ওয়্যারহাউস ভাড়ার চুক্তিপত্র

ওয়্যারহাউস ভাড়ার ডিড

ওয়্যারহাউস ভাড়ার চুক্তিপত্র : ব্যবসা বানিজ্য পরিচালনা করতে উপযুক্ত স্থানে দোকান, গোডাউন, শো-রুম, ওয়ারহাউজ ভাড়া নেয়ার প্রয়োজনে প্রপার্টি মালিক বা বাড়িওয়ালার সাথে ভাড়াটিয়ার একটি চুক্তিপত্র সম্পন্ন করতে হয়, আর তাই হচ্ছে ভাড়া চুক্তিপত্র বা ভাড়া চুক্তিনামা বা Rent Agreement. ভাড়াটিয়া এবং প্রপার্টি মালিকের মধ্যে সমঝোতার মাধ্যমে তৈরী একটি অফিশিয়াল লিখিত চুক্তিপত্র বা দলিল।

It will save your time and money ! 

নিজেই তৈরী করুন ওয়্যারহাউস ভাড়ার চুক্তিপত্র : 1. নিচের ফরমটি ফিলাপ করে প্রিন্ট বাটনে ক্লিক করলেই তৈরী হয়ে যাবে আপনারAgreement. 2. প্রিন্ট ব্রাউজার থেকে পেপার সাইজ, মার্জিন, এবং হেডার ফুটার আনচেক করে প্রিন্ট দিন। 3. অবশ্যই পেপার সাইজ লিগ্যাল বা কাষ্টমাউজ করে নিবেন।

 

This form will save your time and money ! 

চুক্তিপত্র তৈরীতে প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস :

ভাড়ার চুক্তিপত্র তৈরির শুরুতেই আপনার সংগ্রহে যা যা থাকতে হবে :

  • বাড়িওয়ালা ও ভাড়াটিয়া উভয়ের পাসপোর্ট সাইজ ছবি, জাতিয় পরিচয়পত্র ও মোবাইল নাম্বার।
  • ১০০ টাকার ৩/৪ টি নন জুডিশিয়াল ষ্ট্যাম্প বা রেভিনিউ ষ্ট্যাম্প বা সরকারী কাগজ।

এই ফর্ম থেকে কিভাবে চুক্তিপত্র তৈরি করবেন ?

  • ফর্মে উল্লেখিত প্রতিটি অপশনই আপনার এক একটি বিষয় হিসেবে উপস্থাপিত হবে।

বি.দ্র : অতি প্রয়োজনীয় বিশ কিছু শর্তাবলী ফর্মে দেয়া আছে, আপনি যদি নতুন কোনো শর্ত সংযুক্ত করতে চান, তাহনে খালি ঘরে  সিরিয়াল নাম্বার মেন্টেন করে  নতুন শর্ত টাইপ করুন । যা আপনার চুক্তিপত্রে দৃশ্যমান হবে।

ওয়্যারহাউস ভাড়ার চুক্তিপত্র নিয়ে একটু আলোচনা

চুক্তিপত্র আলোচনার শুরুতেই জানি, বাড়িওয়ালা ও ভাড়টিয়ার পরিচিতি :

  • প্রপার্টি মালিক বা বাড়িওয়ালা : যার একটি প্রপার্টি হতে পারে বাসা, শো-রুম, দোকান বা মার্কেট, বাস্তবিক অর্থে বা দেশের আইন অনুযায়ী ডকুমেন্টস সুত্রে যার প্রকৃত মালিক সে নিজে, সেই হচ্ছেন বাড়িওয়ালা।
  • ভাড়াটিয়া : ভাড়াটিয়া হল সেই ব্যক্তি, যে মাসিক ভাড়া বা অর্থ প্রদানের বিনিময়ে প্রপার্টি বা মালিকের সম্পত্তি সাময়িকভাবে ব্যবহারের স্বীকৃতি পায়।

Rent Agreement | ভাড়া বা ইজারা চুক্তি :

  • ভাড়ার চুক্তি এমন একটি চুক্তি, যা বাড়িওয়ালা বা ভাড়াটিয়া উভয়ের মধ্যে প্রপার্টি ভাড়ার নেয়ার উদ্দেশ্যে লিখিত আকারে নন জুডিশিয়াল ষ্ট্যাম্পে তৈরী হয় । এই চুক্তিপত্র সম্পত্তির মালিক “বাড়িওয়ালা” এবং ভাড়াটিয়া “ইজারাদার” উভয়ের প্রপার্টি ব্যবহারের নিয়ম নীতী রক্ষা করতে সহায়তা করে।
  • উক্ত ভাড়াটিয়া ভাড়া চুক্তিতে নির্দিষ্ট সময়ের জন্য মালিকের সম্পত্তিতে থাকতে বা ব্যবহার করতে পারে। একটি ভাড়া চুক্তি, যাকে একটি ভাড়া দলিল এবং ইজারা দলিলও বলা হয়।

Rent Agreement এর উপকারিতা :

বাড়িওয়ালা এবং ভাড়াটিয়ার সাথে সাথে কোনো বিষয় নিয়ে যেনো কোনো রকম মতানৈত্য বা বিরোধের সৃষ্টি না হয় , এই চুক্তিপত্র তা নিস্পত্তি করনে ভুমিকা রাখে। চুক্তিপত্রে বাড়িওয়ালা এবং ভাড়াটিয়ার মাঝে যে ধরনের শর্তাবলীর ভিত্তিতে প্রপার্টি ভাড়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে তা  উল্লেখ থাকে।

ভাড়া চুক্তির বিষয়বস্তু ও শর্তাবলী :

ভাড়া চুক্তির স্বাভাবিক বিষয়বস্তু নিম্নরুপ : :

  • নাম প্রদান : বাড়িওয়ালা এবং ভাড়াটে বা তার এজেন্টদের নাম।
  • বিবরন : প্রপার্টি বা সম্পত্তির বিবরণ।
  • সময়কাল : ভাড়াটিয়া উক্ত প্রপার্টি কত দিনের জন্য ভাড়া হিসেবে গ্রহন করেছেন তা উল্লেখ করতে হবে। প্রপার্টি ভাড়ার মেয়াদ শেষ হওয়ার তারিখ এবং চুক্তিপত্র শেষ করার পদ্ধতি ।
  • ভাড়া : ভাড়ার পরিমাণ এবং অর্থপ্রদানের নির্ধারিত তারিখ উল্লেখ থাকবে ।।
  • পেমেন্ট মেথোড :  ভাড়া পরিশোধের মেথোড অর্থাৎ ভাড়ার অর্থ ব্যাংকে ডিপোজিট বা হ্যান্ড ক্যাশে প্রদান তার উল্লেখ।
  • জামানত বা ডিপোজিট : সিকিউরিটি ডিপোজিটের পরিমাণ এবং এটি প্রদান এবং সামঞ্জস্য বা এডজাষ্ট বা ফেরত বা পরিাশোধ বা সামঞ্জস্য করবেন সে বিষয়ের বিস্তারিত বিবরন।
  • ইউটিলিটি : প্রপার্টির সব ধরনের ইউটিলিটি অর্থ্যাৎ গ্যাস, পানি, বিদ্যুতের চার্জ কিভাবে পরিশোথিদ হবে তা নির্ধারণ করা হবে।
  • সুবিধাদি : অন্যান্য সুবিধাদি যা ভাড়াটে ভোগ করতে পারেবন যেমন : লিফট, জেনারেটর, কার পার্কিং, নিরাপত্তা ব্যবস্থা ইত্যাদির উল্লেখ।
  • মেরামত এবং রক্ষণাবেক্ষণ : সংস্কার, মেরামত এবং রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব কিভাবে পরিশোদ বা প্রদান করা হবে তা উল্লেখ থাকতে হবে।
  • ব্যবহারের শর্তাবলী : প্রপার্টিতে কি ধরনের ব্যবসা পরিচালনা করা হবে তা উল্লেখ থাকবে। নির্ধারিত ব্যবসা ব্যতিত উক্ত প্রপার্টিতে অন্য কোনোরকম ব্যবসা পরিচালনা করা যাবেনা।

নিরাপত্তা জামানত :

এডভান্স বা জামানত : বাড়িওয়ালা এবং ভাড়াটে উভয়ের সমঝোতায় ভাড়াটে দ্বারা সিকিউরিটি ডিপোজিট বা অগ্রিম বাড়িওয়ালাকে প্রদান করা হয়, যা চুক্তি বাতিলের সময় পরিশোধ করতে হয়। উভয়ের সমঝোতার উক্ত জামানত সামজ্ঞস্য করার শর্ত জ্ঞাপন করা হয়। উক্ত জামানত সাধারণত উভয় পক্ষের আলাপ আলোচনায় যে কোনও সময় সামঞ্জস্য করা হতে পারে।

চুক্তি স্বাক্ষরের সময় সিকিউরিটি ডিপোজিট দেওয়া হয় । সিকিউরিটি ডিপোজিটের একটি অংশ ভাড়াটিয়ার দ্বারা আসবাবপত্র, যন্ত্রপাতি, বৈদ্যুতিক, বা সম্পত্তির নিজস্ব ক্ষতির জন্য বাড়িওয়ালা ব্যবহার করতে পারেন। ক্ষতির জন্য নিরাপত্তা জামানত কেটে নেওয়ার পরে, চুক্তি বাতিলের সময় বাড়িওয়ালা বাকি জামানত ভাড়াটেকে ফেরত দিতে বাধ্য থাকেন।

কিভাবে একটি বৈধ ভাড়া চুক্তি সম্পাদন করবেন?

ভাড়াটিয়া নিবন্ধন আইন অনুযায়ী, ভাড়া চুক্তিপত্র স্ট্যাম্প পেপারে তৈরী বাধ্যতামূলক। স্ট্যাম্প পেপারে তৈরী চুক্তিপত্র প্রণয়ন ও স্বাক্ষর আইনানুযায়ী বৈধ হবে। ভাড়ার চুক্তি স্ট্যাম্প পেপারে মুদ্রিত হওয়ার পরে, স্ট্যাম্প পেপারের প্রতিটি পৃষ্ঠার উপরে আড়াআড়িভাবে মালিক এবং ভাড়াটে উভয়ের স্বাক্ষর থাকতে হবে। চুক্তিটি বৈধ করার জন্য দুজন সাক্ষীকে তাদের নাম এবং ঠিকানা সহ চুক্তিতে স্বাক্ষর করতে হবে।

রেজিষ্ট্রেশন : ভাড়ার চুক্তিপত্রটি সম্পত্তি যেখানে অবস্থিত সেই জায়গার সাব-রেজিস্ট্রার অফিসে নিবন্ধিত করা প্রয়োজন। চুক্তি সম্পাদনের জন্য বাড়িওয়ালা এবং ভাড়াটিয়াকে অবশ্যই সাব-রেজিস্ট্রার অফিসে উপস্থিত থাকতে হবে। তাদের অবশ্যই নিবন্ধকের উপস্থিতিতে স্ট্যাম্প পেপারের প্রতিটি পৃষ্ঠায় স্বাক্ষর করতে হবে যাতে চুক্তিটি মুদ্রিত হয়। দুজন সাক্ষীকে অবশ্যই স্ট্যাম্প পেপারে স্বাক্ষর করতে হবে এবং প্রয়োজনীয় ফি প্রদানের পর তা নিবন্ধন করতে হবে।

ভাড়া চুক্তি রেজিষ্ট্রেশনের জন্য প্রয়োজনীয় নথি

ভাড়া চুক্তি নিবন্ধনের জন্য বাড়িওয়ালা, ভাড়াটিয়া এবং সাক্ষীদের যে নথিগুলি জমা দিতে হবে তা নিম্নরূপ:

  • ভাড়া দেওয়া সম্পত্তির মালিকানার প্রমাণ (বাড়ির মালিকের নামে থাকা সম্পত্তির দলিল, নামজারি)।
  • প্রত্যেক পক্ষ এবং সাক্ষীদের পাসপোর্ট সাইজের ছবি।
  • উভয় পক্ষ এবং সাক্ষীদের পাসপোর্ট বা জাতীয় পরিচয়পত্র বা ড্রাইভিং লাইসেন্স।

সম্পাদিত একটি ভাড়া চুক্তির উদাহরণ নীচে দেওয়া হল :

sampe-showroom_rent_agreement

সচরাচর জিজ্ঞাস্য

কত টাকার স্ট্যাম্পে ভাড়ার চুক্তি করতে হয় ?

৩০০/৪০০ টাকার নন জুডিমিয়াল ষ্ট্যাম্পে।

ভাড়া চুক্তি রেজিষ্ট্রি করা কি বাধ্যতামূলক ?

না। তবে চুক্তিপত্র নোটারাইজড করা ভালো।

আসল চুক্তিপত্রটি কে রাখে ?

প্রপার্টি মালিক বা বাড়িওয়ালা ভাড়া চুক্তির মূল কপি রাখেন। আর, ভাড়াটেদের কাছে ভাড়ার চুক্তিপত্রের অনুলিপি থাকবে। তবে দুই কপি প্রিন্ট ও সীল স্বাক্ষর সম্পাদন করে ১ কপি করে উভয়েই রাখতে পারেন।

ভাড়া চুক্তির মেয়াদকাল কত মাস হতে পারে?

সাধারণত, ভাড়া চুক্তির মেয়াদকাল ভাড়াটে এবং প্রপার্টি মালিকরে সমঝোতার উপর নির্ভর করেই হয়ে থাকে। তবে এটি 1 থেকে 3 বছরের জন্যেই হয়ে থাকে। তবে ভালো মন্দ বিচার বিশ্লেষনে ভাড়া চুক্তি পত্রটি উভয় পক্ষের দ্বারা বাতিলকরন এবং নতুন করে নির্দিষ্ট সময় অতিবাহিত হবার পরে আবার নতুন করে চুক্তিপত্র করা যেতে পারে।

মৌখিক ভাড়া চুক্তি কি বৈধ?

না। মৌখিক ভাড়া চুক্তি মোটেই বৈধ নয়। এতে অনেক সময়েই সমস্যার সৃষ্টি করে থাকে। তাই বাড়িওয়ালা এবং ভাড়াটের মাধ্যে অদূর অবিষ্যতে যেন কোনো রকম সম্স্যার সৃষ্টি না হয়, সেজন্যেই লিখিত আকারে এই চুক্তিপত্র করতে হয়।

নিরাপত্তা : এটি বাড়িওয়ালার জন্য সম্পত্তির নিরাপত্তা নিশ্চিত করে সেইসাথে ভাড়াটিয়াদের বাড়িওয়ালার যেকোন অবৈধ দাবির সাথে মোকাবিলা করা থেকে রক্ষা করে।

পরিশেষে : বাড়িওয়ালা এবং ভাড়াটের মাঝে সব ধরনের দ্বন্দ দূরীকরনে অবশ্যই ভাড়ার চুক্তিপত্র করে নিবেন।

অনুরোধে : আমি চেষ্টা করেছি ভাড়ার চুক্তিপত্র টাইপিং এর একটি সহজ পদ্বতি তৈরীর। কতটুকু স্বার্থক তা শুধু একজন ইউজারই বলতে পারবেন। যদি বিন্দুমাত্র উপকার হয় তবেই আমার কষ্ট সার্থক। অনলাইন টিপস নিয়ে রচিত যে কোনো আর্টিকেল পরিবর্তন, পরিবর্ধন, সংযোজন, বিয়োজন করার ব্যাপারে যে কোনো পরামর্শ সাদরে গৃহিত হবে। সরাসরি ফোন করুন এই নাম্বারে – +8801783989949 অথবা ই-মেইল করতে পারেন – showkatbd2022@gmail.com

ভালো থাকেন, সুস্থ থাকেন।

Check Also

Printable wishcard maker

showkatbd wishCard বিনামূল্যে শুভেচ্ছা বার্তাসহ, চমৎকার দৃষ্টিনন্দন কার্ড তৈরির সহজ সমাধান । ব্যক্তিগত বা প্রফেশনাল …

Leave a Reply

Language »