অংশীদারী ব্যবসা : একের অধিক অংশীদার নিয়ে যে ব্যবসা করা হয়, তাকে অংশিদারী ব্যবসা বা পার্টনারশীপ বিজনেস বলে। পার্টনারশীপ বিজনেস পরিচালিত করার মুল ভিত্তিই হচ্ছে পার্টনারশীপ ডিড। ব্যবসা করার উদ্দেশ্যে সকল অংশীদারদের সমন্বয়ে যে লিখিত চুক্তিপত্র স্বাক্ষরিত হয় তাই অংশীদারী ব্যবসার চুক্তিপত্র বা পার্টনারশীপ ডিড।
বি.দ্র: আমি এটি ডিজাইন করেছি ব্যবসায়িক ডিড তৈরীতে অভিজ্ঞ আইনজীবীর সহায়তায়। এখানে পার্টনারশীপ ব্যবসা করার সকল ধরনের ব্যবসায়িক চুক্তি উল্লেখ আছে। শুধু পার্টনারদের তথ্যাদি পূরন করলেই অল্প সময়ে একটি মানসম্মত ডিড তৈরী হয়ে যাবে। এটি তৈরীতে আপনার সময় এবং অর্থ উভয়ই সাশ্রয় হবে।
জেনারেট করুন অংশীদারী ব্যবসার চুক্তিপত্র
2 ব্যক্তির মাঝে অংশীদারী ব্যবসার চুক্তিপত্র
3 ব্যক্তির মাঝে অংশীদারী ব্যবসার চুক্তিপত্র
4 ব্যক্তির মাঝে অংশীদারী ব্যবসার চুক্তিপত্র
প্রিভিউ :
showkatbd.com থেকে তৈরী Business Agreement প্রিন্ট দিলে নিচে প্রদর্শিত ছবির ন্যায় দৃশ্যমান হবে। প্রিন্ট ব্রাউজার থেকে আপনি পিডিএফ মুডেও প্রিন্ট করে পিডিএফ ফাইল হিসেবে কম্পিউটারে সেভ করে রাখতে পারেন।
2 সদস্যের সমন্বয়ে তৈরী একটি এগ্রিমেন্টের নমূনা :
sample-business_agreemnt-2personsবিজনেস এগ্রিমেন্ট বা অংশীদারী ব্যবসার চুক্তিনামা নিয়ে কিছু আলোচনা
অংশীদারী ব্যবসার চুক্তিপত্র কি ?
দু্ই বা অধিক ব্যবসায়ির সমন্বয়ে যখন কোনো ব্যবসা পরিচালনা করার জন্য চুক্তিপত্র বা ডিড তৈরী করা হয়, তাই হচ্ছে পার্টনারশীপ ডিড বা অংশিদারী চুক্তিপত্র। অর্থাৎ অংশীদারী ব্যবসায় অংশীদারদের সমন্বয়ে যে লিখিত চুক্তিপত্র স্বাক্ষরিত হয় তাই অংশীদারী চুক্তিপত্র বা পার্টনারশীপ ডিড। ব্যবসা পরিচালনা করার সকল ধরনের শর্তাবলীর সমন্বয়েই তৈরী হয় একটি চুক্তিপত্র। এই চুক্তিপত্র নন-জুডিশিয়াল ষ্ট্যাম্প বা রেভিনিউ ষ্ট্যাম্প বা সরকারী কাগজেই তৈরী করা বাঞ্চনীয়। এই চুক্তিপত্র কে একটি ব্যবসায়িক দলিলও বলে বটে।
অংশীদারী ব্যবসার চুক্তিপত্রের ভুমিকা ?
একটি অংশীদারী চুক্তিপত্র নিম্নলিখিত বিষয়ে ভুমিকা রাখে :
- অংশীদারী ব্যবসা পরিচালনা ও নিয়ন্ত্রন করে এই চুক্তিপত্রটি।
- এটি ব্যবসার ভবিষ্যৎ দিক নির্দেশক হিসেবে কাজ করে থাকে।
- ব্যবসার ভবিষ্যত সকল ধরনের সৃষ্ট সমস্যা সমাধানে সহায়তা করে।
সকলেরই মনে রাখা উচিত যে, পার্টনারশীপ বিজনেস করার ক্ষেত্রে একটি ডিড অপরিহার্য। কেননা, পার্টনারশীপ বিজনেসের মূলভিত্তিই হচ্ছে চুক্তিপত্র।
যেকোনো অংশীদারী ব্যবসা শুরু করার জন্য লিখিত চুক্তিপত্র থাকা বাধ্যতামূলক। এজন্যই বলা হয়, চুক্তিপত্রই হচ্ছে অংশীদারি ব্যবসায়ের মূল ভিত্তি। যেখানে চুক্তি নেই, সেখানে অংশীদারি ব্যবসা শুরু করা সম্ভব নয়। তাই চুক্তিপত্র অংশীদারি ব্যবসা শুরু করার জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ।
অংশীদারী চুক্তিপত্রে যে বিষযগুলো উল্লেখ থাকে ?
- অংশীদারী ব্যবসার নাম কি হবে তা উল্লেখ থাকে।
- ব্যবসার ঠিকানা উল্লেখ থাকে।
- অংশীদারি ব্যবসার প্রকৃতি ও উদ্দেশ্য।
- সংগঠনের কার্যকাল ও স্বায়িত্ব উল্লেখ থাকে।
- প্রত্যেক অংশীদারের নাম, ঠিকানা ও পেশা কি তা লিপিবদ্ধ থাকে।
- প্রত্যেক অংশীদারের মূলধনের পরিমান ও পরিশোধ পদ্ধতি লিপিবদ্ধ থাকে।
- অংশীদারি ব্যবসা ব্যবস্থাপনা ও পরিচালনার নিয়মসমূহ উল্লেখ থাকে।
- ব্যবসার লাভ ও লোকসান বণ্টনের প্রক্রিয়া উল্লেখ থাকে
- কোন কোন অংশীদার সংগঠন সরাসরিভাবে পরিচালনা করবে তাদের পরিচিতি উল্লেখ থাকে।
- অংশীদারদের দায়িত্ব, ক্ষমতা ও অধিকার কি কি তা উল্লেখ থাকে।
- অংশীদারদের অবসরগ্রহণ ও বহিষ্কার পদ্ধতি সম্পর্কে তথ্য থাকে।
- ভবিষ্যত সমস্যার সমাধান পদ্ধতি উল্লেখ থাকে।
- বিরোধ সহজ করতে বিভিন্ন সমাধান পদ্ধতি।
- ব্যবসার জন্য ঋণ গ্রহণের পদ্ধতি সম্পর্কে তথ্য উল্লেখ থাকবে।
- অংশীদারি ব্যবসার বিলোপসাধন পদ্ধতি লিপিবদ্ধ থাকে, ইত্যাদি।
3 সদস্যের সমন্বয়ে তৈরী একটি এগ্রিমেন্টের নমূনা :
sample-business_agreemnt34 সদস্যের সমন্বয়ে তৈরী একটি এগ্রিমেন্টের নমূনা :
sample-business_agreemnt4প্রয়োজনীয় বিজনেস ডকুমেন্টস :