বুধবার , সেপ্টেম্বর ১৮ ২০২৪

Shop, Showroom, Warehouse, Market Rental Deed Generator | Bengali Format

ব্যবসা বানিজ্য পরিচালনা করতে উপযুক্ত স্থানে দোকান, গোডাউন, শো-রুম, ওয়ারহাউজ ভাড়া নেয়ার প্রয়োজনে প্রপার্টি মালিক বা বাড়িওয়ালার সাথে ভাড়াটিয়ার একটি চুক্তিপত্র সম্পন্ন করতে হয়, আর তাই হচ্ছে ভাড়া চুক্তিপত্র বা ভাড়া চুক্তিনামা বা Rent Agreement. ভাড়াটিয়া এবং প্রপার্টি মালিকের মধ্যে সমঝোতার মাধ্যমে তৈরী একটি অফিশিয়াল লিখিত চুক্তিপত্র বা দলিল।

It will save your time and money ! 

নিজেই তৈরী করুন Rent Agreement : 1. নিচের ফরমটি ফিলাপ করে প্রিন্ট বাটনে ক্লিক করলেই তৈরী হয়ে যাবে আপনারAgreement. 2. প্রিন্ট ব্রাউজার থেকে পেপার সাইজ, মার্জিন, এবং হেডার ফুটার আনচেক করে প্রিন্ট দিন। 3. অবশ্যই পেপার সাইজ লিগ্যাল বা কাষ্টমাউজ করে নিবেন।

 

ব্যবসা বানিজ্য পরিচালনা করতে উপযুক্ত স্থানে দোকান, গোডাউন, শো-রুম, ওয়ারহাউজ ভাড়া নেয়ার প্রয়োজনে প্রপার্টি মালিক বা বাড়িওয়ালার সাথে ভাড়াটিয়ার একটি চুক্তিপত্র সম্পন্ন করতে হয়, আর তাই হচ্ছে ভাড়া চুক্তিপত্র বা ভাড়া চুক্তিনামা বা Rent Agreement. ভাড়াটিয়া এবং প্রপার্টি মালিকের মধ্যে সমঝোতার মাধ্যমে তৈরী একটি অফিশিয়াল লিখিত চুক্তিপত্র বা দলিল।

This form will save your time and money ! 

নিজেই তৈরী করুন Rent Agreement

চুক্তিপত্র তৈরীতে প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস :

ভাড়ার চুক্তিপত্র তৈরির শুরুতেই আপনার সংগ্রহে যা যা থাকতে হবে :

  • বাড়িওয়ালা ও ভাড়াটিয়া উভয়ের পাসপোর্ট সাইজ ছবি, জাতিয় পরিচয়পত্র ও মোবাইল নাম্বার।
  • ১০০ টাকার ৩/৪ টি নন জুডিশিয়াল ষ্ট্যাম্প বা রেভিনিউ ষ্ট্যাম্প বা সরকারী কাগজ।

এই ফর্ম থেকে কিভাবে চুক্তিপত্র তৈরি করবেন ?

  • ফর্মে উল্লেখিত প্রতিটি অপশনই আপনার এক একটি বিষয় হিসেবে উপস্থাপিত হবে।
  • উক্ত ফর্ম ফিলাপ সম্পন্ন হলে নিচের উদাহরন স্বরুপ দৃশ্যমান হবে।
  • বি.দ্র : ১ থেকে ১৮ পর্যন্ত শর্তাবলী ফর্মে দেয়া আছে, আপনি যদি নতুন কোনো শর্ত সংযুক্ত করতে চান, তাহনে খালি ঘরে  ১৯ নাম্বার লিখে আপনার নতুন শর্ত টাইপ করুন ।

এই ফর্ম থেকে প্রিন্ট/সম্পাদিত চুক্তিপত্রের উদাহরন নিম্নরুপ :

দোকান ভাড়ার চুক্তিনামা দলিল

দোকান মালিকের নাম : আনিসুর রহমান তালুকদার, পিতা- আব্দুর রহমান তালুকদার, ঠিকানা : ১২৭, ডিআইটি এক্সটেনশন রোড, মালিবাগ, ঢাকা-১২১৭, মোবাইল নাম্বার : 01XXXXXXXXX, ই-মেইল : sanwantradeint@gmail.com

– প্রথম পক্ষ/মালিক

ভাড়াটিয়ার নাম : জামির খান, পিতা- : লতিফুর রহমান খান, ঠিকানা : ৫৬, পশ্চিম রামড়ুরা, ঢাকা।, জাতীয় পরিচয় পত্র 123-0987-8765555 মোবাইল নাম্বার : 01XXXXXXXXX, ই-মেইল : showkatakber@gmail.com

– দ্বিতীয় পক্ষ/ভাড়াটিয়া

তপসিল পরিচিতি

চুক্তিনামা দলিলের আওতায় দোকান এর বিশদ বিবরণ : দোকান নং -১২৩
দোকান এর স্পেস এর পরিমান : ২০০০ স্কয়ার ফিট
দোকান এর চৌহদ্দী :
উত্তরে : মেইন রোড, দক্ষিনে : সানওয়ান লেদার শোপ, পূর্বে : সু-মার্ট ডিজাইন, পশ্চিমে : সিডি
মাসিক ভাড়া : টাকা : ২৫০০০/= কথায় : পঁচিশ হাজার টাকা
এ্যাডভান্স : টাকা : ৩০০০০০/= কথায় : তিন লক্ষ টাকা
চুক্তি শুরু : জুন, ২০২৩
চুক্তি শেষ : ৩০.০৫.২০২৫
এই চুক্তিপত্র [ ৩  ] বছরের জন্য বলবৎ থাকবে।

যে ব্যবসার জন্য প্রযোজ্য :
[ লেডিস কসমেটিক্স, পার্টস ও জুয়েলানী আইটেম বিক্রয় ]

পরম করুনাময় আল্লাহ্ তায়ালার নাম স্বরন করে দোকান ভাড়ার চুক্তিনামা দলিলের বয়ান আরম্ভ করছি যে, যেহেতু আমি প্রথম পক্ষ/মালিক উপরে উল্লেখিত তপসিল বর্নিত দোকান এর খরিদ সুত্রে মালিক ও দলখকার হয়ে এযাবৎকাল অন্যের বিনা বাধায়, নিরাপদে ও নির্বিবাদে পরম সুখে ভোগ দখল করে আসছি। বর্তমানে উক্ত দোকান টি মাসিক ভাড়া দেওয়ার প্রস্তাব করলে পর আপনি ২য় পক্ষ/ ভাড়াটিয়া উক্ত দোকান ভাড়া নিতে ইচ্ছা পোষন করেন, সেমতে আমরা উভয়পক্ষ আলাপ আলোচনা সাপেক্ষে আপনি ২য় পক্ষ/ভাড়টিয়া কে নিন্মলিখিত শর্তাধীনে ভাড়া প্রদান করলাম :

শর্তাবলী

০১. ২য় পক্ষ ভাড়াটিয়া উক্ত স্পেসটি লেডিস কসমেটিক্স, পার্টস ও জুয়েলানী আইটেম বিক্রয় ব্যতিত অন্য কোন ধরনের ব্যবসা পরিচালনা করতে পারবেন না।

০২. দ্বিতীয় পক্ষ ব্যবসায়িক কার্যক্রম পরিচালনার জন্য উক্ত তপসিল বর্নিত দোকান সু-সজ্জিত করার জন্য অভ্যন্তরিন প্রয়োজনীয় আসবাবপত্র নিজস্ব অর্থায়নে করবেন। এবং চুক্তিপত্র বাতিল কালীন সময়ে তার নিজ খরচে অপসারন করে নিবেন।

০৩. দ্বিতীয় পক্ষ উক্ত ব্যবসা প্রতিষ্ঠানটি পরিচালনার ক্ষেত্রে পরিচালনা কমিটি, ব্যবসায়িক সমিতি, সোসাইটি, কল্যান সমিতি, রাজউক, ইউনিয়ন পরিষদ, সিটি কর্পোরেশন সহ সরকারী সকল আইন শৃংখলা বাহিনীর সকল আদেশ নিষেধ মেনে চলতে বাধ্য থাকবেন।

০৪. ২য় পক্ষ ব্যবসা সংক্রান্ত কর, ভ্যাট, নিয়মিত পরিশোধ করবেন এবং বৈধ ট্রেড লাইসেন্স দিয়ে ব্যবসা পরিচালনা করবনে।

০৫. প্রতিমাসের ভাড়া অগ্রিম ১-৫ তারিখের মধ্যে প্রথমপক্ষ/মালিক বরাবরে অগ্রিম পরিশোধ করিয়া প্রাপ্ত রশিদ গ্রহন করত ভাড়াটিয়া নিজ দায়িত্বে রাখবেন।

০৬. ২য় পক্ষ ভাড়াটিয়া উপরে উল্লেখিত এ্যাডভান্স এমাউন্ট [ টাকা – ৩০০০০০/-/= ] ১ম পক্ষ/মালিক বরাবরে জামানত হিসাবে জমা রাখিবেন। এবং চুক্তি শেষে প্রথম পক্ষ তা ফেরত প্রদানে বাধ্য থাকবেন।

০৭. উক্ত তপসিলভুক্ত দোকান এর বিদ্যুৎ বিল = [ ১ম পক্ষের ], পানি বিল = [ ১ম পক্ষের ], গ্যাস বিল = [ ১ম পক্ষের ], লিফট/জেনারেটর/সিকিউরিটি = [ ১ম পক্ষের ], অন্যান্য চার্জ = [ নাই ], যথা নিয়মে ও নিজ দায়িত্বে মাসের ১ হইতে ৫ তারিখের মধ্যে পরিশোধ করে প্রয়োজনীয় অনুলিপি ১ম পক্ষকে বুঝিয়ে দিবেন এবং কোন মাসের বিল বকেয়া রাখতে পারবেন না।

০৮. দ্বিতীয় পক্ষ পর পর ২ (দুই) মাসের মাসিক ভাড়া অনাদায়ী রাখতে পারবেন না। অনাদায়ী টাকা জামানতকৃত টাকার অর্ধেক হওয়ার সাথে সাথে মালিক পক্ষ অন্যত্র ভাড়া প্রদানের ক্ষমতা রাখবেন।

০৯. ২য় পক্ষ, ১ম পক্ষের অনুমতি ব্যতিত উক্ত তপসিলভুক্ত দোকান এর কোন রকম পরিবর্তন, পরিবর্ধন, সংযোজন, বিয়োজন করতে পারবেন না। এবং উক্ত পরিবর্তন, পরিবর্ধন, সংযোজন, বিয়োজন এর জন্য অবশ্যই ১ম পক্ষ থেকে লিখিত অনুমতি গ্রহন করতে হবে।

১০. দ্বিতীয় পক্ষ উক্ত তপসিলভুক্ত দোকান অন্য কারো কাছে সাবলেট হিসাবে ভাড়া দিতে পারবেন না।

১১. ইলেকট্রিক, স্যানিটারী, রংসহ অন্যান্য সব ধরনের রিপেয়ার ২য় পক্ষ করে নিবেন। এবং মাসিক ভাড়া থেকে তা কর্তন করে নিবেন। অবশ্যই কর্ম সম্পাদনের খরচের সমস্ত বিল ১ম পক্ষ বরাবর সাবমিট করতে হবে। ইচ্ছে করলে ১ম পক্ষ তা যাচাই বাছাই করতে পারবেন। উক্ত খরচে কোন প্রকার গোজামিল রাখা যাবে না।

১২. মেয়াদ উত্তীর্নের পূর্বে কোন পক্ষের উক্ত তপসিলভুক্ত দোকান ছেড়ে দেওয়ার বিশেষ কারন উদ্ভব হইলে ২ মাসের সময় দিয়ে নোটিশ প্রদানে এক অপরের সম্মতিসহ সকল বকেয়া পরিশোধ করে ফ্লোর ছেড়ে দিতে পারবেন।

১৩. মেয়াদের মধ্যে উক্ত তপসিলভুক্ত দোকান এর কোন প্রকার ক্ষতি সাধন হলে বা কোন সংস্কার প্রয়োজন হয় ২য় পক্ষ নিজ খরচে তা মেরামত করে দিতে বাধ্য থাকবেন। নচেৎ ১ম পক্ষ অগ্রীমকৃত টাকা থেকে কর্তন করে মেরামত করে নিবেন।

১৪. চুক্তির মেয়াদ শেষে উভয়পক্ষ আলাপ আলোচনা সাপেক্ষে ১ম পক্ষ ভাড়া ও জামানত বৃদ্ধি ও চুক্তির মেয়াদ পুনঃনির্ধারন করতে পারবেন। অথবা মেয়াদ শেষে চুক্তিপত্র বাতিল করতে পারবেন।

১৫. ১ম পক্ষ যেভাবে, যে অবস্থায়, যেসব ফিটিংস বা মালামালসহ, উক্ত তপসিলভুক্ত দোকান ২য় পক্ষকে হস্তান্তর করবেন; ছেড়ে দেয়ার সময় ২য় পক্ষও ঠিক সেভাবেই ১ম পক্ষকে বুঝিয়ে দিবেন বা দিতে বাধ্য থাকবেন। এতে ২য় পক্ষের কোন রকম ওজর আপত্তি বা গরিমসি চলবে না। এবং তা সর্ব আদালতে অগ্রাহ্য হবে।

১৬. অদূর ভবিষেতে উভয়ের মাঝে সৃষ্ট সমস্যার সমাধান কারী হিসেবে উভয়ের পছন্দনীয় একজন তৃতীয় পক্ষ, নাম : আব্দুর রাকিব, বাসা – ২২, রোড-২৬, সেক্টর-০৭, উত্তরা, ঢাকা-১২৩০, 01XXXXXXXXX

হলফনামা : অদূর ভবিষ্যতে উভয়ের মাঝে সৃষ্ট সমস্যার সমাধান কারী হিসেবে আমরা দুজনেই উক্ত তৃতীয় পক্ষের সমাধান মেনে নেবো এই মর্মে প্রতীজ্ঞা করছি।

১৭. মেয়াদ শেষান্তে পুনরায় আলাচনা সাপেক্ষে নতুন করে ভাড়া চুক্তি করতে পারবেন।

১৮. মেয়াদ শেষে উভয় পক্ষের আলাপ আলোচনার ভিত্তিতে ১ম পক্ষ রাজি থাকলে ২য় পক্ষ অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ভাড়া নিতে পারেন। তবে এক্ষেত্রে মাসিক ভাড়া বা নতুন করে এ্যাডভান্স প্রদান সম্পূর্ন র্নিভর করবে ১ম পক্ষের উপর।

দোকান ভাড়ার চুক্তিনামা দলিলের মুল কপি (100+100+100+100) টাকার নন জুডিশিয়াল ষ্ট্যাম্পে উভয় পক্ষ স্বাক্ষর করবেন।

এতদ্বার্থে স্বেচ্ছায়, স্বজ্ঞানে, সুস্থ শরীরে অন্যের বিনা প্ররোচনায় আমরা উপয়পক্ষ অত্র চুক্তি পত্র পাঠ করে, বুঝে এবং এর মর্ম অবগত হয়ে উপস্থিত স্বাক্ষীদের মোকাবেলায় চুক্তিপত্রের সকল শর্তাদী মেনে চলার অঙ্গীকার করে আমাদের নিজ নিজ নাম ও সহি সম্পাদন করলাম।

ইতি,

অত্র চুক্তিপত্র ৪ (চার) পাতায় কম্পোজকৃত ও স্বাক্ষী ৩ জন বটে ।

চুক্তিপত্র দলিলের সহি সম্পাদনের তারিখঃ
Tuesday 6th of June 2023 04:29:31 AM

১ম পক্ষ / মালিকের স্বাক্ষর :


……………………………………….
আনিসুর রহমান তালুকদার

২য় পক্ষ / ভাড়াটিয়ার স্বাক্ষর :


……………………………………….
জামির খান

মুসাবিদাকারকের স্বাক্ষর :


……………………………………….
ডালিম মোশাররফ

স্বাক্ষীগনের স্বাক্ষর :

স্বাক্ষী – ১

স্বাক্ষী – ২

স্বাক্ষী – ৩

Rent Agreement নিয়ে একটু আলোচনা

চুক্তিপত্র আলোচনার শুরুতেই জানি, বাড়িওয়ালা ও ভাড়টিয়ার পরিচিতি :

  • প্রপার্টি মালিক বা বাড়িওয়ালা : যার একটি প্রপার্টি হতে পারে বাসা, শো-রুম, দোকান বা মার্কেট, বাস্তবিক অর্থে বা দেশের আইন অনুযায়ী ডকুমেন্টস সুত্রে যার প্রকৃত মালিক সে নিজে, সেই হচ্ছেন বাড়িওয়ালা।
  • ভাড়াটিয়া : ভাড়াটিয়া হল সেই ব্যক্তি, যে মাসিক ভাড়া বা অর্থ প্রদানের বিনিময়ে প্রপার্টি বা মালিকের সম্পত্তি সাময়িকভাবে ব্যবহারের স্বীকৃতি পায়।

Rent Agreement | ভাড়া বা ইজারা চুক্তি :

  • ভাড়ার চুক্তি এমন একটি চুক্তি, যা বাড়িওয়ালা বা ভাড়াটিয়া উভয়ের মধ্যে প্রপার্টি ভাড়ার নেয়ার উদ্দেশ্যে লিখিত আকারে নন জুডিশিয়াল ষ্ট্যাম্পে তৈরী হয় । এই চুক্তিপত্র সম্পত্তির মালিক “বাড়িওয়ালা” এবং ভাড়াটিয়া “ইজারাদার” উভয়ের প্রপার্টি ব্যবহারের নিয়ম নীতী রক্ষা করতে সহায়তা করে।
  • উক্ত ভাড়াটিয়া ভাড়া চুক্তিতে নির্দিষ্ট সময়ের জন্য মালিকের সম্পত্তিতে থাকতে বা ব্যবহার করতে পারে। একটি ভাড়া চুক্তি, যাকে একটি ভাড়া দলিল এবং ইজারা দলিলও বলা হয়।

Rent Agreement এর উপকারিতা :

বাড়িওয়ালা এবং ভাড়াটিয়ার সাথে সাথে কোনো বিষয় নিয়ে যেনো কোনো রকম মতানৈত্য বা বিরোধের সৃষ্টি না হয় , এই চুক্তিপত্র তা নিস্পত্তি করনে ভুমিকা রাখে। চুক্তিপত্রে বাড়িওয়ালা এবং ভাড়াটিয়ার মাঝে যে ধরনের শর্তাবলীর ভিত্তিতে প্রপার্টি ভাড়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে তা  উল্লেখ থাকে।

ভাড়া চুক্তির বিষয়বস্তু ও শর্তাবলী :

ভাড়া চুক্তির স্বাভাবিক বিষয়বস্তু নিম্নরুপ : :

  • নাম প্রদান : বাড়িওয়ালা এবং ভাড়াটে বা তার এজেন্টদের নাম।
  • বিবরন : প্রপার্টি বা সম্পত্তির বিবরণ।
  • সময়কাল : ভাড়াটিয়া উক্ত প্রপার্টি কত দিনের জন্য ভাড়া হিসেবে গ্রহন করেছেন তা উল্লেখ করতে হবে। প্রপার্টি ভাড়ার মেয়াদ শেষ হওয়ার তারিখ এবং চুক্তিপত্র শেষ করার পদ্ধতি ।
  • ভাড়া : ভাড়ার পরিমাণ এবং অর্থপ্রদানের নির্ধারিত তারিখ উল্লেখ থাকবে ।।
  • পেমেন্ট মেথোড :  ভাড়া পরিশোধের মেথোড অর্থাৎ ভাড়ার অর্থ ব্যাংকে ডিপোজিট বা হ্যান্ড ক্যাশে প্রদান তার উল্লেখ।
  • জামানত বা ডিপোজিট : সিকিউরিটি ডিপোজিটের পরিমাণ এবং এটি প্রদান এবং সামঞ্জস্য বা এডজাষ্ট বা ফেরত বা পরিাশোধ বা সামঞ্জস্য করবেন সে বিষয়ের বিস্তারিত বিবরন।
  • ইউটিলিটি : প্রপার্টির সব ধরনের ইউটিলিটি অর্থ্যাৎ গ্যাস, পানি, বিদ্যুতের চার্জ কিভাবে পরিশোথিদ হবে তা নির্ধারণ করা হবে।
  • সুবিধাদি : অন্যান্য সুবিধাদি যা ভাড়াটে ভোগ করতে পারেবন যেমন : লিফট, জেনারেটর, কার পার্কিং, নিরাপত্তা ব্যবস্থা ইত্যাদির উল্লেখ।
  • মেরামত এবং রক্ষণাবেক্ষণ : সংস্কার, মেরামত এবং রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব কিভাবে পরিশোদ বা প্রদান করা হবে তা উল্লেখ থাকতে হবে।
  • ব্যবহারের শর্তাবলী : প্রপার্টিতে কি ধরনের ব্যবসা পরিচালনা করা হবে তা উল্লেখ থাকবে। নির্ধারিত ব্যবসা ব্যতিত উক্ত প্রপার্টিতে অন্য কোনোরকম ব্যবসা পরিচালনা করা যাবেনা।

নিরাপত্তা জামানত :

এডভান্স বা জামানত : বাড়িওয়ালা এবং ভাড়াটে উভয়ের সমঝোতায় ভাড়াটে দ্বারা সিকিউরিটি ডিপোজিট বা অগ্রিম বাড়িওয়ালাকে প্রদান করা হয়, যা চুক্তি বাতিলের সময় পরিশোধ করতে হয়। উভয়ের সমঝোতার উক্ত জামানত সামজ্ঞস্য করার শর্ত জ্ঞাপন করা হয়। উক্ত জামানত সাধারণত উভয় পক্ষের আলাপ আলোচনায় যে কোনও সময় সামঞ্জস্য করা হতে পারে।

চুক্তি স্বাক্ষরের সময় সিকিউরিটি ডিপোজিট দেওয়া হয় । সিকিউরিটি ডিপোজিটের একটি অংশ ভাড়াটিয়ার দ্বারা আসবাবপত্র, যন্ত্রপাতি, বৈদ্যুতিক, বা সম্পত্তির নিজস্ব ক্ষতির জন্য বাড়িওয়ালা ব্যবহার করতে পারেন। ক্ষতির জন্য নিরাপত্তা জামানত কেটে নেওয়ার পরে, চুক্তি বাতিলের সময় বাড়িওয়ালা বাকি জামানত ভাড়াটেকে ফেরত দিতে বাধ্য থাকেন।

কিভাবে একটি বৈধ ভাড়া চুক্তি সম্পাদন করবেন?

ভাড়াটিয়া নিবন্ধন আইন অনুযায়ী, ভাড়া চুক্তিপত্র স্ট্যাম্প পেপারে তৈরী বাধ্যতামূলক। স্ট্যাম্প পেপারে তৈরী চুক্তিপত্র প্রণয়ন ও স্বাক্ষর আইনানুযায়ী বৈধ হবে। ভাড়ার চুক্তি স্ট্যাম্প পেপারে মুদ্রিত হওয়ার পরে, স্ট্যাম্প পেপারের প্রতিটি পৃষ্ঠার উপরে আড়াআড়িভাবে মালিক এবং ভাড়াটে উভয়ের স্বাক্ষর থাকতে হবে। চুক্তিটি বৈধ করার জন্য দুজন সাক্ষীকে তাদের নাম এবং ঠিকানা সহ চুক্তিতে স্বাক্ষর করতে হবে।

রেজিষ্ট্রেশন : ভাড়ার চুক্তিপত্রটি সম্পত্তি যেখানে অবস্থিত সেই জায়গার সাব-রেজিস্ট্রার অফিসে নিবন্ধিত করা প্রয়োজন। চুক্তি সম্পাদনের জন্য বাড়িওয়ালা এবং ভাড়াটিয়াকে অবশ্যই সাব-রেজিস্ট্রার অফিসে উপস্থিত থাকতে হবে। তাদের অবশ্যই নিবন্ধকের উপস্থিতিতে স্ট্যাম্প পেপারের প্রতিটি পৃষ্ঠায় স্বাক্ষর করতে হবে যাতে চুক্তিটি মুদ্রিত হয়। দুজন সাক্ষীকে অবশ্যই স্ট্যাম্প পেপারে স্বাক্ষর করতে হবে এবং প্রয়োজনীয় ফি প্রদানের পর তা নিবন্ধন করতে হবে।

ভাড়া চুক্তি রেজিষ্ট্রেশনের জন্য প্রয়োজনীয় নথি

ভাড়া চুক্তি নিবন্ধনের জন্য বাড়িওয়ালা, ভাড়াটিয়া এবং সাক্ষীদের যে নথিগুলি জমা দিতে হবে তা নিম্নরূপ:

  • ভাড়া দেওয়া সম্পত্তির মালিকানার প্রমাণ (বাড়ির মালিকের নামে থাকা সম্পত্তির দলিল, নামজারি)।
  • প্রত্যেক পক্ষ এবং সাক্ষীদের পাসপোর্ট সাইজের ছবি।
  • উভয় পক্ষ এবং সাক্ষীদের পাসপোর্ট বা জাতীয় পরিচয়পত্র বা ড্রাইভিং লাইসেন্স।

সম্পাদিত একটি ভাড়া চুক্তির উদাহরণ নীচে দেওয়া হল :

sampe-showroom_rent_agreement

সচরাচর জিজ্ঞাস্য

কত টাকার স্ট্যাম্পে ভাড়ার চুক্তি করতে হয় ?

৩০০/৪০০ টাকার নন জুডিমিয়াল ষ্ট্যাম্পে।

ভাড়া চুক্তি রেজিষ্ট্রি করা কি বাধ্যতামূলক ?

না। তবে চুক্তিপত্র নোটারাইজড করা ভালো।

আসল চুক্তিপত্রটি কে রাখে ?

প্রপার্টি মালিক বা বাড়িওয়ালা ভাড়া চুক্তির মূল কপি রাখেন। আর, ভাড়াটেদের কাছে ভাড়ার চুক্তিপত্ররে অনুলিপি থাকবে।

ভাড়া চুক্তির মেয়াদকাল কত মাস হতে পারে?

সাধারণত, ভাড়া চুক্তির মেয়াদকাল ভাড়াটে এবং প্রপার্টি মালিকরে সমঝোতার উপর নির্ভর করেই হয়ে থাকে। তবে এটি 1 থেকে 3 বছরের জন্যেই হয়ে থাকে। তবে ভালো মন্দ বিচার বিশ্লেষনে ভাড়া চুক্তি পত্রটি উভয় পক্ষের দ্বারা বাতিলকরন এবং নতুন করে নির্দিষ্ট সময় অতিবাহিত হবার পরে আবার নতুন করে চুক্তিপত্র করা যেতে পারে।

মৌখিক ভাড়া চুক্তি কি বৈধ?

না। মৌখিক ভাড়া চুক্তি মোটেই বৈধ নয়। এতে অনেক সময়েই সমস্যার সৃষ্টি করে থাকে। তাই বাড়িওয়ালা এবং ভাড়াটের মাধ্যে অদূর অবিষ্যতে যেন কোনো রকম সম্স্যার সৃষ্টি না হয়, সেজন্যেই লিখিত আকারে এই চুক্তিপত্র করতে হয়।

নিরাপত্তা : এটি বাড়িওয়ালার জন্য সম্পত্তির নিরাপত্তা নিশ্চিত করে সেইসাথে ভাড়াটিয়াদের বাড়িওয়ালার যেকোন অবৈধ দাবির সাথে মোকাবিলা করা থেকে রক্ষা করে।

পরিশেষে : বাড়িওয়ালা এবং ভাড়াটের মাঝে সব ধরনের দ্বন্দ দূরীকরনে অবশ্যই ভাড়ার চুক্তিপত্র করে নিবেন।

অনুরোধে : আমি চেষ্টা করেছি ভাড়ার চুক্তিপত্র টাইপিং এর একটি সহজ পদ্বতি তৈরীর। কতটুকু স্বার্থক তা শুধু একজন ইউজারই বলতে পারবেন। যদি বিন্দুমাত্র উপকার হয় তবেই আমার কষ্ট সার্থক। অনলাইন টিপস নিয়ে রচিত যে কোনো আর্টিকেল পরিবর্তন, পরিবর্ধন, সংযোজন, বিয়োজন করার ব্যাপারে যে কোনো পরামর্শ সাদরে গৃহিত হবে। সরাসরি ফোন করুন এই নাম্বারে – +8801783989949 অথবা ই-মেইল করতে পারেন – showkatbd2022@gmail.com

ভালো থাকেন, সুস্থ থাকেন।

image_printআর্টিকেল প্রিন্ট করুন
বিজ্ঞাপন বিষয়ে জানতে ক্লিক করুন

Check Also

صانع البيانات الشخصية

صانع البيانات الشخصية

 صانع البيانات الشخصية : أنشئ بياناتك الشخصية بسهولة في دقائق. طباعة البيانات الشخصية للتصميم المطلوب …

One comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Language »
error: Content is protected !!