমেন্ট অনুযায়ী হয়ে থাকে) প্রথমেই তা সংগ্রহ করতে হবে। সেসব ডকুমেন্টস্ নিয়ে ব্যাংক থেকে একটি একাউন্ট ওপেনিং ফরম কালেক্ট করতে হবে। যথানিয়মে ব্যাংকের আবেদন পত্র বা ফরমটি পূরণ করে সকল আবেদনকারীর স্বাক্ষর সহ ব্যাংক কর্তৃপক্ষের কাছে জমা প্রদান করে নিচের ডকুমেন্টস্ সমূহসহ জমা প্রদান করার কয়েক কার্যদিবসের মধ্যেই যৌথ ব্যাংক একাউন্ট ওপেন হয়ে যায়।

ওপেনিং ফরম পূরনে কোন রকম কনফিউশন হলে ব্যাংকের কর্মকর্তাদের সহায়তা নেয়া যেতে পারে। প্রতিটি ব্যাংকেই এখন একাউন্ট ওপেন করার জন্য একটি বিশেষ সেল কাজ করে থাকে। তাদের কাজই হচ্ছে একাউন্ট ওপেন, কার্ড রিলেটেড সকল ধরনের সহায়তা প্রদান করা।

প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস :

– আবেদনকারীদের অফিস বা ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ভাড়া বা নিজস্ব হলে তা প্রমানে চুক্তিপত্র
– ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ট্রেড লাইসেন্স
– আবেদনকারীদের তথ্য পুরানসহ স্বাক্ষরিত আবেদন পত্র ব্যাংকে জমাদান।
– ব্যাংক কর্তৃক প্রধানকৃত TP (Transaction Profile) ও KYC (Know Your Customer) ফরম পূরণ।(টিপি হচ্ছে আপনাদের ব্যাংকিং কিরকম পরিমান অর্থ লেনদেন হবে সে বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য প্রদান।

– একাউন্ট পরিচালনা বা লেনদেন করার দায়িত্বে কে কে থাকবে তা নিশ্চিত করন।
– আবেদনকারীদের এনআইড বা  জাতীয় পরিচয়পত্র/ ড্রাইভিং লাইসেন্স/ পাসপোর্টের কপি।
– আবেদনকারীদের (ছবির পিছনের সত্যায়িতসহ) পাসপোর্ট সাইজের ছবি।
– সংশ্লিষ্ট ব্যাংকে যে কোন চলতি (Current) বা সঞ্চয়ী (Savings) একাউন্ট ধারীর রেফারেন্স।
–  নমিনি হিসেবে যাকে নিযুক্ত করা হবে তার তথ্য ও পাসপোর্ট সাইজের ছবি।
– ঠিকানার প্রমাণ হিসেবে ইউটিলিটি (গ্যাস, পানি, ইলেকট্রিক)বিলের কপি।
– TIN (Tax Identification Number) সার্টিফিকেটের কপি।
– ব্যবসা পরিচালনার রেজুলেশন (রেজুলেশন হচ্ছে প্রতিষ্ঠানের নামে ব্যাংক একাউন্ট খোলা ও পরিচালনার বিষয়ে প্রতিষ্ঠানের পরিচালনা পর্ষদ বা ম্যানেজিং কমিটির একটি সিদ্ধান্ত। সিদ্ধান্তটি প্রতিষ্ঠানের রেজুলেশন বহিতে লিখিত ও উপস্থিত সকলের স্বাক্ষরিত হয়ে থাকে। )
– প্রাথমিকভাবে একাউন্ট ওপেনিং ফি জমাদান।

অতঃপর আবেদন ফরমে সম্পূর্ণ তথ্য পূরন ও প্রতিষ্ঠানভেদে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ব্যাংক কর্মকর্তার কাছে জমা প্রদান করতে হবে। সব ঠিক ঠাক মতো হয়ে গেলে কয়েক দিনের মধ্যেই একাউন্টটি এ্যাক্টিভ হয়ে যাব। এবং ব্যাংক চেক বই প্রদান করবে।

জয়েন্ট বা যৌথ একাউন্ট খোলার সুবিধা :

– একাউন্টে অংশগ্রহণকারী সকলেরই তহবিলের সমান অধিকার।
– একজনের অনুমতি ছাড়া অন্য কেউ অর্থ উত্তোলন করতে পারে না তাই অর্থ শতভাগ নিরাপদ।
– বিভিন্ন ব্যাংক থেকে একাউন্টের মালিকদের (প্রয়োজনে) প্রত্যেককে পৃথক পৃথক ডেবিট কার্ড ও চেক বই প্রদান করা হয়।
– ব্যবসায় অংশীদারি সম্পর্ক টিকিয়ে রাখতেও যৌথ ব্যাংক একাউন্ট কার্যকরী।
– বড় কোন আর্থিক সহায়তার প্রয়োজনে ব্যাংক থেকে সহজেই ঋণ নেওয়া যায়।
– একজন অংশী একাউন্ট টি পরিচালনা করতে না পারলেও অন্যজন তো পরিচালনা করতে পারে।

জয়েন্ট বা যৌথ একাউন্ট খোলার অসুবিধা:

– অংশীদারদের মতামত ভিন্ন হয়ে বিড়ম্বনার সৃষ্টি হতে পারে।
– একের অধিক সিগনেটরী হলে একের অনুমতি ব্যতিত অন্যজন অর্থ উত্তোলন করতে পারে না।
– উভয় সিএনটরী মিলে (দু’জন) যদি সমস্ত অর্থ বা ফান্ড ব্যবহার করে ফেললেও অন্যদের কিছু করার থাকে না।
– একজনের অপরাধমূলক কর্মকান্ডে একাউন্টটি বাজেয়াপ্ত হলে অন্যদের আর্থিক সমস্যায় পড়তে হয়।
– একজন পার্টনারের আর্থিক অবস্থা খারাপ হলে সকলের উপর এর প্রভাব পড়ে।
– উভয়ের মতামত বা স্বাক্ষর ব্যতিত একাউন্ট বন্ধ করা সম্ভবপর হয়না।

সতর্কতা :

একাউন্ট খোলার জন্য সকল অংশীদারদের একে অন্যের মতামত, আর্থিক অবস্থান, চারিত্রিক গুণাবলী সম্পর্কে ধারণা রাখা উচিত। একাউন্ট ওপেনের পূর্বেই সকলের মতামত অনুযায়ী চুক্তিপত্র স্বাক্ষরিত হওয়া উচিত। একাউন্ট পরিচালনা ও একাউন্ট বন্ধের ব্যাপারেও সকলকে অবশ্যই পূর্ব ধারনা রাখতে হবে।

অন্যান্য প্রয়োজনে জয়েন্ট বা  যৌথ একাউন্ট:

সন্তানের জয়েন্ট বা যৌথ একাউন্ট: কখনো বা নাবালক সন্তানের ব্যাংক একাউন্ট খুলতে পিতা-মাতা বা আইনগত অবিভাবকের সাথে যৌথ ব্যাংক একাউন্ট খুলতে হয়। সেক্ষেত্রে সন্তানের বার্থ সার্টিফিকেট,  পিতা বা মাতার এন আই ডি / জাতীয় পরিচয় পত্রের অনুলিপি একাউন্ট ওপেন ফরমের সাথে জমা দিতে হয়।

স্বামী-স্ত্রীর সমন্বয়ে হলে: যদি কখনো স্বামী বা স্ত্রীর সমন্বয়ে যৌথ একাউন্ট খোলার প্রয়োজন পড়ে, সেক্ষেত্রে উভয়ের এন আই ডি / জাতীয় পরিচয় পত্র, মেরেজ সার্টিফিকেটের অনুলিপি একাউন্ট ওপেন ফরমের সাথে সাবমিট করতে হয়।

শেষকথা

জয়েন্ট বা যৌথ ব্যাংক একাউন্ট খোলার নিয়ম সম্পর্কে উপরের আলোচনায় যদি কারো বিন্দুমাত্রও উপকার হয়, তবেই আমার কষ্ট সার্থক। ব্যাংকিং ও অন্যান্য অনলাইন পরিষেবা পেতে ভিজিট করুন আমার ওয়েবসাইট, ধন্যবাদ।

ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন।

আল্লহ্ ব্যবসাকে করেছেন হালাল, আর সুদকে করেছেন হারাম

ব্যবসা করুন হালালভাবে। আল্লাহই আপনার ব্যবসায় বরকত ও উন্নতি দিবেন- সেই প্রার্থনায়,

আল্লাহ হাফেজ!

চেক প্রদানে কিছু সাবধানতা অবলম্বন করুন

Fund Transfer Request Letter Generator | English Format

আরো পড়ুন:




চেক প্রদানে কিছু সাবধানতা অবলম্বন করুন

চেক প্রদানে কিছু সাবধানতা অবলম্বন করুন : Cheque Book/ চেক বই হল, ছোট এক ধরনের বই বা একটি নথি। যা একমাত্র ব্যাংক বা অর্থ প্রদানকারি প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রেই ব্যবহৃত হয়ে থাকে। একটি ব্যাংক বা অর্থপ্রদানকারী প্রতিষ্ঠান তার বেনিফিসিয়ারি বা একাউন্ট হোল্ডারের ব্যাংকে জমাকৃত অর্থ লেনদেনের নির্দেশ দেয় । একাউন্টধারী ব্যাংক থেকে নগদ বা অন্যকে অর্থপ্রদানে এই বই ব্যবহার করতে পারে।

যেহেতু এই বই দিয়ে সকল প্রকার ব্যাকিং লেনদেন করা হয়। তাই এই চেক প্রদানে কিছু সাবধানতা অবলম্বন করা খুবই জরুরী। তাই আসুন জানি চেক বইয়ের খুটিনাটি:

চেক বই কি : Cheque Book/ চেক বই হল, ছোট এক ধরনের বই বা কয়েকটি পাতার এক সংকলন। যা দিয়ে একজন ব্যাংক একাউন্টধারী সহজেই ব্যাংকে সঞ্চিত তার অর্থ লেনদেন করতে পারে। এটি ব্যাংকিং লেনদেনের একটি সিষ্টেম।

কিভাবে চেক বই সংগ্রহ করতে হয় : ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানে একাউন্ট ওপেন করার কিছুদিনের মধ্যেই উক্ত ব্যাংক একাউন্ট হোল্ডারের নামে একটি নতুন চেক বই প্রদান করে থাকে।

চেক বইটি বা চেক বইয়ের ভেতরের রিকোজিশন স্লিপটি হারিয়ে ফেলেছেন, সেক্ষেত্রে সহজেই নিচের ফরমটি পুরন করে একটি রিকোজিশন লেটার তৈরি করে ফেলুন। যা ১০০% নিরাপদ।

পারসোনাল একাউন্টের জন্য  :

Make Letter

বিজনেস একাউন্টের জন্য :

Make Letter

একটি চেক বইয়ে পাতার সংখ্যা : একটি চেক বই কিছু চেক পাতার সংগ্রহ। এতে 10 বা 20 বা এমনকি 50টি চেক থাকতে পারে। এগুলি পছন্দসই ব্যাংক থেকে নগদ অর্থ উত্তোলন বা অন্যকে অর্থ প্রদানে ব্যবহার করতে সহায়তা করে থাকে। এই চেকের পাতা ব্যতিত একজন একাউন্টধারী নিজেও উক্ত একাউন্ট থেকে জমাকৃত অর্থ উত্তোলন করতে পারে না।

চেক লিখবেন যেভাবে : সকল ব্যাংকের চেক এক ধরনেরই হয়ে থাকে।চেকের পাতায় প্রথমেই তারিখ। এরপর যাকে চেকটি প্রদান করা হচ্ছে তার নাম বা কোম্পানীর নাম। অর্থের পরিমান : অংকে এবং কথায় পূরন করতে হয়। উক্ত চেকটি আমরা (বাংলাদেশী) বাংলা বা ইংরেজী যেকোন ভাষায়ই লিখতে পারি। তবে চেকের প্রতিটি ঘর কোনোরকম ঘষা মাজা বা কাটা মুছা বাদেই পূরন করতে হয়। এখানে একটি বিষয় জেনে রাখা ভালো যে, যখন আমরা ইংরেজীতে চেক লিখি, তখন (লক্ষ) লাখ লিখা নিয়ে আমদের মধ্যে একটি কনফিউশন তৈরী হয়। কখনো আমরা ‘Lac’ আবার কেউ ‘Lakh’ এভাবেও লিখে থাকি।

জানার বিষয় কোনটি সঠিক : এ বিষয়ে সেন্ট্রাল ব্যাংকের একটি নির্দেশিকা আছে। যেখানে বলা হয়েছে লক্ষ টাকা লেখার সময় ইংরেজিতে ‘Lakh’ কথাটি লিখতে হবে। ব্যাংকিং পরিভাষায় ‘Lakh’ বানানটি সঠিক। এই বানানটি ব্যবহার করা উচিত।

যেভাবে নতুন চেক বই সংগ্রহ করবেন : এই Cheque Book বা চেক বই এর পাতাগুলো শেষ হয়ে গেলে নতুন বই বা পাতার জন্য ব্যাংক বরাবর আবেদন করতে হয়। আবেদনের জন্য পুরাতন বইয়ের ভেতর একটি রিকোজিশন ফরম দেয়া থাকে, যেটি পূরন করে দিলেই নতুন চেক বইয়ের আবেদন করা হয়ে যায়।

কখনো বা এই রিকোজিশন পাতাটি নষ্ট বা হারিয়ে গেলে একাউন্ট হোল্ডারকে ব্যাংক বরাবর লিখিত আবেদন পত্র পাঠাতে হয়। আর তাই হচ্ছে চেক বই রিকোয়েষ্ট লেটার। অতঃপর এই চিঠি সাবমিটের কিছু দিনের মধ্যেই উক্ত ব্যাংক একাউন্ট হোল্ডার বা আবেদনকারী নামে বা তার একাউন্ট নাম্বারের নতুন আরেকটি বই তৈরী করে দেয়।

যেভাবে নতুন চেক বইয়ের জন্য চিঠি লিখতে হয় : নতুন চেক বই ইস্যু করার অনুরোধ পত্র ব্যাঙ্কের স্থানীয় প্রধানকে সম্বোধন করে নিচের তথ্যাদি উল্লেখ করে অনুরোধ পত্র লিখতে হয়। যেমন :
• একাউন্ট হোল্ডারের নাম
• ব্যাংক একাউন্টের নাম্বার
• ব্যাঙ্ক/শাখার নাম
• এবং চেক বইয়ের প্রয়োজনীয়তা উল্লেখ পূর্বক অল্প বর্ননার একটি চিঠি
• চিঠির শেষে সাইন এবং প্রয়োজনে অফিশিয়াল সীল প্রদান করতে হয়।

চেক বই বা পাতা হারিয়ে গেলে করনীয় : নিকটস্থ থানা বা পুলিশ ষ্টেশনে একটি জিডি বা সাধারন ডায়েরী করার পাশাপাশি নির্দিষ্ট ব্যাংক অর্থাৎ যে শাখা থেকে আপনার একাউন্ট ওপেন করা হয়েছিলো সেখানে লিখিত নোটিশ করতে হয়। আর যে শাখায় আপনার একাউন্ট ওপেন করা হয়েছিলো সে ব্রাঞ্চকে মাদার ব্রাঞ্চ বলা হয়।

চেক প্রদানে কিছু সাবধানতা

টাকার লেনদেনের জন্য যে জিনিসটি সব থেকে বেশি বিশ্বাসযোগ্য এবং নিরাপদ বলে মনে করা হয়, সেটি হল চেক। যতই নিরাপদ হোক, চেক সই করে কাউকে দেওয়ার সময়ে কিছু সাবধানতা অবলম্বন করা উচিত। না হলে সেই চেক বাতিল পর্যন্ত হয়ে যেতে পারে।

– যাকে বা যে প্রতিষ্টানকে অর্থ প্রদান করা হবে Pay to ঘরে তার নাম বা কোম্পানীর নাম লিখতে হয়। কিন্তু সেই নাম লেখার সময়েও খুব সাবধানতা বজায় রাখা উচিত। ধরুন অমিত রায় নামক কারোর নাম লিখলেন। নাম ও পদবীর মধ্যে বুঝে (অল্প পরিমান) ফাঁকা জায়গা রাখুন। না হলে অমিতকে অমিতা বানিয়ে ফেলতে খুব একটা সমস্যা হবে না। এই ধরনের জালিয়াতি থেকে বাঁচতে, যাকে টাকা দিচ্ছেন তার নামের পাশে তার অ্যাকাউন্ট নম্বরটিও যুক্ত করেও দিতে পারেন।

– যাকে টাকা দেবেন তার নাম লেখা হলে, তার নামের পাশে একটি লাইন টেনে দিন।

– Pay to ঘরে ‘বেয়ারার’ বা ক্যাশ Cash লিখে কাউকে দিলে তা যে কেউই উত্তোলন করতে পারবে। এক্ষেত্রে অবশ্যই সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে।

– চেকের উপরে AC Payee এসি-পেয়ি লিখে দিলে যাকে চেক দিচ্ছেন, শুধু তার অ্যাকাউন্ট থেকেই ওই চেক ভাঙানো যাবে বা অর্থ উত্তোলন সম্ভব হবে।

– চেক-এর এমাঊন্ট বসানোর পরে অবশ্যই ‘/-‘ বা /= এই চিহ্ন দিয়ে দিন। তাতে কোনও ভাবেই অতিরিক্ত কোনও সংখ্যা বসিয়ে কেউ জালিয়াতি করতে পারবে না। খেয়াল রাখবেন প্রতিটি সংখ্যার মধ্যে যেন কোনও ফাঁকা জায়গা না থাকে।

– ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খোলার সময়ে যে স্বাক্ষর করছেন, সেই স্বাক্ষরটিই চেকের স্বাক্ষর ঘরে করবেন। যদি কোন কোম্পানির হয়ে টাকা দেন, বা কারেন্ট একাউন্ট (ব্যবসার জন্য ব্যবহৃত একাউন্ট কে কারেন্ট একাউন্ট আর নিজস্ব নামে যে একাউন্ট করা হয় তাকে সেভিংস একাউন্ট বলা হয়) থেকে কাউকে চেক দেন তাহলে কোম্পানির সিল দিয়ে দিন।

– চেক লিখনে কোনো প্রকার ভুল হলে সেই ভুল লেখার উপরে বা নিচে স্বাক্ষর করে দিন।

– অনেক সময়েই অনেক চেক বাতিল হয়ে যায়। বাতিল চেকটি ছিঁড়ে ফেলুন। আর না হলে চেকটিতে ‘ক্যানসেলড’ লিখে দিন।

পুরনকৃত সেভিংস একাউন্টের একটি নমূনা চেক :
1. ব্যায়ারার জন্য


2. কোম্পানির জন্য


3. নিজের জন্য

পুরনকৃত কারেন্ট বা বিজনেস একাউন্টের একটি নমূনা চেক :
1. ব্যায়ারার জন্য


2. কোম্পানির জন্য


3. নিজের জন্য

চেক ডিজঅনার কি?

একাউন্টধারীর একাউন্টে চেকে উল্লেখিত যথেষ্ট পরিমান অর্থ না থাকলে, ব্যাংক কর্তৃপক্ষ চেকটি গ্রাহককে ফেরত দিয়ে থাকেন, তাই হচ্ছে চেক ডিজঅনার।

একাউন্ট হোল্ডারের জন্য চেক ডিজনার হওয়া ব্যাংকিং সিষ্টেমে একটি শাস্তিযোগ্য অপরাধ। সেক্ষেত্রে একাউন্টধারীকে উক্ত বিষয়ে ব্যাংক ম্যানেজার বরাবর লিখিত বা মৌখিক অবহিত করা বা গ্রাহককেও অবহিত করা এবং উক্ত চেকে উল্লেখিত পরিমার অর্থ ব্যাংকে ডিপোজিট করে গ্রাহককে পুনরায় চেক সাবমিট করার জন্য অনুরোধ করা যেতে পারে।

ব্যাংক যদি চেকের গায়ে ডিজঅনার সিল দিয়ে দেয় সেক্ষেত্রে উক্ত গ্রাহক এই চেক দিয়ে একাউন্টধারীর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করতে পারে। তাই কোনো গ্রাহককে চেক প্রদানের ক্ষেত্রে অবশ্যই একাউন্টে পর্যাপ্ত পরিমান অর্থ আছে কিনা তা যাচাই করে নেয়া উচিত।

নোট : গ্রাহককে চেক প্রদানের পুর্বে চেকের একটি কপি নিজের সংগ্রহে রাখলে আপনার ব্যাংক ষ্টেটমেন্টের সাথে অর্থের পরিমান মিলাতে সহায়তা করবে।

চেকের পাতায় অর্থের পরিমান বাংলায় লিখে ’মাত্র’ আর ইংরেজীতে লিখে ‘Only’ শব্দটি লিখে দেই। এর কারন কি ?

এর কারন একটাই। তা হলো প্রতারণা প্রতিহত করা। Only শব্দটি লেখা থাকলে আপনাকে কেউ প্রতারিত করতে পারবে না । ধরুন, আপনি কারও নামে ২৫ হাজার টাকার চেক কেটে দিলেন। টাকার অঙ্কে লিখলেন- twenty five thousand only. অর্থাৎ ২৫ হাজার টাকার পর আর কেউ কোনও শব্দ বসাতে পারবে না এই Only শব্দটি থাকায়। ঠিক তেমনি বাংলাতেও ২৫ হাজার টাকা মাত্র লিখলে এর পরে কেউ কোন নতুন শব্দ সংযোজন করতে পারবে না।

ফলে আপনি প্রতারিত হবেন না। চেকের পেছনে সব সময় আপনার একাউন্ট নম্বর এবং ফোন নম্বর লিখুন। যদি কোনও সমস্যা থাকে, তা হলে ব্যাংকের প্রতিনিধি আপনার সঙ্গে কথা বলে নিতে পারবেন।

চেক জমা করার সময় ব্যাংকের ফর্মটি বেশিরভাগ ক্ষেত্রে সেটি ফেলে দেন বহু মানুষ। মনে রাখবেন, আপনি যে ব্যাঙ্কে চেকটি জমা করেছেন তার একমাত্র প্রমাণ। ফলে সেটি সামলে রাখুন।

চেক বইটি বা চেক বইয়ের ভেতরের রিকোজিশন স্লিপটি হারিয়ে ফেলেছেন, সেক্ষেত্রে সহজেই নিচের ফরমটি পুরন করে একটি রিকোজিশন লেটার তৈরি করে ফেলুন। যা ১০০% নিরাপদ।

পারসোনাল একাউন্টের জন্য  :

Make Letter

বিজনেস একাউন্টের জন্য :

Make Letter

আরো জানুন :




প্রপার্টি ভাড়া ও বিক্রয়..

প্রপার্টি ভাড়া ও বিক্রয় এড দিন, ফ্রি!

বাসা, ফ্ল্যাট, দোকান ভাড়া, প্লট বা জমি বিক্রয়, জমির শেয়ার বিক্রয় এর অনলাইন এড দিন ! আনলিমিটেড এড ! একদম ফ্রি !  ই-মেইল আইডি দিয়ে সাইন আপ করুন আর পোষ্ট করুন এড ।

আপনার প্রপার্টি, আমাদের প্রচার।

Showkatbd Trading ক্লাসিফায়েড এড পাবলিশিং পোর্টাল। বাসা, ফ্ল্যাট, দোকান ভাড়ার বিজ্ঞাপন, জমি বা ফ্ল্যাট বিক্রয়ের বিজ্ঞাপন, গাড়ি বিক্রয়ের বিজ্ঞাপন, মোবাইল, মোটরবাইক, চাকরি, ইলেকট্রনিক্স, আসবাবপত্র, স্থানীয় পরিষেবা, প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র, বই, পোষা প্রাণী সহ অসংখ্য ক্যাটাগরীর বিজ্ঞাপন। একদম ফ্রি ! নো কমিশন, নো চার্জ।

প্রপার্টি ভাড়া ও বিক্রয়

AD POST করতে রেজিষ্ট্রেশন করুন :

Sign in for Post Ad

ALL ADS দেখতে এই বাটনে ক্লিক করুন :

ALL ADS

ট্রেডিং যে সার্ভিস দিয়ে থাকে :

– এড প্রচারে কোন সার্ভিস চার্জ বা কমিশন নেই।

– ৩০ দিন ধরে বিজ্ঞাপন সাইটে ভিজিবল থাকে।

– এড প্রচারে সকল ধরনের মার্কেটিং পলিসি ব্যবহার করে থাকে ।

প্রপার্টি ভাড়া ও বিক্রয় এড দিন, ফ্রি

যেভাবে এড আপলোড করবেন..

নতুন ইউজার হলে মেনু বার থেকে Login/Register বাটনে ক্লিক করে ই-মেইল আইডি দিয়ে রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করুন। এরপর Post Your Ad বাটনে ক্লিক করুন। আপনার ব্যবহৃত ই-মেইল এবং পাসওয়ার্ড দিন। এড আপলোডের জন্য একটি নতুন ফর্ম দৃশ্যমান হবে। ধাপে ধাপে ফর্মটি পূরণ করুন। সবশেষে Submit বাটনে ক্লিক করুন।

N.B. Submit করার সাথে সাথেই এড সাইটে পাবলিশ হয়ে যাবে। যেহেতু এড অটো পাবলিশ হবে, সেক্ষেত্রে অবশ্যই প্রপার্টির সকল তথ্যাদি খুব সুন্দর করে গুছিয়ে পাবলিশ করবেন। 

এড  ভিউয়ার কোয়ানটিটি জানবেন যেভাবে..

পোষ্ট করা এডের নীচে, একটি `আই’ চিহ্ন আপনার বিজ্ঞাপন দেখেছেন এমন মোট ক্রেতার সংখ্যা দেখাবে।

যেভাবে প্রপার্টি  ভাড়া বা ক্রয় করবেন..

আপনার পছন্দের প্রপার্টির এডের সাথে বিক্রেতার যোগাযোগ নম্বর এবং ই-মেইল ঠিকানা পাবেন। সরাসরি বিক্রেতার নাম্বারে কল করে বিক্রেতার সাথে কথা বলুন এবং ডিল করুন।

ব্যানার এড পরিচিতি :

ব্যানার এড পন্য বা কোম্পানির প্রচারে যে ভুমিকা রাখে..

ব্যানার এড একজন বিক্রেতা বা কোম্পানির প্রচারের উদ্দেশ্যে খুবই উপযোগী। এই ব্যানারটি ওয়েবসাইটে আপনার পছন্দযোগ্য প্লেস অনুযায়ী দীর্ঘ সময় ভিজিবল থাকবে। একটি অ্যানিমেটেড ব্যানার এড গ্রাহকের জন্য আকর্ষণীয় হয়ে থাকে, এবং সে এডের দিকে সকল ইউজারের দৃষ্টি পড়ে। সব ধরনের কাস্টমার ব্যানারে ক্লিক করে আকর্ষণীয় বিজ্ঞাপন দেখে থাকেন।

ব্যানার বিজ্ঞাপনের জন্য এই নম্বরে যোগাযোগ করুন : 01783989949

প্রপার্টি ভাড়া ও বিক্রয় এড দিন, ফ্রি

ট্রেডিং কি এবং কেন ?

ট্রেডিং সম্পর্কে : ট্রেডিং এমন একটি সাইট যেখানে আপনি আপনার প্রয়োজনীয় জিনিস ক্রয় করতে এবং বিক্রি করতে পারেন। আমাদের কার্যক্রম ক্রেতা ও বিক্রেতার পরিচয় করিয়ে দেওয়া।

কার্যক্রম : আপনার পন্য, আমরা করি প্রচার, আর আপনি করেন ডিল।

উদ্দেশ্য : আমরা কোনো পণ্য ক্রয়-বিক্রয় করি না। আমাদের লক্ষ্য এবং উদ্দেশ্য একটি এড প্রচারের মাধ্যমে ক্রেতা এবং বিক্রেতার মধ্যে সেতু বন্ধন তৈরি করা।

সরকার অনুমোদিত : ট্রেডিং SHOWKATBD দ্বারা পরিচালিত এবং বাংলাদেশ সরকার দ্বারা নিবন্ধিত। নিবন্ধন নম্বর : TRADE/DNCC/121836/2022 4




আনলিমিটেড গাড়ি বিক্রি ’র এড দিন, ফ্রি

আনলিমিটেড গাড়ি বিক্রি : আনলিমিটেড গাড়ি বিক্রির এড দিন, ফ্রি !

রিকন্ডিশন বা ইউজড গাড়ি বিক্রয়ের এক প্লাটফর্ম । একদম ফ্রি এড ! ৩০ দিনের জন্য। সব সময়। আপনার বিজনেস, প্রচার আমাদের।

showkatbd | Trading ক্লাসিফায়েড এড পাবলিশিং পোর্টাল। সকল ধরনের গাড়ি ও গাড়ির যন্ত্রাংশ বিক্রয়ের এড প্রচারে সচেষ্ট।

আনলিমিটেড গাড়ি বিক্রয়

AD POST করতে রেজিষ্ট্রেশন করুন :

Sign in for Post Ad

ALL ADS দেখতে এই বাটনে ক্লিক করুন :

ALL ADS

ট্রেডিং যে সার্ভিস দিয়ে থাকে :

– এড প্রচারে কোন সার্ভিস চার্জ বা কমিশন নেই।

– ৩০ দিন ধরে বিজ্ঞাপন সাইটে ভিজিবল থাকে।

– এড প্রচারে সকল ধরনের মার্কেটিং পলিসি ব্যবহার করে থাকে ।

আনলিমিটেড গাড়ি বিক্রি ’র এড দিন, ফ্রি!

যেভাবে এড আপলোড করবেন..

নতুন ইউজার হলে মেনু বার থেকে Login/Register বাটনে ক্লিক করে ই-মেইল আইডি দিয়ে রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করুন। এরপর Post Your Ad বাটনে ক্লিক করুন। আপনার ব্যবহৃত ই-মেইল এবং পাসওয়ার্ড দিন। এড আপলোডের জন্য একটি নতুন ফর্ম দৃশ্যমান হবে। ধাপে ধাপে ফর্মটি পূরণ করুন। সবশেষে Submit বাটনে ক্লিক করুন।

N.B. Submit করার সাথে সাথেই এড সাইটে পাবলিশ হয়ে যাবে। যেহেতু এড অটো পাবলিশ হবে, সেক্ষেত্রে অবশ্যই গাড়িটির সকল তথ্যাদি খুব সুন্দর করে গুছিয়ে পাবলিশ করবেন। 

এড  ভিউয়ার কোয়ানটিটি জানবেন যেভাবে..

বিজ্ঞাপনের নিচে, একটি `আই’ চিহ্ন আপনার বিজ্ঞাপন দেখেছেন এমন মোট ক্রেতার সংখ্যা দেখায়।

একজন ক্রেতা যেভাবে পন্য ক্রয় করবেন..

আপনার পছন্দের গাড়ির এডের সাথে বিক্রেতার যোগাযোগ নম্বর এবং ই-মেইল ঠিকানা পাবেন। সরাসরি বিক্রেতার নাম্বারে কল করে বিক্রেতার সাথে কথা বলুন। গাড়ি এবং বিক্রেতা পছন্দ হলেই গাড়ি কিনুন। বিক্রেতা যদি সন্দেহজনক মনে করেন তবে  ডিল থেকে বিরত থাকুন।

নিরাপত্তা টিপস

আপনার জেলায় নিরাপদ স্থানে বা যাদের সাথে আপনি ব্যক্তিগতভাবে দেখা করতে পারেন তাদের সাথেই ডিল করুন। কখনই অগ্রিম টাকা পাঠাবেন না এবং আপনার ব্যক্তিগত তথ্য কাউকে দেবেন না। আপনি কেনার আগে একজন এক্সপার্ট দিয়ে গাড়িটি চেক করুন। গাড়ির সকল ডকুমেন্টস্ বুঝে পেয়ে অর্থ প্রদান করুন। সন্দেহ হলে ডিল বাতিল করুন।

ব্যানার এড পরিচিতি :

ব্যানার এড পন্য বা কোম্পানির প্রচারে যে ভুমিকা রাখে..

ব্যানার এড একজন বিক্রেতা বা কোম্পানির প্রচারের উদ্দেশ্যে খুবই উপযোগী। এই ব্যানারটি ওয়েবসাইটে আপনার পছন্দযোগ্য প্লেস অনুযায়ী দীর্ঘ সময় ভিজিবল থাকবে। একটি অ্যানিমেটেড ব্যানার এড গ্রাহকের জন্য আকর্ষণীয় হয়ে থাকে, এবং সে এডের দিকে সকল ইউজারের দৃষ্টি পড়ে। সব ধরনের কাস্টমার ব্যানারে ক্লিক করে আকর্ষণীয় বিজ্ঞাপন দেখে থাকেন।

ব্যানার বিজ্ঞাপনের জন্য এই নম্বরে যোগাযোগ করুন : 01783989949

আনলিমিটেড গাড়ি বিক্রি ’র এড দিন, ফ্রি!

ট্রেডিং কি এবং কেন ?

ট্রেডিং সম্পর্কে : ট্রেডিং এমন একটি সাইট যেখানে আপনি আপনার প্রয়োজনীয় জিনিস কিনতে এবং বিক্রি করতে পারেন। আমাদের কার্যক্রম ক্রেতা ও বিক্রেতাদের পরিচয় করিয়ে দেওয়া।

কার্যক্রম : আপনার পন্য, আমরা করি প্রচার, আর আপনি করেন ডিল।

উদ্দেশ্য : আমরা কোনো পণ্য ক্রয়-বিক্রয় করি না। আমাদের লক্ষ্য এবং উদ্দেশ্য একটি এড প্রচারের মাধ্যমে ক্রেতা এবং বিক্রেতার মধ্যে সেতু বন্ধন তৈরি করা।

সরকার অনুমোদিত : ট্রেডিং SHOWKATBD দ্বারা পরিচালিত এবং বাংলাদেশ সরকার দ্বারা নিবন্ধিত। নিবন্ধন নম্বর : TRADE/DNCC/121836/2022 4




আনলিমিটেড এড পোষ্ট করুন ফ্রি’ তে

আনলিমিটেড এড পোষ্ট করুনshowkatbd | Trading এ আনলিমিটেড এড পোষ্ট করুন, একদম ফ্রি, ৩০ দিনের জন্য.. সব সময়..

বাসা ভাড়ার বিজ্ঞাপন, জমি বা ফ্ল্যাট বিক্রয়ের বিজ্ঞাপন, গাড়ি বিক্রয়ের বিজ্ঞাপন, মোবাইল, মোটরবাইক, চাকরি, ইলেকট্রনিক্স, আসবাবপত্র, স্থানীয় পরিষেবা, প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র, বই, পোষা প্রাণী সহ অসংখ্য ক্যাটাগরীর বিজ্ঞাপন।

এড পোষ্ট করতে এই বাটনে ক্লিক করুন :

POST AD

ALL ADS দেখতে এই বাটনে ক্লিক করুন :

ALL ADS

বিক্রেতার প্রশ্নের উত্তর

প্র: কিভাবে পন্য বা সার্ভিস বিক্রয় করবো ?

উ. পণ্য বা সার্ভিসের বিস্তারিত বর্ণনা, অরিজিনাল ছবিসহ পণ্য বা সার্ভিসটি আমাদের সাইটে পোষ্ট করুন। আমরা ৩০ দিন ধরে বিজ্ঞাপন  সাইটে ভিজিবল রাখবো। একজন ক্রেতার পণ্য বা সার্ভিসটি প্রয়োজন হলে, সেই আপনার সাথে যোগাযোগ করবে।

প্র. বিজ্ঞাপন প্রচারে কোন সার্ভিস চার্জ বা কমিশন কি প্রযোজ্য ?

উ. না।

প্র. তাহলে ট্রেডিং এর লাভ কি ?

উ. আমরা ব্যানার বিজ্ঞাপন বিক্রয় করি। আর ব্যানার বিজ্ঞাপন হচ্ছে, পন্য বা প্রতিষ্ঠানের লিঙ্কসহ একটি ইমেজ সাইটের প্রতিটি পেজের টপ, বটম, সাইটে বিদ্যমান থাকে। যেখানে ক্লিক করলে সেই প্রতিষ্ঠানের ওয়েব সাইট, পেসবুক পেইজ এ নিয়ে যায়।

প্র : কিভাবে একটি পন্য আপলোড করবো ?

উ: নতুন ইউজার হলে মেনু বার থেকে Login/Register বাটনে ক্লিক করে ই-মেইল আইডি দিয়ে রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করুন। এরপর Post Your Ad বাটনে ক্লিক করুন। আপনার ব্যবহৃত ই-মেইল এবং পাসওয়ার্ড দিন। পন্য আপলোডের জন্য একটি নতুন ফর্ম দৃশ্যমান হবে। ধাপে ধাপে ফর্মটি পূরণ করুন। সবশেষে Submit বাটনে ক্লিক করুন।

N.B. Submit করার সাথে সাথেই পণ্য সাইটে পাবলিশ হয়ে যাবে। যেহেতু অটোমটিক প্রডাক্ট পাবলিশ হবে, সেক্ষেত্রে অবশ্যেই প্রডাক্টের সকল ধরনের তথ্যাদি খুব সুন্দর করে গুছিয়ে পাবলিশ করবেন। 

আপনার পণ্য আমাদের সাইটে দৃশ্যমান হলে, গ্রাহকরা চাইলে আপনার পণ্য কিনতে পারেন। গ্রাহক সরাসরি আপনার সাথে যোগাযোগ করবেন।  কিন্তু গ্রাহকের কাছে পণ্য হস্তান্তরের আগে কখনই অর্থ গ্রহণ করবেন না।

প্র. একটি পণ্য বিক্রি করার পর কীভাবে টাকা পাবো ?

উ: কোনো পণ্য বিক্রি করার আগে আপনি বুঝতে চেষ্টা করবেন, আপনার ক্লায়েন্ট ঠিক আছে কি না। সন্দেহজনক হলে আপনার পণ্য হস্তান্তর করবেন না।

প্র. একটি পণ্য বিক্রি করতে কতক্ষণ সময় লাগবে ?

উ: এটা স্বাভাবিকভাবেই একজন গ্রাহকের প্রয়োজনীয়তার উপর নির্ভর করে। কিন্তু আপনি যখন পণ্য আপলোড করবেন তখন খুব সুন্দর করে পণ্যের বিবরণ দিন। কিছু আকর্ষণীয় ছবি সংযুক্ত করুন, আপনার বৈধ ফোন নম্বর এবং ই-মেইল আইডি প্রদান করুন। একটি গ্রহণযোগ্য মূল্য প্রদান করুন। মনে রাখবেন, একজন গ্রাহক সর্বদা সর্বনিম্ন মূল্যে মানসম্পন্ন পণ্য খুঁজে থাকেন।

প্র. একটি পণ্য বা সার্ভিসের বিজ্ঞাপন কত দিন ভিজিবল থাকবে?

উ: ৩০ দিন।

প্র. পণ্য বা সার্ভিসটি কতজন ভিউয়ার দেখেছেন তা জানবো কিভাবে ?

আপনার বিজ্ঞাপনের নিচে, আপনি একটি `আই’ চিহ্ন দেখতে পাবেন যা আপনার বিজ্ঞাপন দেখেছেন এমন মোট ক্রেতার সংখ্যা দেখায়।

ক্রেতার প্রশ্নের উত্তর

প্র. কিভাবে পণ্য ক্রয় করবো ?

উ. আপনার পছন্দের পণ্যের সাথে বিক্রেতার যোগাযোগ নম্বর এবং ই-মেইল ঠিকানা পাবেন। সরাসরি বিক্রেতার নম্বরে কল করে বিক্রেতার সাথে কথা বলুন। পণ্য এবং বিক্রেতা পছন্দ হলেই পণ্য কিনুন। বিক্রেতা যদি সন্দেহজনক মনে করেন তবে পণ্যটি কেনা থেকে বিরত থাকুন। আপনি পণ্য না পাওয়া পর্যন্ত কোনো পেমেন্ট করবেন না।

প্র: কিভাবে পণ্য ক্রয়ের ব্যাপারে সাপোর্ট পেতে পারি ?

ট্রেডিং আপনাকে কোন ধরনের সাপোর্ট প্রদান করবে না। পন্য ক্রয়ের সময় বিক্রেতার সাথে কথা বলে সকল কিছু জেনে নিন। বিক্রেতাই আপনাকে সব ধরনের পণ্য সহায়তা দেবে।

নিরাপত্তা টিপস

আপনার জেলায় নিরাপদ স্থানে বা যাদের সাথে আপনি ব্যক্তিগতভাবে দেখা করতে পারেন তাদের সাথেই ডিল করুন। কখনই অগ্রিম টাকা পাঠাবেন না এবং আপনার ব্যক্তিগত তথ্য কাউকে দেবেন না। আপনি কেনার আগে পণ্য চেক করুন। পণ্য সংগ্রহের পরে অর্থ প্রদান করুন। সন্দেহ হলে ডিল বাতিল করুন।

ব্যানার বিজ্ঞাপন পরিচিতি

প্র. ব্যানার বিজ্ঞাপন পন্য বা কোম্পানির প্রচার প্রশারে কতটুকু ভুমিকা রাখে।

উ: হ্যাঁ, এটি একজন বিক্রেতা বা কোম্পানির প্রচারের উদ্দেশ্যে খুবই উপযোগী। কারণ এই ব্যানারটি একটি ওয়েবসাইটে আপনার পছন্দযোগ্য প্লেস অনুযায়ী দীর্ঘ সময় ভিজিবল থাকবে। আপনি যদি অ্যানিমেটেড ব্যানার তৈরি করেন তবে এটি একজন গ্রাহকের জন্য আকর্ষণীয় হবে। সব ধরনের কাস্টমার ব্যানারে ক্লিক করে আকর্ষণীয় বিজ্ঞাপন দেখে থাকেন।

প্র: একটি ব্যানার বিজ্ঞাপন কিভাবে দিতে হয়?

উ: ব্যানার বিজ্ঞাপনের জন্য এই নম্বরে যোগাযোগ করুন : 01783989949

ট্রেডিং সম্পর্কে : ট্রেডিং এমন একটি সাইট যেখানে আপনি আপনার প্রয়োজনীয় জিনিস কিনতে এবং বিক্রি করতে পারেন। আমাদের কার্যক্রম ক্রেতা ও বিক্রেতাদের পরিচয় করিয়ে দেওয়া।

কার্যক্রম : আপনার পন্য, আমরা করি প্রচার, আর আপনি করেন ডিল।

উদ্দেশ্য : আমরা কোনো পণ্য ক্রয়-বিক্রয় করি না। আমাদের লক্ষ্য এবং উদ্দেশ্য একটি বিজ্ঞাপন প্রচারের মাধ্যমে ক্রেতা এবং বিক্রেতার মধ্যে সেতু বন্ধন তৈরি করা।

– ট্রেডিং SHOWKATBD দ্বারা পরিচালিত এবং বাংলাদেশ সরকার দ্বারা নিবন্ধিত। নিবন্ধিত নম্বর : TRADE/DNCC/121836/2022 4

তৈরী করুন :